Indian Army: বৃহস্পতিবার বাড়ি আসার কথা ছিল, ২ দিন আগেই ‘ফিরলেন’ জওয়ান, তবে কফিনবন্দি হয়ে
Indian Army: রানু মঙ্গরের বাড়িতে বাবা-মা ছাড়াও স্ত্রী ও দুই সন্তান রয়েছে। রয়েছে এক ভাইও। তাঁরই বিয়ের কথা রয়েছে আগামী ডিসেম্বরে। ভাইয়ের বিয়েতে যোগ দিতেই বাড়ি ফেরার কথা ছিল তাঁর। কিন্তু, তার আগেই সব শেষ।
আলিপুরদুয়ার: সেনার কাজ। খুব বড় প্রয়োজন ছাড়া ছুটি মেলা দুষ্কর। সামনেই বিয়ে রয়েছে ভাইয়ের। সেই অনুষ্ঠানে যোগ দিতেই আগামী ১৬ নভেম্বর বাড়ি ফেরার কথা ছিল দাদার। টিকিটও কাটা হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু, তার আগে তুষার ঝড় শেষ করে দিল সবটা। বাড়ি ফিরলেন, তব কফিনবন্দী হয়ে। আলিপুরদুয়ারের জয়গাঁর দলসিংপাড়ার গোপাল বাহাদুর বস্তির বাসিন্দা রানু মঙ্গর। ভারতীয় সেনার গোর্খা রেজিমেন্টের ৭/৮ ব্যাটেলিয়নের নায়েক পদে কর্মরত ছিলেন তিনি।
সূত্রের খবর, গত ১২ নভেম্বর বাড়ির লোকজনের কাছে খবর আসে তুষার ঝড়ের কবলে পড়ে মৃত্যু হয়েছে রানুর। খবর শুনে যেন নিজের কানকেই বিশ্বাস করতে পারছিলেন না পরিবারের সদস্যরা। কার্যত শোকে পাথর হয়ে যান সকলে। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ১১ নভেম্বর বিকালে কার্গিলে নিজের ডিউটিতে ছিলেন ওই সেনা জওয়ান। তখনই ভয়ঙ্কর তুষারঝড়ের কবলে পড়েন তিনি। দীর্ঘ সময় বরফের নীচেই চাপা পড়েছিল তাঁর দেহ। উদ্ধার কাজে নামে ভারতীয় সেনা। দেহ উদ্ধারের পরেই খবর দেওয়া হয় রানুর বাড়িতে।
সূত্রের খবর, রানু মঙ্গরের বাড়িতে বাবা-মা ছাড়াও স্ত্রী ও দুই সন্তান রয়েছে। রয়েছে এক ভাইও। তাঁরই বিয়ের কথা রয়েছে আগামী ডিসেম্বরে। ভাইয়ের বিয়ে যোগ দিতেই বাড়ি ফেরার কথা ছিল তাঁর। কিন্তু, তার আগেই সব শেষ। তাঁর মৃত্যুতে শোকের ছায়া দলসিংপাড়া গোপালবাহাদুর বস্তিতে। এদিনই তাঁর কফিনবন্দী দেহ আসে পাড়ায়। তাঁকে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে হাজির ছিলেন রাজ্যসভার সাংসদ প্রকাশ চিকবড়াইক,কালচিনির বিধায়ক বিশাল লামা, জেলা পরিষদের সদস্য গঙ্গাপ্রসাদ শর্মা, কালচিনির বিডিও-সহ অনেক বিশিষ্টজনই। ভিড় করেছিলেন আশপাশের এলাকার মানুষেরাও।