TMC: এবার ভোটে দাঁড়াব না, ভোট চাইব কী বলে?, তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্য জানিয়ে দিলেন সিদ্ধান্ত

Alipurduar: এই বাঁধ নির্মাণ না হওয়ায় ক্ষোভে ফুঁসছে এলাকার স্থানীয় গ্রামবাসিন্দারাও। বর্ষার মরসুমে একপ্রকার রাতে জেগেই কাটিয়ে দেন এলাকার লোকজন।

TMC: এবার ভোটে দাঁড়াব না, ভোট চাইব কী বলে?, তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্য জানিয়ে দিলেন সিদ্ধান্ত
নদী বাঁধের কাজ না হওয়ায় ক্ষোভ।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Apr 15, 2023 | 5:05 PM

আলিপুরদুয়ার: প্রতিশ্রুতি দিলেও কাজ হয়নি। তৈরি হয়নি নদী বাঁধ। তাই আগামী পঞ্চায়েত ভোটে আর লড়বেন না বলে ঘোষণা করলেন এক পঞ্চায়েত সদস্য। আলিপুরদুয়ার (Alipurduar) শহর লাগোয়া মাঝেরডাবরি গ্রামপঞ্চায়েতের দক্ষিণ পানিয়ালগুড়ি গ্রাম। সেখানে নদী ভাঙনে তলিয়ে যাচ্ছে ফসলের ক্ষেত থেকে শুরু করে বাড়ি। অভিযোগ, বারবার প্রশাসনের দ্বারস্থ হয়েও মেলেনি সুরাহা। তাই এবার পঞ্চায়েত নির্বাচনে ভোটের লড়াই থেকে বিরত থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্য রবি দাস। এই গ্রামে বেশ কয়েক বছর ধরে কালকূট নদীর ভাঙন অব্যাহত। এই ভাঙন নিয়ে পঞ্চায়েত ভোটের আগেই শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। কটাক্ষ করতে ছাড়েনি বিরোধী দল বিজেপি থেকে শুরু করে অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলি। সূত্রের খবর, আলিপুরদুয়ার-২ পঞ্চায়েত সমিতির দক্ষিণ পানিয়ালগুড়ি গ্রামের অধিকাংশ মানুষ কৃষি জমির উপর নির্ভরশীল। কিন্তু পাহাড়ি কালকূট নদীর ভাঙনে নদীগর্ভে তলিয়ে গিয়েছে বিঘার পর বিঘা চাষের জমি এবং বাড়ি।

কোথাও বা আবার বর্ষায় নদী ফসলের জমিতে বালি পড়ে সুখা করে তুলেছে শস্য শ্যামলা ফসলের জমি। স্থানীয় গ্রামবাসীর অভিযোগ, বারবার প্রশাসন থেকে আশ্বস্ত করলেও এখনও পর্যন্ত বাঁধ নির্মাণ করেনি প্রশাসন। এদিকে এই বাঁধ নিয়ে বারবার প্রশ্নের মুখে পড়তে হচ্ছে পঞ্চায়েত সদস্যকে। তাতে অত্য়ন্ত বিরক্ত রবি। কথা দিয়ে কথা রাখতে পারছেন না বলে ভোটে না লড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি।

পাশাপাশি এই বাঁধ নির্মাণ না হওয়ায় ক্ষোভে ফুঁসছে এলাকার স্থানীয় গ্রামবাসিন্দারাও। বর্ষার মরসুমে গিয়েছি, বিডিও অফিসে গিয়েছি কোনও কাজ হয়নি। আমরা এখন দিশাহারা। মুখ দেখাতে পারছি না মানুষকে। প্রায় ৬০টা পরিবারের অবস্থা খারাপ। আমার বাবারই ৪০ বিঘা জমি চলে গিয়েছে। বিঘা দেড়েক জমি পড়ে রয়েছে। সেটাও এবার যাবে। এবার ভোটও চাইতে যেতে পারব না। ভোটে দাঁড়াব না।”

স্থানীয় বিজেপি নেতা মিঠু দাস বলেন, “তৃণমূলের প্রধান, উপপ্রধান। তারপরও মানুষের এমন করুণ পরিস্থিতি। বর্ষা আসেনি এখনও। এরপর কী হবে। অথচ শাসকদলের কোনও হেলদোল নেই। আসলে প্রধান, উপপ্রধান নিজেদের উন্নতিতেই ব্যস্ত। অন্যকারও ভাল নিয়ে মাথা ব্যথা নেই।”

যদিও জেলা তৃণমূল সভাপতি প্রকাশ চিক বরাইক বলেন, “নদী ভাঙনের সমস্যা নিয়ে প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলেছি। যেখানে যেখানে দরকার কাজ হবে। আর পঞ্চায়েত প্রধানের কাছে এত ফান্ডও থাকে না যে সেচ দফতরের কাজ করবে। যাদের করার কথা তারা ঠিকই করবে।”