Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Coffins With Mummies: মমি- সহ ২৫০ কফিন আবিষ্কার হয়েছে মিশরে, আর কী কী সন্ধান পেলেন প্রত্নতাত্ত্বিকরা?

Coffins With Mummies: মিশরে উদ্ধার হওয়া কফিনের মধ্যে থেকে আর কী কী আবিষ্কার করেছেন প্রত্নতাত্ত্বিকরা?

Coffins With Mummies: মমি- সহ ২৫০ কফিন আবিষ্কার হয়েছে মিশরে, আর কী কী সন্ধান পেলেন প্রত্নতাত্ত্বিকরা?
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jun 01, 2022 | 9:42 PM

প্রাচীন নিদর্শনের ভাণ্ডার খুঁজে পেয়েছেন প্রত্নতাত্ত্বিকরা। প্রথমবার বিশ্বের সামনে এসেছে এই গুপ্তধন। বলা হচ্ছে, এই সমস্ত গুপ্তধন অন্তত ২৫০০ বছরের পুরনো। কায়রোর কাছে সাক্কারার বিখ্যাত নেক্রোপলিসে আবিষ্কার করা হয়েছে এই গুপ্তধন। প্রত্নতাত্ত্বিকরা ২৫০টি কফিন আবিষ্কার করেছেন যার মধ্যে রয়েছে মমি। এই নিদর্শগুলোর মধ্যে রয়েছে আনুবিস, মিন, ওসিরিস, আইসিস, নেফেরটাম, বাস্টেট এবং হাথরের মূর্তি। এঁরা সকলেই মিশরের দেবতা। এর সঙ্গে রয়েছে মুণ্ডহীন একটি মূর্তি যেটি আর্কিটেক্ট ইমহোটেপের। এই ইমহোটেপই সাক্কারা পিরামিড তৈরি করেছিলেন। মিশরের Ministry of Tourism and Antiquities জানিয়েছে ২৫০ কফিন, ১৫০ ব্রোঞ্জের মূর্তি এবং অন্যান্য আরও জিনিস আবিষ্কার করা হয়েছে। বলা হচ্ছে, এই সমস্ত আবিষ্কার করা জিনিস ৫০০ খ্রীষ্টপূর্বাব্দের শেষের দিকের।

প্রত্নতত্ত্বের সুপ্রিম কাউন্সিলের প্রধান মোস্তফা ওয়াজিরি বলেছেন যে আবিষ্কার হওয়া নিদর্শনগুলিতে প্রাচীন দেবতাদের ব্রোঞ্জের মূর্তি এবং প্রাচীন মিশরীয় পুরাণে উর্বরতার দেবী আইসিসের আচার-অনুষ্ঠানে ব্যবহৃত ব্রোঞ্জের পাত্রও রয়েছে। এছাড়াও রয়েছে একটি মাথাহীন ব্রোঞ্জের মূর্তি। এই মূর্তি ইমহোটেপের। তিনি ছিলেন Pharaoh Djoser- এর প্রধান আর্কিটেক্ট। প্রাচীন মিশরে ২৬৩০ খ্রীষ্টপূর্বাব্দ এবং ২৬১১ খ্রীষ্টপূর্বাব্দের মধ্যের সময়কালে এই ইমহোটেপের শাসনকাল ছিল। প্রত্নতত্ত্ববিদরা জানিয়েছেন, কাজ করা কাঠের কফিনে পাওয়া গিয়েছে এই সমস্ত জিনিস। অক্ষত অবস্থায় ছিল কাঠের কফিনগুলো। তার মধ্যে মমি ছাড়াও ছিল তাবিজ এবং কাঠের বাক্স। এছাড়াও মিশরীয় দেবতা Nephthys এবং Isis- এর কাঠের মূর্তিও রয়েছে এখানে। এইসব মূর্তি মুখগুলো ছিল সোনালী। কফিনগুলো রাখা ছিল কবরের মধ্যে। তবে তাও অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার হয়েছে এইসব কফিন।

একটি কফিনের মধ্যে সু-সংরক্ষিত ভাবে রাখা ছিল papyrus, যা লেখা হয়েছে হায়ারোগ্লিফিক্সে। সম্ভবত এটি হল verses of the Book of the Dead। কায়রোর Egyptian Museum- এ এই verses of the Book of the Dead পরীক্ষা নিরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। তেমনটাই জানিয়েছেন প্রত্নতত্ত্বের সুপ্রিম কাউন্সিলের প্রধান মোস্তফা ওয়াজিরি। এছাড়াও পাওয়া গিয়েছে বেশ কিছু কসমেটিক্স যেমন- kohl containers, ব্রেসলেট এবং কানের দুল। আপাতত এইসব জিনিসই ভাল করে খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পরীক্ষা নিরীক্ষার মাধ্যমে এর থেকে নতুন তথ্য সন্ধানের চেষ্টা করছেন প্রত্নতত্ত্ববিদরা।