Alipurduar: দু’দিন আগেই ‘পরিবারের সদস্যদের’ রক্তে ভেসেছিল ওই এলাকা, আজ সেখানেই মৃত্যু মুখ থেকে ফিরল সে…
Alipurduar: একটি দাঁতাল হাতি রেললাইন পার হচ্ছিল। তা দেখে ব্রেক কষে ট্রেন দাঁড় করিয়ে দেয় চালক। বৃহস্পতিবার দুপুর ৩.৪০ মিনিটে রাজাভাতখাওয়া - কালচিনির মধ্যে হাতিটি রেললাইন পার হচ্ছিল।
আলিপুরদুয়ার: দু’দিন আগে ওই জায়গায় ট্রেনের ধাক্কায় মৃত্যু হয়েছিল তিনটি হাতির। আবারও ঠিক সেই জায়গাতেই ঘোরাফেরা করছিল আরেকটি দাঁতাল। একই রকম পরিস্থিতি তৈরিও হয়েছিল। অর্থাৎ উল্টোদিক থেকে ছুটে আসছিল একটি ট্রেন। ট্রেনের ব্রেক কষে শেষমেশ একটি দাঁতাল হাতিকে বাঁচিয়ে দিলেন ট্রেনের চালক। চালকের তৎপরতায় এবার বড় দুর্ঘটনা এড়ানো সম্ভব হয়েছে।
একটি দাঁতাল হাতি রেললাইন পার হচ্ছিল। তা দেখে ব্রেক কষে ট্রেন দাঁড় করিয়ে দেয় চালক। বৃহস্পতিবার দুপুর ৩.৪০ মিনিটে রাজাভাতখাওয়া – কালচিনির মধ্যে হাতিটি রেললাইন পার হচ্ছিল। সে সময়ে ডিএন শ্রী এ.এন. ভগত ও রাকেশ ধর এলার্ট এলপি এবং এএলপি ট্রেন থামিয়ে দেন।
যে জায়গায় ৩ টি হাতির মৃত্যু হয়েছে ঠিক সেখানেই ওই দাঁতালটি ঘোরাফেরা করছিল বলে রেল সূত্রে জানা গিয়েছে। জানা গিয়েছে, ১৫-১৬ টির একটি হাতির দল ওই এলাকাতেই ঘাঁটি গেড়ে রয়েছে। ওই এলাকায় নিয়মিত ঘুরে বেরাচ্ছে হাতির দলটি। রেলের গতিবেগ বেঁধে দেওয়া হয়েছে ২৫ কিমি প্রতি ঘণ্টায়। হাতির গতিবিধি নজরে রাখতে শিকারি গেটে এক বনকর্মীকে রাখা হয়েছে।
এ ছাড়া রেলের শিকারি গেটের গেটম্যান তথা রেলকর্মী হাতি দেখলেই তৎক্ষণাৎ আলিপুরদুয়ার জংশন ষ্টেশনে ওয়াকিটকিতে জানিয়ে দিচ্ছেন। এবং ওই রুটে যাতায়াতকারী ট্রেন চালককেও জানিয়ে রেলের গতিবেগ নিয়ন্ত্রণ করছে রেল।
প্রসঙ্গত, সোমবার সকাল ৭.২৫ মিনিট নাগাদ শিলিগুড়িগামী মালগাড়িতে ধাক্কা লাগে তিনটি হাতির। একটি মা ও তার দুই সন্তান জঙ্গলের এপাশ থেকে অন্য পাশে যাচ্ছিল। মালগাড়িকে খেয়াল করেনি তারা। ট্রেনের ধাক্কায় লাইন থেকে ছিটকে দূরে গিয়ে পড়ে মা হাতিটি। দুটি শিশুর শরীর লাইনে পেঁচিয়ে যায়। ঘটনার আবার কাঠগড়ায় দাঁড়ায় রেল। তবে এবার রেলচালকের তৎপরতাতেই প্রাণে বাঁচানো সম্ভব হয় এক দাঁতালকে।