Samsung Buds Ear Infection: স্যামসাংয়ের বাডস ইয়ারফোন ব্যবহার করলেই কানের সংক্রমণ! টাকা ফেরত দিচ্ছে কোম্পানি…
অ্যান্ড্রয়েড সেন্ট্রাল তাদের রিপোর্টে সংক্রমণের কারণ হিসেবে গ্যালাক্সি বাডস প্রোতে ব্যবহৃত নিকেলকে দায়ী করেছে। এছাড়া এই প্রোডাক্ট দুটি প্রস্তুতির ক্ষেত্রে স্যামসাং অ্যাক্রিলেট নামক একটি নতুন উপকরণ ব্যবহার করেছে। এটাও সংক্রমণের কারণ হতে পারে বলে অনেকের ধারণা।
আজকের দিনে কম বেশি সবাইই ট্রুলি ওয়্যারলেস ইয়ারফোনের খোঁজে ব্যতিব্যস্ত। এই হেডফোনগুলোর তালিকায় স্যামসাং গ্যালাক্সি বাডস প্রো এবং স্যামসাং গ্যালাক্সি বাডস ২ শীর্ষস্থানীয় হেডফোনের আওতার মধ্যেই আসে। ক্রেতাদের মধ্যেও এদের যথেষ্ট চাহিদা রয়েছে। তবে এবার গুরুতর অভিযোগ উঠে এসেছে এই ইয়ারফোন দুটির বিরুদ্ধে। এতটাই গুরুতর এই অভিযোগ যে প্রস্তুতকারী সংস্থা হিসেবে স্যামসাংকে জবাব দিতে বাধ্য হতে হয়েছে।
স্যামসাং গ্যালাক্সি বাডস প্রো আর বাডস ২-এর ইউজারদের কানে এক ধরনের সংক্রমণ দেখা দিচ্ছে। স্যামসাং গ্যালাক্সি বাডস প্রো এবং স্যামসাং গ্যালাক্সি বাডস ২ এমনই গুরুতর অভিযোগের মুখোমুখি হয়েছে। প্রোডাক্ট দুটি ব্যবহারের পর ক্রেতাদের একাংশ মারাত্মক কানের সংক্রমণে ভোগার কথা জানিয়েছেন। এমনকি সেজন্য তাদের চিকিৎসকের পরামর্শ পর্যন্ত নিতে হয়েছে বলে শোনা যাচ্ছে। অবশ্য ঠিক কী কারণে এই সংক্রমণ হচ্ছে সেটা এখনও স্পষ্টভাবে জানা যায়নি। তবে এই প্রোডাক্টগুলো যে উপাদান দিয়ে তৈরি হয়েছে সেগুলোই যে এই সংক্রমণের উৎস সেই ব্যাপারে তেমন সন্দেহ আর নেই।
এরকম সমস্যার কথা যখন একটা বড় কোম্পানির বিরুদ্ধে সামনে আসে, তখন খুব তাড়াতাড়িই তা সমাজের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে যায়। স্যামসাংয়ের পক্ষ থেকে বিষয়টি নিয়ে যদিও কোনওরকম মন্তব্য করা হয়নি। তবে প্রোডাক্ট দুটির বেশ কিছু ক্রেতাকে তারা ইতিমধ্যেই টাকা ফিরিয়ে দিয়েছে বলেই শোনা যাচ্ছে। যদিও যেসব ক্রেতারা অভিযোগ করেছেন, তাঁরাই রিফান্ড পেয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। কয়েকটি প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে যে স্যামসাং কিছু কিছু ইউজারের চিকিৎসার খরচ পর্যন্তও দিয়েছে।
এর আগে বাজারে আসা স্যামসাং গ্যালাক্সি বাডসের অন্যান্য সংস্করণ গুলিকে নিয়ে এই ধরনের অভিযোগ ওঠেনি। সেক্ষেত্রে এখনকার পরিস্থিতি প্রস্তুতকারক সংস্থার জন্য বেশ কিছুটা অস্বস্তিদায়ক। তাই সংস্থা দ্রুত এর সমাধান খোঁজার চেষ্টা করছে। অন্যদিকে, আমেরিকার নিউ জার্সির কয়েকজন ক্রেতা কোম্পানীর বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করার ফলে পরিস্থিতি আরও জটিল হয়েছে। অভিযোগকারীদের দাবি, স্যামসাংয়ের এই প্রোডাক্ট ব্যবহারের পর তাঁদের নানান ধরনের কানের সমস্যায় ভুগতে হয়েছে। এর উপসর্গ হিসেবে তারা চুলকুনি, জ্বালা, লাল ভাব, কান থেকে জলীয় পদার্থ নির্গমন সহ একাধিক অসুবিধের কথা উল্লেখ করেছেন। এই মুহূর্তে নিউ জার্সি কনজিউমার ফ্রড অ্যাক্টের অধীনে মামলাটির বিচার চলছে।
এদিকে অ্যান্ড্রয়েড সেন্ট্রাল তাদের রিপোর্টে সংক্রমণের কারণ হিসেবে গ্যালাক্সি বাডস প্রোতে ব্যবহৃত নিকেলকে দায়ী করেছে। এছাড়া এই প্রোডাক্ট দুটি প্রস্তুতির ক্ষেত্রে স্যামসাং অ্যাক্রিলেট নামক একটি নতুন উপকরণ ব্যবহার করেছে। এটাও সংক্রমণের কারণ হতে পারে বলে অনেকের ধারণা।