Mastercard-এর বিশেষ পরিষেবা, মোবাইল ফোন-কার্ড কিছুই লাগবে না, মুখে হাসি থাকলেই হয়ে যাবে পেমেন্ট!

Mastercard's Biometric Checkout Program: মাস্টারকার্ড একটি নতুন বায়োমেট্রিক চেকআউট প্রোগ্রাম নিয়ে আসছে, যেখানে গ্রাহক তার হাসিমুখ বা হাত নাড়ালেই পেমেন্ট করতে পারবেন।

Mastercard-এর বিশেষ পরিষেবা, মোবাইল ফোন-কার্ড কিছুই লাগবে না, মুখে হাসি থাকলেই হয়ে যাবে পেমেন্ট!
প্রতীকী ছবি।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: May 22, 2022 | 7:57 PM

রাস্তায় বেরিয়ে এটা-সেটা কিনতে দরকার নগদ টাকা। ট্যাক্সি ভাড়া থেকে অটো ভাড়া, খুচরো নিয়ে ঝঞ্ঝাট আমাদের অনেক পোহাতে হয়েছে। সেই দিন কিন্তু এখন অতীত। কারণ, UPI বা ডিজিটাল পেমেন্ট পদ্ধতি আম আদমির নগদ সংক্রান্ত সমস্যার স্থায়ী সমাধান নিয়ে এসেছে। ট্রান্জ়াকশন সহজ থেকে সহজতর হয়ে গিয়েছে। কিন্তু ডিজিটাল পেমেন্ট পদ্ধতি কি তার প্রাসঙ্গিকতা হারাতে চলেছে? হঠাৎ কেন আমরা এমনটা বলছি? আসলে Mastercard-এর নতুন বায়োমেট্রিক প্রোগ্রামে (Biometric Program) আপনি হাসলেই পেমেন্ট করতে পারবেন। না, কল্পনার কাহিনি নয়। একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এমনই ঘোষণা করেছে Mastercard। সারা বিশ্বেই এই বায়োমেট্রিক প্রোগ্রাম নিয়ে আসতে চলেছে সংস্থাটি। আর আপাতত তার টেস্টিং চলছে ব্রাজ়িলে।

একটি ব্লগপোস্টে Mastercard লিখছে, “টাকা পেমেন্ট করতে আর ফোন বের করে ঝামেলা বা মানিব্যাগে কত টাকা রয়েছে তা দেখতে হবে না। পরবর্তী প্রজন্ম আরও দ্রুততার সঙ্গে পেমেন্ট করতে পারবেন, তাঁদের হাসিমুখ বা হাত নাড়ানোর মধ্যে দিয়ে। যে বিশ্বস্ত প্রযুক্তি এত দিন আপনার ফেস বা ফিঙ্গারপ্রিন্ট ব্যবহার করে ফোন আনলক করছিল, সেই পদ্ধতিতেই এবার অত্যন্ত দ্রুততার সঙ্গে চেকআউটও করতে পারবেন।”

তার ঠিক পরেই ওই ব্লগপোস্টে বলা হচ্ছে, খুব সহজেই ক্যামেরার দিকে একবার তাকিয়ে হাসলেই পেমেন্ট করতে পারবেন ব্যবহারকারীরা। এছাড়াও একবার হাত নাড়ানোর মাধ্যমেও পেমেন্ট করা যেতে পারে। এর সাহায্যে কোনও ট্রান্জ়াকশন যে অত্যন্ত দ্রুততার সঙ্গে হবে এমনটাই নয়। সেই সঙ্গেই আবার ইউজারদের একটা স্বাধীনতাও দেওয়া হবে যে, তারা কীভাবে পেমেন্ট করতে চান সে বিষয়ে।

Mastercard ওই ব্লগপোস্টে আরও লিখছে, “পেমেন্ট সিস্টেমকে লয়্যালটি প্রোগ্রাম এবং ব্যক্তিগতকৃত সুপারিশের সঙ্গে একত্রিত করা যেতে পারে, যাতে উপভোক্তারা পরবর্তীতে তাঁদের আগের কেনাকাটির উপরে ভিত্তি করে নিজেদের যেমনটা চাহিদা, সেই অনুযায়ীই পণ্যগুলিকে খুঁজে পেতে পারেন।”

এই বিশেষ প্ল্যাটফর্মের জন্য এনরোলিং বা নথিভুক্তকরণের কাজটি বাড়িতে একটি অ্যাপ ব্যবহার করে হতে পারে বা ইন-স্টোরেও সম্ভব হতে পারে। Mastercard এই মুহূর্তে ব্রাজ়িলের সাও পাওলোতে পাঁচটি সুপারমার্কেটে অপারেট করে দেখছে। তবে শীঘ্রই প্রোগ্রামটি গোটা বিশ্বেই রোল আউট করা হবে। যে কনজ়িউমাররা এখনই ব্রাজ়িলের ওই সুপারমার্কেটগুলিতে যাচ্ছেন, তাঁরা নিজেদের মুখ দেখিয়েই এনরোল করতে পারছেন। পাশাপাশি তাঁরা Payface অ্যাপের মাধ্যমে পেমেন্ট সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্যও পেয়ে যাচ্ছেন। তার থেকেও বড় কথা হল, একবার রেজিস্টার্ড হয়ে গেলেই চেকআউটে পেমেন্টের জন্য দরকার হবে কেবল মাত্র আপনার হাসিমুখ – ফোন, কার্ড এসব কিছুরই দরকার হবে না।

ব্লগপোস্টটিতে আরও লেখা হয়েছে, “Mastercard এই মুহূর্তে একাধিক পার্টনারের সঙ্গে কাজ করছে। সেই তালিকায় রয়েছে NEC, Payface, Aurus, PaybyFace, PopID এবং Fujitsu Limited ইত্যাদির সঙ্গে। উদ্দেশ্য একটাই, যাতে বিশ্বজুড়ে এই ধরনের নতুন চেকআউট কেপাবিলিটির লঞ্চ এবং স্কেল নিশ্চিত করা যায়।”