Murder: মুদির দোকানে বস্তাবন্দি বিমা কর্মীর দেহ, টাকা ধার দিয়েই কি এই পরিণতি?
Purba Medinipur: সোমবার সকালে সেই টাকা আদায় করতে গৌতম রঞ্জিতের দোকানে গেলে দু'জনের মধ্যে বচসা শুরু হয় বলে অভিযোগ। এরপর দুপুর গড়িয়ে বিকাল হলেও গৌতমকে আর ফোনে পাওয়া যাচ্ছিল না। মিলছিল না খোঁজও। এরপর পরিবারের লোকজন জানতে পারেন রঞ্জিতের দোকানে এসেছিলেন, সেখানে বচসা হয়।
পূর্ব মেদিনীপুর: পাওনা টাকা নিয়ে বিমার কর্মীর সঙ্গে বচসা। অভিযোগ তার জেরেই খুন হতে হল বিমা এজেন্টকে। চণ্ডীপুর থানার চৌখালি গ্রামপঞ্চায়েতের দক্ষিণ আঠাওর গ্রামের ঘটনা। অভিযোগ, এক মুদির দোকানের ভিতর থেকে বস্তাবন্দি দেহ উদ্ধার হয় বিমা কর্মী গৌতম জানা (৪৮)-এর। এদিকে যে দোকান থেকে দেহটি উদ্ধার হয় তা রঞ্জিত মাইতির। অভিযোগ, গৌতমকে মেরে ওই দোকানঘরে গুম করে রাখা হয়। সময়মতো তা সরিয়ে ফেলারও পরিকল্পনা ছিল। এই ঘটনার পর থেকে দোকান মালিক রঞ্জিত মাইতি পলাতক।
সোমবার তখন সন্ধ্যা ৭টা। বস্তাবন্দি মৃতদেহটি উদ্ধার করে পুলিশ। গৌতম দক্ষিণ আঠাওরের বাসিন্দা। একটি জীবনবিমা সংস্থায় কাজ করতেন তিনি। অভিযোগ, সেই গৌতমের কাছ থেকে কয়েক লক্ষ টাকা ধার নেন রঞ্জিত। কিন্তু তা কিছুতেই ফেরত দিচ্ছিলেন না।
সোমবার সকালে সেই টাকা আদায় করতে গৌতম রঞ্জিতের দোকানে গেলে দু’জনের মধ্যে বচসা শুরু হয় বলে অভিযোগ। এরপর দুপুর গড়িয়ে বিকাল হলেও গৌতমকে আর ফোনে পাওয়া যাচ্ছিল না। মিলছিল না খোঁজও। এরপর পরিবারের লোকজন জানতে পারেন রঞ্জিতের দোকানে এসেছিলেন, সেখানে বচসা হয়।
অভিযোগ, রঞ্জিতকে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেছিলেন জানেন না। এরপরই তাঁর কথায় অসঙ্গতি নজরে আসে। জোর করে দোকানে ঢুকে পড়েন তাঁরা। ততক্ষণে চণ্ডীপুর থানায়ও খবর যায়। এরপর পুলিশ এসে দোকানের ভিতর থেকে বস্তাবন্দি দেহটি উদ্ধার করে। দোষীর কড়া শাস্তির দাবিতে পুলিশের কাছে দাবি জানান স্থানীয় বাসিন্দারা।
পুলিশের অনুমান, গৌতম জানাকে ভারী বস্তু দিয়ে আঘাত করে খুন করা হয়েছে। আর প্রমাণ লোপাটের জন্যই বস্তার ভিতর ঢুকিয়ে রেখে দেওয়া হয়। তদন্ত শুরু করেছে চণ্ডীপুর থানার পুলিশ। চণ্ডীপুর থানার ওসি বুদ্ধদেব মাল বলেন, “মৃতদেহটি উদ্ধার করা হয়েছে। তদন্ত না করে কিছুই বলা সম্ভব নয়। পরিবারের সদস্যদেরও জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে।” তবে এ নিয়ে নিহতের পরিবারের তরফে প্রকাশ্যে কোনও মন্তব্য করেনি। অভিযুক্তের পরিবারের কেউ কথা বলেনি। প্রতিক্রিয়া পেলে তা যুক্ত করা হবে এই প্রতিবেদনে।