Wildlife Protection: বাড়িতে টিয়া, চন্দনা, ময়না পুষছেন? লম্বা সময়ের জন্য ঢুকতে পারেন জেলে
Alipurduar: পাহাড়ি ময়না পাখি পাচারের অভিযোগে হাসান মিঞা নামে এক ব্যক্তিকে দোষী সাব্যস্ত করেছে আলিপুরদুয়ার আদালত। বিচারক দিব্যেন্দু দাস শুক্রবার বিকেলে ওই ব্যক্তিকে তিন বছরের সশ্রম কারাদণ্ডের সাজা দিয়েছেন। একইসঙ্গে ১০ হাজার টাকা জরিমানাও করা হয়েছে ওই ব্যক্তিকে। অনাদায়ে আরও এক মাসের জেল।
আলিপুরদুয়ার: বাড়িতে টিয়া, ময়না, চন্দনা… এসব পুষছেন? সাবধান হোন। ধরা পড়লে আলিপুরদুয়ারের এই ব্যক্তির মতো লম্বা সময়ের জন্য হাজতবাস হতে পারে। পাহাড়ি ময়না পাখি পাচারের অভিযোগে হাসান মিঞা নামে এক ব্যক্তিকে দোষী সাব্যস্ত করেছে আলিপুরদুয়ার আদালত। বিচারক দিব্যেন্দু দাস শুক্রবার ওই ব্যক্তিকে তিন বছরের সশ্রম কারাদণ্ডের সাজা দিয়েছেন। একইসঙ্গে ১০ হাজার টাকা জরিমানাও করা হয়েছে ওই ব্যক্তিকে। অনাদায়ে আরও এক মাসের জেল।
চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের কামাখ্যাগুড়ি মোবাইল রেঞ্জ থেকে গ্রেফতার করা হয়েছিল হাসান মিঞাকে। বছর উনত্রিশের ওই ব্যক্তির থেকে পাওয়া গিয়েছিল সাতটি পাহাড়ি ময়না পাখি। পাগলাবাজার এলাকা থেকে ওই ব্যক্তিকে পাকড়াও করা হয়েছিল। এরপর বন্যপ্রাণী সুরক্ষা আইনের আওতায় ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা রুজু করা হয়। অবশেষে শুক্রবার আলিপুরদুয়ার আদালত অভিযুক্তের সাজা ঘোষণা করে। উল্লেখ্য, পাহাড়ি ময়না পাখি হল একটি অন্যতম বিপন্ন প্রজাতির পুাখি এবং এরা বন্যপ্রাণী সুরক্ষা আইন, ১৯৭২-এর আওতায় পড়ে। এই পাখি ঘরে পোষা কিংবা কেনা-বেচা করা সম্পূর্ণভাবে আইন বিরুদ্ধ।
বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের উপক্ষেত্র অধিকর্তা দেবাশিস শর্মা বলেন, এই সফল বিচার এবং শাস্তি এই ধরনের বন্যপ্রাণী চোরাচালানের সঙ্গে জড়িত না হওয়ার জন্য সমাজের কাছে একটি বার্তা পাঠাবে। এছাড়াও, এই সব পাখির ও অন্যান্য বন্যপ্রাণীর অবৈধ ব্যবসার বিরুদ্ধেও এটি একটি ঐতিহাসিক রায় হবে থাকবে। বিপন্ন প্রজাতিগুলিকে আগামী দিনে সংরক্ষণের প্রচেষ্টায় আরও সাহায্য হবে এতে।