Climate Change: 93 কোটি টন খাদ্য ফেলা হয়েছে আবর্জনায়, জল ও খাদ্য সঙ্কট গ্রাস করছে পৃথিবীকে
Water And Food Crisis: এবার জলবায়ু সংক্রান্ত একটি গবেষণা রিপোর্টে বিজ্ঞানীরা যা কিছু দাবি করেছে, তা রীতিমতো আশঙ্কার। 'বায়োসায়েন্স' নামে এক বিজ্ঞান পত্রিকায় সম্প্রতি একটি রিপোর্ট প্রকাশিত হয়েছে। তাই সেই রিপোর্টেই উঠে এসেছে ভয়ানক সব তথ্য।
গোটা বিশ্বে আজ একদিকে হাহাকার, তো আর একদিকে উন্নয়নের উচ্ছাস। বিশ্বের কিছু মানুষ হতাশার মরুভূমিতে বাস করে। আর কিছু মানুষ উন্নয়নে গা ভাসাতে গিয়ে কখন যে গোটা বিশ্বকে অস্তিত্বর সঙ্কটে ফেলে দেয়, তা বুঝতেই পারে না। উন্নয়নের নামে প্রকৃতি ধ্বংস হচ্ছে একটু একটু করে। তবে এ কী আর নতুন কথা না কি! এভাবে চলতে থাকলে প্রাণের বাসযোগ্য থাকবে না এই পৃথিবী। ফলে উন্নয়নের দিকে ছুঁটতে গিয়ে এমনিতেই যে বিরাট জল ও খাদ্য সঙ্কট দেখা দিয়েছে, তা নিয়ে উদ্বিগ্ন বিজ্ঞানীরা। কিন্তু তা যে ভবিষ্যতে কী রূপ নেবে, তা কল্পনাও করা যাচ্ছে না। জাতিসংঘের এক প্রতিবেদনে ইতিমধ্যেই জানানো হয়েছে, 2019 সালে 93 কোটি টন খাদ্য আবর্জনায় ফেলা হয়েছিল। এখন তার পরিমাণ বেড়েছে। আর এর ভয়াবহ প্রভাব পড়বে পৃথিবীর উপর।
এসব কিছুই বহুদিন ধরে বলে আসছেন বিজ্ঞানীরা, পরিবেশবিদরা। কিন্তু ফলাফল কোথায়? তবে এ বার জলবায়ু সংক্রান্ত একটি গবেষণা রিপোর্টে বিজ্ঞানীরা যা কিছু দাবি করেছে, তা রীতিমতো আশঙ্কার। ‘বায়োসায়েন্স’ নামে এক বিজ্ঞান পত্রিকায় সম্প্রতি একটি রিপোর্ট প্রকাশিত হয়েছে। তাই সেই রিপোর্টেই উঠে এসেছে ভয়ানক সব তথ্য।
গবেষণাপত্রে কী বলা হয়েছে?
‘বায়োসায়েন্স’ পত্রিকায় একটি গবেষণাপত্র প্রকাশ করেছেন আমেরিকা, নেদারল্যান্ডস, ব্রিটেন, ব্রাজিল, অস্ট্রেলিয়া, জার্মানি এবং চিন- এই সাত দেশের মোট 12 জন বিজ্ঞানী। আর এই গবেষণাপত্রের শিরোনাম ‘দ্য 2023 স্টেট অব দ্য ক্লাইমেট রিপোর্ট: এন্টারিং আনচার্টেড টেরিটরি’। আর এই রিপোর্টেই জলবায়ু সংক্রান্ত বিশেষ কিছু পরিবর্তনের কথা বলা হয়েছে। তার মধ্যে তালিকার শীর্ষে জায়গা পেয়েছে সারা বিশ্বে অস্বাভাবিক অপপ্রবাহ। সেই সঙ্গে রয়েছে মহাসাগরের রেকর্ড তাপমাত্রা বৃদ্ধি। এখানেই শেষ নয়। অতিবৃষ্টিতে ভয়াবহ বন্যা ও ধসের কারণও উল্লেখ করা হয়েছে সেখানে। এর পাশাপাশি দক্ষিণ মেরু প্রদেশের চারপাশে থাকা সমুদ্রে ভাসমান বরফের স্তর ক্রমাগত গলতে শুরু করেছে। ফলে জলের স্তর বাড়ছে। এমনকি তা চলতি বছরেই রেকর্ড ছুঁয়েছে।
বিশ্বব্যাপী খাদ্য সঙ্কট…
বিশ্বব্যাপী যে হাতে গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমন হচ্ছে, তা খাদ্য ব্যবস্থার উপর প্রভাব ফেলছে। খাদ্যের অপচয়ও জলবায়ু পরিবর্তনের একটি কারণ, তবে খাদ্য উৎপাদনও গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে জনসংখ্যা এবং খাদ্য সরবরাহের চাহিদা বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রতি বছর গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমনের 21 থেকে 37 শতাংশের জন্য মানুষের খাদ্যাভ্যাস দায়ী। ফলে খাদ্য চক্র পৃথিবীকে আরও বেশি উষ্ণ করে তুলবে।