Black Hole Killed Star: 8.5 বিলিয়ন বছর আগে উজ্জ্বল নক্ষত্রকে হত্যা করেছিল ব্ল্যাক হোল, তার আলো এখন পৃথিবীতে এসে পৌঁছল

Black Hole And Star: সেই সময় মহাবিশ্ব তার বর্তমান বয়সের মাত্র এক-তৃতীয়াংশ ছিল। এই নক্ষত্রটি 8.5 বিলিয়ন বিলিয়ন বছর আগে ভেঙে গিয়েছিল, যা চূর্ণ-বিচূর্ণ আলোর আকারে গত ফেব্রুয়ারি মাসে দেখতে পান বিজ্ঞানীরা।

Black Hole Killed Star: 8.5 বিলিয়ন বছর আগে উজ্জ্বল নক্ষত্রকে হত্যা করেছিল ব্ল্যাক হোল, তার আলো এখন পৃথিবীতে এসে পৌঁছল
ভয়ঙ্কর মহাজাগতিক ঘটনা। প্রতীকী ছবি।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Dec 01, 2022 | 4:38 PM

Tidal Disruption Event: চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে মহাকাশে রহস্যজনক একটি উজ্জ্বল আলো দেখতে পেয়েছিলেন বিজ্ঞানীরা। পরে জানা যায়, এই আলো একটি নক্ষত্র থেকে আসছিল, যা সুপারম্যাসিভ ব্ল্যাক হোলের খুব কাছাকাছি পৌঁছেছিল। বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, ব্ল্যাক হোল এই নক্ষত্রটিকে টুকরো টুকরো করে ফেলেছিল। আর এখন বিজ্ঞানীরা আবিষ্কার করেছেন যে, পৃথিবী থেকে 8.5 বিলিয়ন আলোকবর্ষ দূরে এই ঘটনাটি ঘটেছিল। সেই সময় মহাবিশ্ব তার বর্তমান বয়সের মাত্র এক-তৃতীয়াংশ ছিল। এই নক্ষত্রটি 8.5 বিলিয়ন বিলিয়ন বছর আগে ভেঙে গিয়েছিল, যা চূর্ণ-বিচূর্ণ আলোর আকারে গত ফেব্রুয়ারি মাসে দেখতে পান বিজ্ঞানীরা।

এই উজ্জ্বল আলোকে বিজ্ঞানীরা AT 2022cmc নাম দিয়েছেন। গত 11 ফেব্রুয়ারি ক্যালিফোর্নিয়া ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজির পালোমার অবজ়ারভেটরি দ্বারা প্রথম দেখা গিয়েছিল এই উজ্জ্বল আলোক। ব্ল্যাক হোলের মাধ্যাকর্ষণ শক্তির দ্বারা যখন কোনও নক্ষত্র ছিন্ন হয়ে যায়, তখন সেটি একটি জোয়ার-ভাটা বিঘ্নিত ঘটনা হিসেবে পরিচিত হয়। মহাকাশে এগুলিকে ভায়োলেন্সের ঘটনা বলা হয়, যা জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা এর আগেও পর্যবেক্ষণ করেছেন। প্রসঙ্গত, AT 2022cmc হল সবচেয়ে উজ্জ্বল এবং সবচেয়ে দূরবর্তী আলো।

জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা বিশ্বাস করেন যে, ব্ল্যাক হোলটি যখন তারাটিকে গ্রাস করত, তখন তা থেকে বিপুল পরিমাণ শক্তি বেরিয়ে আসত। বিজ্ঞানীরা বিশ্বাস করেন যে, AT 2022cmc এত উজ্জ্বল দেখায়, কারণ জেটগুলি সরাসরি পৃথিবীর দিকে পরিচালিত হয়েছিল। এটি ডপলার-বুস্টিং এফেক্ট নামে পরিচিত। এই আবিষ্কারটি সুপারম্যাসিভ ব্ল্যাক হোলের ডেভেলপমেন্ট সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সরবরাহ করতে পারে। সেই সঙ্গে এটিও নিশ্চিত করা যেতে পারে যে, ব্ল্যাক হোল কীভাবে তারাকে গ্রাস করে!

এই ঘটনা নিয়ে নেচার অ্যাস্ট্রোনমি অ্যান্ড নেচার জার্নালে দুটি পৃথক গবেষণাপত্র প্রকাশিত হয়েছে। সাধারণত যখন একটি বিশাল তারা বিস্ফোরিত হয়, তখন এটি শক্তিশালী এক্স-রে জেট নির্গত করে, যা রাতের আকাশে সবচেয়ে উজ্জ্বল। জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা নিউট্রন স্টার ইন্টিরিয়ার কম্পোজিশন এক্সপ্লোরার (NICER), আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে থাকা একটি এক্স-রে টেলিস্কোপ থেকে এই সংকেত বিশ্লেষণ করেছেন। গবেষকরা বলছেন, এখনও পর্যন্ত রেকর্ড করা সবচেয়ে উজ্জ্বল গামা-রশ্মি বিস্ফোরণ, যা আগের গামা-রশ্মি বিস্ফোরণের চেয়ে অন্তত 100 গুণ বেশি শক্তিশালী।