Alipurduar: ডিউটি করে ফেরার পথে নিখোঁজ, চার দিন পর নাকা চেকিং পয়েন্টের কাছেই উদ্ধার পুলিশকর্মীর দেহ

Body of police personnel found: পরিবারের অভিযোগ, খুন করা হয়েছে রতন বাবুকে। পুলিশ ইতিমধ্যেই গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। কেউ দোষী প্রমাণিত হলে, তাঁকে যোগ্য শাস্তি দেওয়া হবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন আলিপুরদুয়ারের পুলিশ সুপার ভোলানাথ পাণ্ডে।

Alipurduar: ডিউটি করে ফেরার পথে নিখোঁজ, চার দিন পর নাকা চেকিং পয়েন্টের কাছেই উদ্ধার পুলিশকর্মীর দেহ
জয়গাঁ থানার এএসপি রতন করের দেহ উদ্ধার (নিজস্ব চিত্র)
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Dec 05, 2021 | 11:11 PM

জয়গাঁ : নিখোঁজ থাকার চার দিন পর মিলল দেহ। পুলিশের নাকা চেকিং পয়েন্টের তিনশো মিটারের মধ্যে উদ্ধার জয়গাঁ থানার এএসআই রতন করের (৫২) দেহ। পরিবারের অভিযোগ, খুন করা হয়েছে রতন বাবুকে। পুলিশ ইতিমধ্যেই গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। কেউ দোষী প্রমাণিত হলে, তাঁকে যোগ্য শাস্তি দেওয়া হবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন আলিপুরদুয়ারের পুলিশ সুপার ভোলানাথ পাণ্ডে (Alipurduar SP Bholanath Pandey)।

তিন দিন ধরে কোনও খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না জয়গাঁ থানার এএসআই রতন করের। অবশেষে চতুর্থ দিনে খোঁজ মিলল। হাসিমারা দশ নম্বর বিচ চা বাগান লাগোয়া ঝোপ থেকে মিলল নিখোঁজ পুলিশ কর্মীর দেহ। তিন দিন নিখোঁজ থাকার পর বাড়ি ফিরল রতন করের নিথর, নিশ্চুপ, শীতল দেহ।

নিহত পুলিশকর্মীর বাড়ি কোচবিহারে। তবে কর্মসূত্রে জয়গাঁ থানার পুলিশ কোয়ার্টারেই থাকতেন বাহান্ন বছর বয়সি রতন কর। নিখোঁজ হওয়ার আগে তাঁকে শেষ বার দেখা গিয়েছিল বুধবার। সে দিন দুপুর বারোটায় থানা থেকে বেরিয়ে হাসিমারা পুলিশ চেকিং পয়েন্টের দিকে রওনা দিয়েছিলেন তিনি। দলসিং পাড়া পর্যন্ত বাইকেই এসেছিলেন। তারপর থেকে আর কোনও খোঁজ নেই। রতন করের মোবাইল ফোনেও একাধিকবার যোগাযোহ করার চেষ্টা করা হয়েছিল। কিন্তু ফোন বন্ধ। হাজার খোঁজাখুঁজির পরও কোনও হদিশ মেলেনি তাঁর।

অনেক খোঁজাখুঁজির পরেও কোনও লাভ না হওয়ায় বৃহস্পতিবার জয়গাঁ থানার এএসআই রতন করের নামে নিখোঁজ ডায়েরি করে তাঁর পরিবার। নিখোঁজ ডায়েরির পর ডিএসপি ট্রাফিকের নেতৃত্বে শুরু হয় তদন্ত। কিন্তু তিনদিন কেটে গেলেও, এএসআই রতন করের কোনও খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। হন্যে হয়ে খুঁজেও কোনও কিনারা করতে পারছিল না পুলিশ। অবশেষে রবিবার উদ্ধার হয় তাঁর দেহ। পুলিশের নাকা চেকিং পয়েন্টের তিনশো মিটারের মধ্যেই ঝোপের মধ্যে পড়ে থাকতে দেখা যায় এএসআই রতন করের দেহ।

যেখানে তাঁর দেহ পড়েছিল, তার পাশেই মিলেছে রতন করের হেলমেট ও বাইক। যেখানে মৃত এএসআইয়ের দেহটি উদ্ধার হয়েছে, তার তিনশো মিটারের মধ্যে ডুয়ার্স ধাবা পুলিশের নাকা পয়েন্ট। এদিকে কীভাবে ওই পুলিশকর্মীর মৃত্যু হল তা নিয়ে এখনই স্পষ্টভাবে কিছু বলতে পারছে না পুলিশ। তাঁর দেহ ময়নাতদন্তের জন্য আলিপুরদুয়ার জেলা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে এলেই বোঝা যাবে মৃত্যুর আসল কারণ। তবে প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, খুন হয়ে থাকতে পারেন রতন কর। পিছনে থাকতে পারে বালি মাফিয়াদের হাত। যদিও, ময়না তদন্তের রিপোর্ট না আসা পর্যন্ত নিশ্চিতভাবে কিছু বলা সম্ভব নয়, দাবি পুলিশের।

আরও পড়ুন : Tv9 Bangla Reporter attacked: যেন সব্যসাচী! নার্সিংহোমের মালিক, দালালচক্রের পাণ্ডা আনারুলের ‘ঠিকুজী-কুষ্ঠি’ ফাঁস করল TV9 বাংলা