Alipurduar: কখনও ফোন, কখনও আবার হোয়াটসঅ্যাপ, রাজ্যের দাবি ছেড়ে KLO আবার এটাও করছে!
Alipurduar: আলিপুরদুয়ারের বারবিশা সংলগ্ন নাজিরান দেওতিখাতা এলাকার বাসিন্দা বিনয় দাস। পেশায় ট্রাক ব্যবসায়ী। ব্যবসার সূত্রে তাঁকে অসমেও যেতে হয়। বিনয়কেই ১০ লক্ষ টাকা চেয়ে চিঠি পাঠয়েছে KLO
আলিপুরদুয়ার: এতদিন ওদের দাবি ছিল একটা গোটা আলাদা রাজ্য। এখন তা বদলেছে। এখন ফোন করে টাকা চায় KLO। হোয়াটসঅ্যাপে পাঠায় চিঠিও। বাংলাদেশের একটি মোবাইল নম্বর থেকে ফোন করে টাকা চেয়ে হুমকি KLOর।এই ঘটনায় আতঙ্কিত গোটা পরিবার। পরিবারের দাবি, এর আগেও পুজোর সময় কেএলও টাকা চেয়ে হুমকি চিঠি ওই ব্যাবসায়ীকে হোয়াটসঅ্যাপে পাঠিয়েছিল। তাতে ১০ লক্ষ টাকা দাবি করা হয়েছিল। ১০ দিন সময় দেওয়া হয়েছিল। যদিও টাকা দেননি ওই ব্যবসায়ী। তাই আবারও ফোন। রবিবার বাংলাদেশের একটি নম্বর থেকে তাঁকে দু’বার ফোন করে টাকার কথা মনে করিয়েছে কেএলও, দাবি ব্যবসায়ীর। ঘটনা আলিপুরদুয়ার জেলার অসম বাংলা সীমান্তের নাজিরানদেউতিকাতা এলাকায়।
আলিপুরদুয়ারের বারবিশা সংলগ্ন নাজিরান দেওতিখাতা এলাকার বাসিন্দা বিনয় দাস। পেশায় ট্রাক ব্যবসায়ী। ব্যবসার সূত্রে তাঁকে অসমেও যেতে হয়। বিনয়কেই ১০ লক্ষ টাকা চেয়ে চিঠি পাঠয়েছে KLO। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, চিঠিটি পাঠানো হয়েছিল হোয়াটসঅ্যাপে। ১৪ অক্টোবর পাঠানো চিঠি। অবশ্য ওই ব্যবসায়ী তা দেখেন ১৮ অক্টোবর। এরপরই তিনি পুলিশের কাছে বিষয়টি জানান। এমনকি বাংলাদেশের নম্বর থেকে হোয়াটসঅ্যাপেও ফোন করে হুমকি দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ।
ওই ব্যবসায়ীর মা, স্ত্রী ও ছেলে-মেয়ে ও বিশেষ ক্ষমতা সম্পন্ন দাদা রয়েছেন। গোটা পরিবার ভীত সন্ত্রস্ত। পুলিশ যদিও ব্যবসায়ীকে নিরাপত্তার আশ্বাস দিয়েছেন। একটা সময়ে KLO আন্দোলনের আঁতুড়ঘর ছিল কুমারগ্রামের উত্তর হলদিবাড়ি। কোচবিহারের নাজিরান দেউতিকাতায় তার শাখা প্রশাখা ছিল।
কেএলও সুপ্রিমো জীবন সিং-এর বোন সুমিত্রা বর্মন ও ধনঞ্জয় বর্মন এই গ্রামেরই বাসিন্দা। ২০০৩ সালে ভুটানে সেনা অভিযানের পর তাঁরা ধরা পড়েন। দীর্ঘদিন জেল খাটার পর তাঁরা মূল স্রোতে ফিরে এসেছেন। সুমিত্রা এখন পুলিশের হোমগার্ড পদে কাজ করেন।
২০০৩ সালে ভুটানে সেনা অভিযানের পর KLO-র মেরুদণ্ড ভেঙে যায়। কেএলও সুপ্রিমো জীবন সিং কয়েকজনকে নিয়ে বাংলাদেশে পালিয়ে যান। নতুন করে এই ফোন ঘিরে আতঙ্ক ছড়িয়েছে। পুলিশ সূত্রে খবর, ওই ব্যবসায়ীর মোবাইল ফোনে আসা চিঠিতে কামতাপুর লিবারেশন অর্গানাইজেশনের কামতাপুর ন্যাশনাল আর্মির সিও, ও কালেক্টারের সই রয়েছে। তদন্তে নেমেছে পুলিশ।