Anganwadi: মেয়াদ ফুরনো ছাতু দেওয়ার অভিযোগ অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের বিরুদ্ধে
Alipurduar: অভিযোগ, ওই অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে ছাতুর প্যাকেটে তারিখ লেখার অংশ কেটে, তা গ্রাহকদের দেওয়া হয়েছে। এমনকী দোকানের প্য়াকেট থেকে ছাতু বের করে তা অন্য প্যাকেটে ঢেলে দেওয়ারও অভিযোগ উঠেছে। যাতে আসল ঘটনা সামনে না আসে। এই অভিযোগ সামনে আসতেই ওই অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের সামনে জড়ো হন এলাকার লোকজন।
আলিপুরদুয়ার: অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রগুলির খাবার নিয়ে নানা সময়ে বিভিন্ন অভিযোগ সামনে আসে। নিম্নমানের চাল, ডালের ব্যবহার থেকে রান্না করা খাবারে পোকামাকড় মিশে থাকার অভিযোগ আসে প্রায়শই। এবার অভিযোগ, অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে মেয়াদ উত্তীর্ণ ছাতু বিলির। আলিপুরদুয়ার-২ ব্লকের উত্তর পারোকাটার ৬৬ নম্বর অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে এই অভিযোগ উঠেছে।
অভিযোগ, ওই অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে ছাতুর প্যাকেটে তারিখ লেখার অংশ কেটে, তা গ্রাহকদের দেওয়া হয়েছে। এমনকী দোকানের প্য়াকেট থেকে ছাতু বের করে তা অন্য প্যাকেটে ঢেলে দেওয়ারও অভিযোগ উঠেছে। যাতে আসল ঘটনা সামনে না আসে। এই অভিযোগ সামনে আসতেই ওই অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের সামনে জড়ো হন এলাকার লোকজন। এমনকী উত্তর পারোকাটার ৬৬ অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে তালাও ঝুলিয়ে দেন গ্রামবাসীরা।
গ্রামবাসীদের অভিযোগ, অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের এক মহিলা ওই ছাতুর প্যাকেট বিলি করছিলেন। তা হাতেনাতে তাঁরা ধরেও ফেলেন। মিনতি দাস নামে ওই মহিলা অবশ্য বলেন, “এ নিয়ে আমার কিছু বলার নেই। আমাকে যা বলা হয়েছে করেছি। প্লাস্টিকের প্য়াকেট যেখানে সেখানে ফেলবে বলেই রেখাদি এভাবে দিতে বলেছেন।” তিনি জানান, রেখা অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের কর্মী। যদিও তাঁকে পাওয়া যায়নি।
তৃণমূলের ব্লক সভাপতি লিউস কুজুর বলেন, “বাচ্চাদের মেয়াদ উত্তীর্ণ ছাতু দেওয়া হলে এটা ঠিক নয়। কোনও বাচ্চার কিছু হলে তার দায় কে নেবে? এটা যারা করছে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। যিনি দায়িত্বে আছেন, তাঁর বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আমিও এলাকায় যাব।”
এ ব্যাপারে বিজেপি বিধায়ক মনোজ ওরাওঁয়ের বক্তব্য, “এটা আমার বিধানসভার পারোকাটা গ্রামপঞ্চায়েতের মধ্যে পড়ে। তবে এটা কোনও বিক্ষিপ্ত ঘটনা নয়। প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রীর নামে মারাত্মক অভিযোগ। তিনি এখন জেলে। এভাবেই এরা মানুষকে বঞ্চিত করছে। এমনকী বাচ্চাদেরও এমন খাবার দিচ্ছে।” যদিও এ নিয়ে তৃণমূলের কারও কোনও বক্তব্য এখনও পাওয়া যায়নি।