Clouded Leopard Day: হেঁটে বেড়াচ্ছে বিরল প্রজাতির ক্লাউডেড লেপার্ড, অদ্ভূত দৃশ্য বক্সার জঙ্গলে
Clouded Leopard Day: বর্তমানে গোটা দেশ থেকে যেভাবে ক্রমেই চিতার সংখ্যা হ্রাস পাচ্ছে সেখানে একেবারে ক্লাউডেড লেপার্ডের দেখা পাওয়া ভাগ্যের ব্যাপার বলেই মনে করছেন বনদফতরের কর্মীরা।
আলিপুরদুয়ার: জঙ্গলের মধ্য়ে হেঁটে বেড়াচ্ছে বিরল প্রজাতির ক্লাউডেড লেপার্ড (Rare species of clouded leopard)। এ দৃশ্য দেখে প্রথমে বিশ্বাসই করতে পারেননি বন দফতররের (Forest Department) কর্মীরা। যদিও শেষ পর্যন্ত বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের জঙ্গলে বিরল ক্লাউডেড লেপার্ডের দেখা মেলায় খুশির হাওয়া বন দফতরের কর্মীদের মধ্যে। প্রসঙ্গত, বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের ৭৬০ বর্গ কিমি এলাকার মধ্যে পঞ্চাশ শতাংশ মূল জঙ্গলের মধ্যে রয়েছে। এখানেই এর আগে একাধিকবার রয়েল বেঙ্গল টাইগারের (Royal Bengal Tiger) দেখা মিলেছিল। দেখা মিলতে শুরু করেছিল একাধিক বিরল প্রজাতির জন্তুদের ছবিও। তারপরই বন দফতরের তরফে এ সমস্ত এলাকায় ট্র্যাপ ক্যামেরা বসানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। তাতেই ধরা পড়ল এই বিরল চিতাবাঘের (leopard) ছবি।
তবে বেশ কিছুদিন আগে কোর এরিয়ায় ট্র্যাপ ক্যামেরায় ক্লাউডেড লেপার্ডের সন্ধান মিলেছিল। তবে তারপর থেকে আর পাত্তা পাওয়া যায়নি তাদের। এবার ফের একই ছবি ধরা পড়ল ট্র্যাপ ক্যামেরার লেন্সে। তবে জঙ্গলের মধ্যে মোট কতগুলি ক্লাউডেড লেপার্ড রয়েছে তার সঠিক হিসাব এখনও পাওয়া যায়নি। তবে বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের জঙ্গলে তাদের সংখ্যা ক্রমেই বাড়ছে বলে মত বন বিশেষজ্ঞদের। এদিকে গোটা দেশ থেকে যেভাবে ক্রমেই চিতার সংখ্যা হ্রাস পাচ্ছে সেখানে একেবারে ক্লাউডেড লেপার্ডের দেখা পাওয়া ভাগ্যের ব্যাপার বলেই মনে করছেন বনদফতরের কর্মীরা।
এ ব্যাপারে বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের উপক্ষেত্র অধিকর্তা পরভিন খাসোয়ান বলেন, “গোটা জঙ্গলেই অনেক ট্র্যাপ ক্যামেরা পাতা আছে। মাঝেমধ্যেই তাতে ক্লাউডেড লেপার্ড পাওয়া যাচ্ছে। সব সময় ছবি রিলিজ করা হয়না। যখন প্রয়োজন মনে হয় তখন রিলিজ করা হয়। আজ আন্তর্জাতিক ক্লাউডেড লেপার্ড ডে। ভালো ছবি আছে। তাই রিলিজ করে দিয়েছি। তবে এদের আসল সংখ্যা কতগুলি তা রিসার্চের পর জানা যাবে। তবে আপাতভাবে মনে হয় সংখ্যাটা ভালই। প্রায়শই ক্যামেরাতে এদের দেখা মিলছে।” প্রসঙ্গত, এর আগেও ঘুরতে আসা অনেক পর্যটকই বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের জঙ্গলে ক্লাউডেড লেপার্ড দেখতে পেয়েছিলেন বলে জানা যায়। তবে সে বিষয়ে কোনও নিশ্চয়তা দেওয়া হয়নি বন দফতরের তরফে।