ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত! ভূমিকম্প-আগ্নেয়গিরি-খরার পূর্বাভাস জানতে একজোট নাসা-ইসরো
ভয়ংকর ঘূর্ণিঝড় ইয়াস মোকাবেলার জন্য প্রস্তুতি তুঙ্গে। ঘুর্ণিঝড়ের ল্যান্ডফলের পর লণ্ডভণ্ড এলাকাগুলিতে ত্রাণ ও দুর্যোগ মোকাবিলা বাহিনী পৌঁছে অসহায়দের উদ্ধার করার প্রচেষ্টা ব্রত নিয়েছে রাজ্য সরকার থেকে কেন্দ্রীয় সরকার।
প্রত্যেক বছর জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে ভারতে বেড়েই চলেছে ভয়ংকর ঘুর্ণিঝড়, জলোচ্ছ্বাস, প্রবল তুষারপাত, বন্যা, ভয়ংকর দাবানলের গ্রাসে ছাই হয়ে যাচ্ছে সবুজ বনভূমি। এমন আবহাওয়ার খামখেয়ালি ও দৌরাত্ম্যেকে হাতের মুঠোয় আনতে এবার একসঙ্গে কাজ করতে আগ্রহ প্রকাশ করল নাসা (NASA) ও ইসরো (ISRO)। জলবায়ু পরিবর্তন ও দুর্যোগ মোকাবিলার জন্য সঠিক তথ্য সরবরাহের জন্য নাসার অত্যাধুনিক রাডার সিস্টেম বসানোর পরিকল্পনা চলছে।
এতে কী হবে? পৃথিবীর চারিপাশে থাকা সব স্যাটেলাইট একসঙ্গে কাজ করার জন্য ও মাটির নীচে থাকা শিলা থেকে বায়ুমণ্ডলের সব তথ্য থ্রিডি আকারে পরিবেশিত হবে। নাসা একটি বিবৃতিতে জানিয়েছে, এই অত্যাধুনিক অবজারভেটরিটি ২০১৭ সালের ন্যাশানাল একাদেমি অফ সায়েন্সেস, ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড মেডিসিনের জরিপ অনুসরণ করে কঠিন পরিস্থিতিতে প্রয়োজনীয় গবেষণার তথ্য ও পর্যবেক্ষণের দিকনির্দেশনা দিতে সাহায্য করবে। এ প্রসঙ্গে ইসরো জানিয়েছে, এই অত্যাধুনিক অবজারভেটরির জন্য ইসরোর দুটি রাডার সিস্টেম থাকনে। যেগুলি পৃথিবী পৃষ্ঠের অনবরত পরিবর্তনগুলি ধরা পড়বে। দেড় ইঞ্চির চেয়েও কম পরিমাপ হলেও ধরতে পারবে এই বিশেষ যন্ত্র। পথপ্রদর্শক হিসেবে এই পর্যবেক্ষণকারী যন্ত্রটির প্রথম মিশন হিসেবে নাসা-ইসরো সিন্থেটিক অ্যাপারার রাডার (NISAR) হিসেবে বলা হতে পারে।
আরও পড়ুন: বছরের প্রথম এবং শেষ ‘ব্লাড মুন’ দেখা যাবে আজ ২৬মে, লক্ষ্য করা যাবে পূর্ণগ্রাস চন্দ্রগ্রহণও
মূল কাজ কী?
নতুন সিস্টেমটি কী ভাবে বৈশ্বিক শক্তির ভারসাম্য, বায়ুর গুণমান পূর্বাভাস এবং তীব্র আবহাওয়ার পূর্বাভাসকে প্রভাবিত করে তার সমালোচনামূলক প্রশ্নের উত্তর খোঁজার চেষ্টা করবে। এই সিস্টেমটি খরা মূল্যায়ন ও পূর্বাভাস, কৃষির জন্য জল ব্যবহারের জন্য সম্পর্কিত পরিকল্পনা, পাশাপাশি প্রাকৃতিক বিপদের প্রতিক্রিয়া নিয়ে পূর্বাভাস দেবে। বিজ্ঞানীরা খাদ্য ও কৃষি, বাসস্থান এবং প্রাকৃতিক সম্পদকে প্রভাবিত করে এমন জলবায়ু পরিবর্তনগুলি বোঝার জন্য পর্যবেক্ষণকারী থেকে প্রাপ্ত তথ্য ব্যবহার করতে পারবেন। অন্যদিকে, এটি জলবায়ু পরিবর্তন, ভূমিকম্প, আগ্নেয়গিরি, ভূমিধ্বস, হিমবাহ, ভূগর্ভস্থ জল এবং পৃথিবীর অভ্যন্তরের গতিশীলতা-সহ দুর্যোগ প্রভাবের মূল্যায়ন ও সমুদ্রস্তর-প্রাকৃতিক দৃশ্য পরিবর্তনগুলিকে থ্রিডি আকারে পরিবেশন করবে।