Islampur: প্রধানের বাড়িতে নিমন্ত্রণ, সেখানে যাওয়ার পথেই তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর তুমুল মারামারি
Islampur: আহত জামশেদ আলি বলেন, "আমরা প্রধানের বাড়িতে অনুষ্ঠানে যাচ্ছিলাম। ১৫-১৬ জন ছিলাম। হঠাৎই আমাদের লোকগুলিকে মারতে শুরু করে। কোনও কারণ নেই। আমরা প্রধানের বাড়িতে যাচ্ছিলাম। ওরা যেতে দেবে না। রাধারগজ থেকে যাচ্ছিলাম। সেই সময় মারে। ওরা যে কেমন তৃণমূল বুঝতে পারছি না।"
উত্তর দিনাজপুর: প্রধানের বাড়িতে নিমন্ত্রণ। সেখানে যাওয়ার পথেই তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে মারামারির অভিযোগ উঠল। ইসলামপুরের এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে সোমবার উত্তপ্ত হয়ে ওঠে ইসলামপুর ব্লকের কমলাগাঁও সুজালি গ্রামপঞ্চায়েতের চোতরাগছ এলাকা। এই ঘটনায় দু’পক্ষই তাদের উপর চড়াও হওয়ার অভিযোগ তুলেছে।
সোমবার সন্ধ্যায় রাধারগছ এলাকার কিছু তৃণমূল সমর্থক বাইকে করে সুজালি এলাকায় তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি আব্দুল হকের বাড়িতে যাচ্ছিলেন। তাঁর স্ত্রী পঞ্চায়েত প্রধান। অভিযোগ, সেখানে যাওয়ার সময় চোতরাগছ এলাকায় জেলা পরিষদের সদস্যের স্বামী তথা স্থানীয় তৃণমূল নেতা জাহিদুল রহমানের গোষ্ঠীর লোকেরা তাঁদের উপর লাঠি নিয়ে হামলা চালায়।
বাইক ভাঙচুর, বেধড়ক মারধরের অভিযোগ আরেকপক্ষের। আহতদের উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয় ইসলামপুর মহকুমা হাসপাতালে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় ইসলামপুর থানার পুলিশ। যদিও এ নিয়ে জাহিদুল রহমানের তরফে কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
আহত জামশেদ আলি বলেন, “আমরা প্রধানের বাড়িতে অনুষ্ঠানে যাচ্ছিলাম। ১৫-১৬ জন ছিলাম। হঠাৎই আমাদের লোকগুলিকে মারতে শুরু করে। কোনও কারণ নেই। আমরা প্রধানের বাড়িতে যাচ্ছিলাম। ওরা যেতে দেবে না। রাধারগজ থেকে যাচ্ছিলাম। সেই সময় মারে। ওরা যে কেমন তৃণমূল বুঝতে পারছি না।”
অন্যদিকে আব্দুল হকের অনুগামী হিসাবে নিজেকে দাবি করে আজিজুল হক বলেন, “প্রধানের বাড়িতে নিমন্ত্রণ ছিল। আমরা সকলে সেখানেই যাচ্ছিলাম। চোতরাগছের মোড়ে একদল লোক এসে আমাদের উপর লাঠি চালায়। আমাদের তিনজন কোনওক্রমে পালিয়ে প্রধানের বাড়িতে যাই। ওরা বাকিদের আটকে রেখেছিল। প্রধানকে গিয়ে সবটা জানাই। ওরা জাহিদুলের লোক। আমরা আব্দুলের লোক। আমরা সকলেই তৃণমূল করি। তবে ওরা কেন গোলমাল করছে বুঝতে পারছি না। কোনও ঝামেলা হয়েছে এমনও নয়। এসে সোজা মারতে শুরু করল।”