Viral: মুসলিম বলে শহরে ঘরভাড়া মেলেনি, হিন্দু বাড়িওয়ালাদের কথোপকথন ট্যুইটারে ফাঁস করলেন মহিলা

Muslim Lady Denied House Rent: তাঁর দোষ তিনি মুসলিম। আর সেই কারণেই বেঙ্গালুরুর একের পর এক বাড়ি কড়া নেড়েই গেলেন। কিন্তু কেউ তাঁকে বাড়ি ভাড়া দিতে চান না। শর্ত, হিন্দু পরিবার ছাড়া বাড়িভাড়া মিলবে না।

Viral: মুসলিম বলে শহরে ঘরভাড়া মেলেনি, হিন্দু বাড়িওয়ালাদের কথোপকথন ট্যুইটারে ফাঁস করলেন মহিলা
আরও একবার বেআব্রু হল এই দেশ। প্রতীকী ছবি।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Aug 22, 2022 | 7:57 AM

সঠিক বাড়ির খোঁজার থেকে কঠিন কাজ এই দুনিয়ায় আর কী-ই বা আছে! কাজটা আরও দুষ্কর হয়ে যায়, যখন পছন্দসই আস্তানার সন্ধান করেন একজন মহিলা। আর সেই কাজটা ততধিক কঠিন হয় তখন, যখন ধর্মের পরিচয়ে একের পর এক বাড়িওয়ালা মহিলা সন্ধানকারীকে মুখের উপর না করে দেন। ফের একবার দেশবাসীর মাথা হেঁট হল। হেঁট হল এই ভারতে, হেঁট করলেন এক ভারতীয়। ধর্মের পরিচয়ে এক মুসলিম মহিলাকে (Muslim Lady) বাড়িভাড়া (House Rent) দিলেন না মালিকরা। একজন বা দুজন নন, এক এক করে অনেকজনই প্রায়। বেঙ্গালুরুর (Bengaluru) সাম্প্রতিকতম এই ঘটনা নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় তোলপাড়। কারণ, ওই মহিলা বাড়িমালিকদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটগুলি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল করে দিয়েছেন।

মহিলার নাম হাইফা। তাঁর ট্যুইটার অ্যাকাউন্ট থেকে বাড়িওয়ালাদের সঙ্গে হোয়াটসঅ্যাপে হওয়া কথোপকথনের কিছু স্ক্রিনশট শেয়ার করেছেন। সেখানেই দেখা গিয়েছে, ৭৫ বছর স্বাধীনতা দিবস উদযাপনের সময় বেআব্রু হওয়ার মতো একটা ছবি।

হাইফা মোট দুটি স্ক্রিনশট শেয়ার করেছেন তাঁর সঙ্গে বাড়িমালিকদের হওয়া হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটের। দুটি চ্যাটই ভিন্ন দুই বাড়িমালিকের। তাদের মধ্যে একটি কথোপকথনে পরিষ্কার ভাবে বলা হয়েছে, বাড়ি খালি রয়েছে কিন্তু মালিক হিন্দু পরিবার ছাড়া আর কাউকেই ভাড়া দেবেন না। স্ক্রিনশট দুটি শেয়ার করে হাইফা ক্যাপশনে লিখেছেন, “স্বাধীনতার ৭৫ বছরে সবাই যখন মাতোয়ারা, তখন আমি এই ভাবে ১৫ অগস্ট কাটালাম।”

হাফিয়ার এই পোস্ট ১১ হাজারেরও বেশি লাইক এবং বহু মন্তব্য পেয়ে ভাইরাল হয়েছে। নেটিজ়েনদের একটা অংশ যেখানে হাফিয়ার কাছে ক্ষমা চেয়ে নিয়েছেন, ঠিক সেখানেই আবার কিছু মানুষ বাড়িমালিকদের মন্তব্যকেই সমর্থন করেছেন। একজন লিখেছেন, “খুবই হৃদয়বিদারক একটা ঘটনা। আপনার সঙ্গে যা ঘটেছে, তার জন্য আমি ক্ষমাপ্রার্থী।”

আর একজন ইউজ়ারের বক্তব্য, “এটা তাঁদের বাড়ি, তাঁদের কিছু বিশ্বাস আছে। সেই বিশ্বাস থেকেই তাঁরা ঠিক করেন, কাকে ভাড়া দেবেন আর কাকে দেবেন না। আমি এই ধরনের মানুষগুলোকে খুব ভাল করে চিনি। আমি যখন কলেজে পড়তাম, তখন তাঁদের মুখোমুখি হয়েছিলাম। হিন্দু, মুসলিম, কঠোর পরিবার, যাই হোক না কেন, সকলের আলাদা আলাদা নিয়ম থাকে এবং তার মধ্যে ভুল কিছু নেই।”

তৃতীয় জন যোগ করলেন, “অনেক বছর আগে যখন আমি বেঙ্গালুরুতে ছিলাম, তখন একই রকম অভিজ্ঞতা হয়েছিল। আমরা ছিলাম ৪ জন, আমাদের ২ জন হিন্দু এবং ২ জন মুসলিম বন্ধু মিলে শেয়ার্ড অ্যাপার্টমেন্টে থাকতাম। বাড়িওয়ালা আমার হিন্দু বন্ধুদের বললেন, তাঁরা চাইলে থাকতে পারেন। কিন্তু সেখানে মুসলিম থাকতে পারবেন না। আমার বন্ধুদের নিয়ে গর্বিত, তা সে যে ধর্মেই হোক না কেন। আমরা সকলে ওই অ্যাপার্টমেন্ট ছেড়ে দিয়েছিলাম।”