Fire: দাউ-দাউ করে জ্বলছে আগুন! ভোর রাতে পুড়ে ছাই সম্পুর্ণ কারখানা

West Medinipur: বেকারির মালিক পক্ষের দাবি বাইরে থেকে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে।

Fire: দাউ-দাউ করে জ্বলছে আগুন! ভোর রাতে পুড়ে ছাই সম্পুর্ণ কারখানা
আগুনে ভস্মীভূত গোটা কারখানা
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Oct 23, 2021 | 12:06 PM

পশ্চিম মেদিনীপুর:বেকারি কারখানায় আগুন। রাতের অন্ধকারে পুড়ে ছাই হয়ে গেল কারখানা। আগুন দেখে এলাকায় ছুটে আসেন স্থানীয়রা। তারা আগুন নেভানোর কাজে হাত লাগান।

পশ্চিম মেদিনীপুরের ঘাটাল থানার রাধানগর এলাকার ঘটনা। জানা গিয়েছে, আজ ভোররাতে হঠাৎ দাউ-দাউ করে জ্বলতে থাকে ওই বেকারি কারখানাটি। আগুনে পুড়ে নষ্ট হয়ে রুটি,বিস্কুট, কেক সহ সম্পূর্ণ কারখানাটি । প্রথমে স্থানীয়রা নিজেরাই আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা চালায়। কিন্ত সেই আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে না পারলে খবর দেওয়া হয় দমকলে। ঘটনাস্থানে দমকলের দু’টি ইঞ্জিন এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। ততক্ষণে যদিও আগুনে পুড়ে সম্পূর্ণ ভস্মীভূত হয়েছে বেকারিটি।

বেকারির মালিক পক্ষের দাবি বাইরে থেকে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে। এই বিষয়ে ঘাটাল থানায় লিখিত অভিযোগ জানাবেন বলেও জানিয়েছেন মালিকপক্ষ।

উল্লেখ্য, গত ২২ শে অক্টোবর কলকাতায়একটি আগুনের ঘটনা সামনে আসে। চেতলায় এক ঝুপড়িতে আগুন লাগে গতকাল। ঘটনাস্থলে দমকলের তিনটি ইঞ্জিন গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। স্থানীয়দের তৎপরতা এবং দমকল সময় মতো ঘটনাস্থলে পৌঁছনোয় বড় বিপদ এড়ানো গিয়েছে বলে দাবি এলাকার লোকজনের। তবে এই ঘটনায় তিন শিশু দগ্ধ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়। আহত হয় তাদের মা-বাবাও।

চেতলা হাটের একটি বস্তিতে এদিন সকালে আগুন লাগার ঘটনা ঘটে। একেবারে ঘিঞ্জি এলাকা হওয়ায় পরিস্থিতি মুহূর্তে ভয়াবহ হয়ে ওঠে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আগুন লাগার সময় ঘরে তিনটি বাচ্চা ছিল। তাদের নাম রাঘব মিশ্র, মাধব মিশ্র ও সাক্ষী মিশ্র। ছয় থেকে দশ বছরের মধ্যে তিনজনের বয়স। এর মধ্যে সাক্ষী মিশ্রের শারীরিক অবস্থা আশঙ্কাজনক হয়। তাদের তিনজনকেই হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়।

তাদের মা বাবা বীণা মিশ্র ও মুরলী মিশ্রও ঘরেই ছিলেন। কোনও মতে তাঁরা বাড়ির বাইরে বেরিয়ে আসেন। কী ভাবে এই আগুন লাগল তা নিয়ে ধন্দে পুলিশ। তবে এলাকার লোকজনের অভিযোগ, ঘরের মধ্যে পেট্রোল মজুত থাকতে পারে। যার জেরে এতটা ভয়াবহ হয়ে ওঠে পরিস্থিতি।

স্থানীয় সূত্রে খবর, এদিন হঠাৎই ওই ঘর থেকে কালো ধোঁয়া বের হতে দেখেন স্থানীয়রা। কিছু বোঝার আগেই আগুনের লেলিহান শিখা দাউ দাউ করে জ্বলতে থাকে। আশেপাশে প্রচুর দাহ্য পদার্থ থাকায় আগুন ধরতে বেশি সময় লাগেনি। যেহেতু একেবারে ঘিঞ্জি এলাকা। গায়ে গায়ে সমস্ত বাড়িগুলি। ফলে চিৎকার চেঁচামেচি,, ছোটাছুটি শুরু হয়ে যায়।

সঙ্গে সঙ্গে দমকলের লোকজন গেলেও ঘিঞ্জি এলাকা বলে গাড়ি ঢোকানো সম্ভব হয়নি। পাইপে জল এনে তা দিয়েই আগুন নেভানোর কাজ চলে। স্থানীয় আবাসনগুলি থেকেও বালতি ভরে জল ঢালতে থাকেন মানুষ। সকলের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।

আরও পড়ুন: North Bengal: মমতার সফরের ২৪ ঘণ্টা আগে দিল্লি থেকে উত্তরবঙ্গ পরিদর্শনে ছুটলেন বিজেপি সাংসদ