Viral Video: বন্যার হাত থেকে বাঁচাতে তেলেঙ্গানায় দড়ি দিয়ে গাড়ি বেঁধে রাখলেন এক ব্যক্তি!
বৃষ্টির জল নবনির্মিত কালেক্টরেট ভবনেও প্রবেশ করেছিল। উৎসবের আগে বিক্রির জন্য এনে রাখা গণেশ মূর্তিগুলির অনেকগুলি ভেসে গেছে এই জলে।
মঙ্গলবার ভারী বৃষ্টিতে তেলেঙ্গানার বেশ কিছু অংশ চরম সঙ্কটের মধ্যে পড়ে যায়। বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা। রাস্ত্যা জল জমে যায় আর তার দরুন বাড়তে থাকে যানজট। আবহাওয়া বেশ খারাপ ছিল বেশ কয়েকদিন থেকেই। শেষ পর্যন্ত ভয়াবহ বৃষ্টি নামে তেলেঙ্গানায়। এমনই বৃষ্টি হয় যে রাস্তার বিভিন্ন জায়গায় জল জমে সাধারণ জীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে। এরই মাঝে একটি অদ্ভুত ঘটনা বিশেষ কয়েকজনের চোখে পড়ে। আর সেই বিশেষ কয়েকজনের দৌলতেই ভাইরাল হয়ে যায় এই ঘটনা।
বন্যা কবলিত সিরিসিলা শহরে নেওয়া হয় এই ভিডিয়ো। ইতিমধ্যেই এটা সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে ভাইরাল হয়েছে। ভিডিয়োতে দেখা গেছে একটি গাড়িকে দড়ি দিয়ে বেঁধে রাখা হয়েছে যাতে সেটা বন্যায় ভেসে না যায়।
ভিডিয়োটি দেখে নিন:
বিভিন্ন মাধ্যম থেকে জানা গেছে, গাড়ির মালিক গাড়ির চারটি প্রান্তকে দড়ি দিয়ে বেঁধে রেখেছিলেন। এরপর তিনি দড়ির অন্য প্রান্তগুলি টেনে তাঁর বাড়ির উপরে কংক্রিটের থামের সঙ্গে যুক্ত করে রেখেছিলেন। গতকাল রাত থেকে এই অঞ্চলে অত্যন্ত ভারী বৃষ্টির ফলে বন্যার আশঙ্কা দেখা যায়। বেশ কয়েকটি যানবাহন ভেসেও যায় বৃষ্টির জলে। এরকম ঘটনার সাক্ষী হওয়ার পরই গাড়ির মালিক এই সিদ্ধান্তটি নিয়েছিলেন। যদিও, রাজনা সিরসিলা জেলা থেকে প্রচারিত হওয়া ভিডিয়োগুলির মধ্যে এটাই একমাত্র নয় যা প্রবল বৃষ্টির কারণে নজিরবিহীন বন্যার সাক্ষী বহন করছে। আরও অনেক ভিডিয়োই দেখা গেছে যেখানে এই ভয়ঙ্কর বৃষ্টিতে মানুষের ভোগান্তির ছবি স্পষ্ট হয়েছে।
অধিকাংশ ভিডিয়োতেই শহরের ব্যস্ত রাস্তাগুলি জলমগ্ন থাকতে দেখা গেছে। অন্যদিকে আবাসিক এলাকাগুলো একদমই জলমগ্ন হয়ে গেছিল। পুলিশ কর্মীদেরও দেখা যায় যে তাঁরা জনবহুল এলাকা থেকে মানুষদের বের করে আনছেন। বৃষ্টির জল নবনির্মিত কালেক্টরেট ভবনেও প্রবেশ করেছিল। উৎসবের আগে বিক্রির জন্য এনে রাখা গণেশ মূর্তিগুলির অনেকগুলি ভেসে গেছে এই জলে।
গ্রেটার হায়দ্রাবাদ মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশনের (জিএইচএমসি) ডিজ্যাস্টার রেসপন্স ফোর্স (ডিআরএফ) টিম উদ্ধার এবং ত্রাণের জন্য সিরসিলায় ছুটে যায়। পৌর প্রশাসন মন্ত্রী কে.টি. রাম রাও এই কাজ পরিচালনা করেন। তিনি সিরসিলার আসনে প্রতিনিধিত্ব করেন। জিএইচএমসি এনফোর্সমেন্ট, ভিজিল্যান্স এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা পরিচালক বলেন, আমাদের এই দলগুলি অবিরাম বৃষ্টি এবং বন্যার পরিস্থিতিতে উদ্ধার ও ত্রাণ কাজে জেলা প্রশাসনকে সহায়তা করবে।
আরও পড়ুন: নীচে আগুন জ্বলছে, ফুটন্ত জলের মধ্যে বসে ধ্যান করছে এক বাচ্চা!