North Bengal: পর্যটন, চা শিল্পের পর এবার আইটি হাব, বাংলার অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে গুরুত্ব বাড়ছে উত্তরবঙ্গের
North Bengal: শুধু পর্যটন নয়, উত্তরবঙ্গের চা শিল্পও দেশের অর্থনীতিতে গভীর প্রভাব ফেলে। ৮৭ টি চা বাগান খোলা রয়েছে দার্জিলিঙে। এবং প্রতি বছরে প্রায় ৯.৬ মিলিয়ন কেজি চা উৎপাদন হয় দার্জিলিঙে।
দার্জিলিং: শীতের শুরু। আর শীত মানেই উত্তরবঙ্গে রমরমিয়ে জমে ওঠে পর্যটন ব্যবসা। উত্তরবঙ্গে প্রধান প্রধান পর্যটন স্থলগুলির মধ্যে রয়েছে দার্জিলিং, তরাই, ডুয়ার্স সহ আরো বিভিন্ন জায়গা। সরকারি তথ্য অনুসারে,পশ্চিমবঙ্গের জিডিপিতে পর্যটনের অবদান প্রায় ১৩ শতাংশ। অতএব নিঃসন্দেহে বলা যায় যে পশ্চিমবঙ্গের জিডিপির ক্ষেত্রে পর্যটন এক গুরত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। আর এই জিডিপির কথা মাথায় রেখে বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সন্মেলনের মঞ্চ থেকে বাংলায় বিনিয়োগের জন্য আবেদন জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পর্যটন প্রসারের কথা মাথায় রেখে বাংলার অন্যতম বিখ্যাত ডেস্টিনেশন দার্জিলিঙের মতোই আরও হিল স্টেশন তৈরির পরিকল্পনার কথা বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী। এছাড়াও টাইগার হিলস বা সান্দাকফুকেও পর্যটন মানচিত্রে আরও জোর দেওয়ার কথা জানান তিনি। বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলন থেকে তিনি জানান, বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনে থেকে মোট ৩,৭৬,২৮৮ কোটি টাকা বিনিয়োগের প্রস্তাব পাওয়া গিয়েছে। বরাবরের মতো উত্তরবঙ্গের পর্যটন শিল্প সমগ্র পশ্চিমবঙ্গে আয় ও জিডিপির ক্ষেত্রে অনেকটা বড় জায়গা করে নিয়েছে আর তার জন্যই এই পর্যটন শিল্পের কথা মাথায় রেখে নিত্যনতুন প্রকল্প তৈরি করছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার।
শুধু পর্যটন নয়, উত্তরবঙ্গের চা শিল্পও দেশের অর্থনীতিতে গভীর প্রভাব ফেলে। ৮৭ টি চা বাগান খোলা রয়েছে দার্জিলিঙে। এবং প্রতি বছরে প্রায় ৯.৬ মিলিয়ন কেজি চা উৎপাদন হয় দার্জিলিঙে। কোচবিহার, দার্জিলিং এবং জলপাইগুড়ি জেলাগুলি পশ্চিমবঙ্গের সর্বোচ্চ চা উৎপাদনকারী। চা শিল্পে পশ্চিমবঙ্গের অবদান দেশব্যাপী উৎপাদনের প্রায় ২৬%, যা অনেকটাই বৃহৎ।
কিন্তু এবার পর্যটন আর চা এর ওপর নির্ভর করে থেমে থাকবে না উত্তরবঙ্গ। উত্তরবঙ্গের শিক্ষাগত হার ভাল হলেও নেই সেই তুলনায় শিল্প। উত্তরবঙ্গের মধ্যে দার্জিলিঙের শিক্ষাগত হার ৭৯.৫৬ শতাংশ, জলপাইগুড়ির ৭৩.২৫ শতাংশ, কোচবিহারের শিক্ষাগত হার ৭৪.৭৮ শতাংশ, মালদার ৬১.৭৩ এবং উত্তর দিনাজপুরের শিক্ষাগত হার ৫৯.০৭ শতাংশ। আর এই শিক্ষাগত হারে নজরে রেখেই এবার উত্তরবঙ্গে তৈরি হবে রাজারহাটের ধাঁচে আইটি হাব। মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, উত্তরবঙ্গে আইটি হাব গড়ে তোলা হবে। আর সেই আইটি হাবের বিশেষ দায়িত্বে থাকবেন কলকাতার প্রাক্তন পুলিশ কমিশনার রাজীর কুমার। তড়িঘড়ি উত্তরবঙ্গে জমি দেখার কাজ শুরু হয়েছে। আলিপুরদুয়ার-জলপাইগুড়িতে পাট্টা তৈরি হয়ে গিয়েছে। দার্জিলিং, কালিম্পং ও মিরিকেও সমীক্ষা শুরু হয়েছে।
আইটি হাবের জন্য অধীর আগ্রহে আগ্রহী হয়ে রয়েছে উত্তরবঙ্গবাসী। দেখার বিষয় একটাই, কতদিনের মধ্যে তৈরি হবে উত্তরবঙ্গে আইটি হাব। তবে কি এবারে পশ্চিমবঙ্গের অর্থনীতির ক্ষেত্রে বিশেষ জোর দেওয়া হচ্ছে উত্তরবঙ্গের উপর?