Bankura BJP: খারাপ ফল হতেই রদবদল BJP-র, বাঁকুড়ায় ৯ ও বিষ্ণুপুরে ১০ মণ্ডল সভাপতির পদ বদল
Bengal BJP: লোকসভা ও বিধানসভা নির্বাচনের দিকে লক্ষ্য রাখলে দেখা যাবে বাঁকুড়ায় যথেষ্ঠ ভাল ফল করেছিল গেরুয়া শিবির। জেলার দুটি লোকসভা আসনই রয়েছে বিজেপির দখলে।
বাঁকুড়া: গ্রাম দখলের লড়াইয়ে বাঁকুড়ায় খুব একটা ভাল ফল করেনি বিজেপি। অনেকটা জমি হারিয়েছে গেরুয়া শিবির। আর তারপরই বড়সড় বদল জেলায়। বাঁকুড়া সাংগঠনিক জেলার ২৮ টির মধ্যে ৯ জন মণ্ডল সভাপতি পদে রদবদল ঘটানো হল। অপরদিকে, বিষ্ণুপুরে বদলানো হল ১০ জন মণ্ডল সভাপতিকে। বিজেপি-র দাবি, স্বাভাবিক নিয়মেই এই বদল হয়েছে।
লোকসভা ও বিধানসভা নির্বাচনের দিকে লক্ষ্য রাখলে দেখা যাবে বাঁকুড়ায় যথেষ্ঠ ভাল ফল করেছিল গেরুয়া শিবির। জেলার দুটি লোকসভা আসনই রয়েছে বিজেপির দখলে। ২০২১ এর বিধানসভা নির্বাচনে ১২ টির মধ্যে ৮ টিতেই জয় ছিনিয়ে নিয়েছিল তারা। কিন্তু পঞ্চায়েতের ফল দেখে রাজনৈতিক মহল বলছে, আগেই সেই সাফল্যে কিছুটা হলেও বিচ্যুতি ঘটেছে।
বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক জেলায় ৮টি গ্রাম পঞ্চায়েত বিজেপি দখল করতে পারলেও বাঁকুড়া সাংগঠনিক জেলাতে সবেধন নিলমনি গোড়াবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতে জয় পেয়েছে বিজেপি।
আগের চিত্র দেখলে বোঝা যাবে, ২০১৮ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনে জেতা একাধিক গ্রাম পঞ্চায়েত এই নির্বাচনে হাতছাড়া হয়েছে গেরুয়া শিবিরের। গ্রাম পঞ্চায়েত নির্বাচনে বিজেপির এই খারাপ ফলে রীতিমত হতাশ নিচু তলার বিজেপি কর্মী সমর্থকরা।
এই পরিস্থিতিতে সম্প্রতি বাঁকুড়া সাংগঠনিক জেলার ২৮ টি মণ্ডলের মধ্যে ৯ টি মণ্ডলে এবং বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক জেলার ২৫ টি মণ্ডলের মধ্যে ১০ টি মণ্ডলে রদবদল ঘটানো হয়েছে বলে গেরুয়া শিবির সূত্রে খবর।
রাজনৈতিক মহলের ধারণা ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনকে মাথায় রেখে দলীয় সংগঠনকে আরও শক্তিশালী করতে চাইছে বিজেপি। সঙ্গে হতাশ কর্মীদের মনোবল বৃদ্ধির উদ্যেশ্যেই এই রদবদল ঘটানো হয়েছে।
বিজেপির অপসারিত মণ্ডল সভাপতিরা ও দলের জেলা নেতৃত্বের দাবি বেশ কয়েকজন মণ্ডল সভাপতির মেয়াদ ৬ বছর অতিক্রম করে যাওয়ায় দলের সংবিধান অনুযায়ী তাদের পদ থেকে সরিয়ে জেলা কমিটিতে জায়গা দেওয়া হয়েছে। কিছুক্ষেত্রে নিস্ক্রিয় পদাধিকারীকেও সরিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে বিজেপির জেলা নেতৃত্ব।
তবে বিজেপি যাই বলুক তৃণমূল অবশ্য এই রদবদলকে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি। শাসক শিবিরের দাবি পঞ্চায়েত নির্বাচনের ফলাফল দেখে ভয় পেয়ে গিয়ে বিজেপি রদবদল ঘটিয়ে সংগঠন মজবুত করার চেষ্টা করছে। কিন্তু তাতে তেমন লাভ হবে না।