Viral: হোলির আজব রীতি! গাধার পিঠে চড়ানো হয় গ্রামের নতুন জামাইকে…
Unique Holi Tradition: হোলির দিন গ্রামের নতুন জামাইকে গাধার পিঠে চড়িয়ে গ্রামে ঘোরানো হয়। সবশেষে জামাইকে তাঁর পছন্দ অনুযায়ী নতুন পোশাক উপহার দেওয়া হয়।
আর মাত্র একদিন। তারপরেই রঙের উৎসব (Festival of Colours)। আসছে হোলি (Holi)। রঙের (Colours) ছোঁয়ায় সেজে উঠবে গোটা দেশ। কাশ্মীর থেকে কন্যাকুমারী মাতবে আবির (Gulal) খেলায়। কিন্তু এই হোলি উপলক্ষ্যেই এক আজব ‘রীতি’ রয়েছে মহারাষ্ট্রের এক গ্রামে। সেখানে হোলির দিন গ্রামের নতুন জামাইকে গাধার পিঠে চড়িয়ে গ্রামে ঘোরানো হয়। জামাইবাবাজি যাতে কোনওভাবেই পালাতে না পারেন, সেই জন্য চলে তীক্ষ্ণ নজরদারি। মহারাষ্ট্রের বিড় জেলার একটি গ্রামে এই প্রথার চল রয়েছে। প্রায় ১০০ বছর ধরে এই গ্রামে পালিত হচ্ছে এমন আজব রীতি। নিয়ম অনুযায়ী প্রথমে গ্রামের নতুন জামাই গাধার পিঠে চড়ে গ্রামে ঘুরবেন। সবশেষে জামাইকে তাঁর পছন্দ অনুযায়ী নতুন পোশাক উপহার দেওয়া হবে।
হোলির দিন ঠিক কী হয় মহারাষ্ট্রের ওই গ্রামে?
ঔরঙ্গাবাদ থেকে ১২৫ কিলোমিটার দূরে রয়েছে মহারাষ্ট্রের বিড় জেলার ওই গ্রাম। সারাবছর হোলির জন্য অপেক্ষা করে থাকেন গ্রামবাসীরা। আশপাশের গ্রাম থেকেও ভিড় জমান বাসিন্দারা। সকলের মধ্যে উৎসাহ উন্মাদনা তুঙ্গে। লক্ষ্য একটাই- গাধার পিঠে চড়া নতুন জামাইয়ের গ্রাম সফর দেখা। প্রতি বছরই হোলির দিন এই নিয়ম পালিত হয় ওই গ্রামে। প্রথমে হোলির তিন-চারদিন আগে থেকে খোঁজা হয় যে ওই গ্রামের নতুন জামাই কে। তারপর তিনি যাতে পালিয়ে যেতে না পারেন, সেইজন্য হোলির দিন পর্যন্ত তাঁকে চোখে চোখে রাখা হয়।
এরপর হোলির দিন শুরু হয় আসল মজা। গ্রামের মাঝখান থেকে গাধার পিঠে চড়ানো হয় গ্রামের নতুন জামাইকে। তারপর সারা গ্রাম ঘুরে সফরনামা শেষ হয় ঠিক বেলা ১১টায় গ্রামের হনুমান মন্দিরের সামনে। সেখানেই জামাইয়ের পছন্দ মতো পোশাক তাঁকে উপহার দেওয়া হয়। জানা গিয়েছে, ওই গ্রামের বাসিন্দা আনন্দরাও দেশমুখ সর্বপ্রথম এই রীতি চালু করেছিলেন। গ্রামবাসীদের কাছে অত্যন্ত সম্মানীয় ব্যক্তি ছিলেন এই আনন্দরাও দেশমুখ। জানা গিয়েছে, আনন্দরাওয়ের জামাইকে দিয়েই এই প্রথা শুরু হয় মহারাষ্ট্রের বিড় জেলার এই গ্রামে। তারপর থেকে প্রতি বছর হোলিতে এই রীতি মানা হয়।