Alipurduar: এখনও অধরা অভিযুক্ত, এলাকায় পুলিশ পিকেট, বিসর্জনের শোভাযাত্রায় ছুরি হামলায় থমথমে বীরপাড়া
Alipurduar: অভিযোগ, এরই মাঝে এই যুবক পকেট থেকে ছুরি বার করে এলাকার দুই যুবকের ওপর এলোপাথাড়ি হামলা করে।
আলিপুরদুয়ার: বীরপাড়ায় প্রতিমা নিরঞ্জন শোভাযাত্রায় ছুরিকাহত দুই। ঘটনায় বীরপাড়ার ডিমডিমা চাবাগানে পরিস্থিতি থমথমে। ঘটনাস্থলে পুলিশ পিকেট বসেছে। দুজন উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। অভিযুক্ত পলাতক।অভিযুক্তকে গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছে ডিমডিমা চা বাগানের শ্রমিকরা।
শুক্রবার বীরপাড়ার ডিমডিমা চা বাগানের পুজোর প্রতিমার নিরঞ্জন শোভাযাত্রা বার হয়। পাড়ার যুবকরা ডিজে বাজিয়ে নাচগান শুরু করে। সকলে মজাই করছিলেন। কিন্তু তারই মধ্যে দুপক্ষের মধ্যে বচসা শুরু হয়। প্রথমে কথা কাটাকাটি, তারপর হাতাহাতি।
অভিযোগ, এরই মাঝে এই যুবক পকেট থেকে ছুরি বার করে এলাকার দুই যুবকের ওপর এলোপাথাড়ি হামলা করে। ঘটনায় স্থানীয় বাসিন্দা গুরু লোহারের ছেলের নাম উঠে আসছে। ঘটনার খবর জানাজানি হতেই ক্ষেপে ওঠেন স্থানীয় বাসিন্দারা। তাঁরা জড়ো হয়ে এরপর গুরু লোহারের বাড়িতে চড়াও হন। গুরু লোহার ও তাঁর ছেলেকে বেধড়ক মারধর করেন বলে পাল্টা অভিযোগ ওঠে।
রাতেই ঘটনাস্থলে পৌঁছয় বীরপাড়া থানার পুলিশ। পুলিশকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন গ্রামবাসীরা। উত্তেজিত স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে বুঝিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে পুলিশ। গ্রামবাসীদের দাবি, অভিযুক্ত গুরু লোহার ও তাঁর ছেলেকে গ্রেফতার করতে হবে। তাঁদের গ্রেফতারের দাবিতে শুক্রবার রাতে এলাকার পথ অবরোধ করে বিক্ষোভও দেখান গ্রামবাসীরা।
পুলিশ জানিয়েছে, লিখিত অভিযোগ দায়ের করে পদক্ষেপ করা হবে। আহতরা আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে চিকিত্সাধীন। তবে কেন গুরু লোহারের ছেলে ছুরি নিয়ে হামলা করল, তার এখনও স্পষ্ট কারণ জানতে পারেনি পুলিশ। আহতরা কিছুটা সুস্থ হলে, তাঁদের সঙ্গে কথা বলবে পুলিশ। অশান্তির কারণ নিয়ে স্বচ্ছ কোনও ধারণা দিতে পারেননি গ্রামবাসীরাও।
এক স্থানীয় বাসিন্দার কথায়, “হঠাত্ কেন এমনটা করে বসল জানা নেই। তবে আহত দুই যুবকের সেরমক কোনও দোষই ছিল না। অভিযুক্ত মত্ত অবস্থায় ছিল বলেই মনে হচ্ছে। পুলিশকে আমরা সবটাই জানিয়েছি। পুলিশ এখনও কাউকে গ্রেফতার করেনি।”
অভিযুক্তরা প্রকাশ্যে ঘোরায় আরও ক্ষোভ বাড়ছে এলাকাবাসীদের মধ্যে। চাপা উত্তেজনা রয়েছে এলাকায়। পুলিশ পিকেট বসানো হয়েছে। যাতে নতুন করে কোনও অপ্রীতিকর পরিস্থিতি তৈরি না হয়, তার জন্য খেয়াল রাখছে পুলিশ।
আরও পড়ুন: Ghatal: ‘ডিজে-র কেন ব্যবস্থা নেই?’, মত্তদের বায়নাক্কায় তুমুল অশান্তি ঘাটালে