Bankura Road: রঙচঙে ফলকে লেখা সংশ্লিষ্ট তারিখ, কিন্তু তা পেরল কবেই! রাস্তার কাজ আজও ‘রাস্তাতেই’ কিন্তু টাকা ‘উধাও’

Bankura Road: ফলকে প্রকল্পের কাজ শুরুর তারিখ উল্লেখ করা হয় ২০২২ সালের মার্চ মাসে। কিন্তু বছর ঘুরতে চললেও ওই প্রকল্পের কাজ আজও হয়নি।

Bankura Road: রঙচঙে ফলকে লেখা সংশ্লিষ্ট তারিখ, কিন্তু তা পেরল কবেই! রাস্তার কাজ আজও 'রাস্তাতেই' কিন্তু টাকা 'উধাও'
বাঁকুড়ায় বেহাল রাস্তা
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Feb 07, 2023 | 3:11 PM

বাঁকুড়া: রাস্তার ধারে প্রকল্পের রঙচঙে ফলক তৈরি হয়েছিল। সেই ফলকে স্পষ্ট হরফে লেখা রয়েছে কাজ শুরুর তারিখ, অনুমোদিত ব্যয় বরাদ্দ। কিন্তু রাস্তা ঢালাইয়ের কাজ আর শুরু হয়নি। বিজেপি বিধায়কের দাবি, প্রকল্পের কাজ না করেই তুলে নেওয়া হয়েছে প্রকল্পের টাকা। পঞ্চায়েতের দাবি, একশো দিনের প্রকল্পে টাকা না মেলায় ফলক দিয়েও প্রকল্পের কাজ শুরু করা যায়নি। বাঁকুড়া এক নম্বর ব্লকের জগদল্লা দু’নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের মাঞ্জুরিয়া গ্রামে গ্রামীণ কাঁচা রাস্তা ঢালাই করার জন্য ২০২১ – ২২ অর্থবর্ষে মোট ২ লক্ষ ২৮ হাজার ৭৮৩ টাকা বরাদ্দ করে স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েত। সরকারি টাকায় ওই প্রকল্পের তথ্য সম্বলিত ফলক লাগানো হয় মাঞ্জুরিয়া গ্রামের প্রান্তে।

ফলকে প্রকল্পের কাজ শুরুর তারিখ উল্লেখ করা হয় ২০২২ সালের মার্চ মাসে। কিন্তু বছর ঘুরতে চললেও ওই প্রকল্পের কাজ আজও হয়নি। প্রকল্পের তথ্য সম্বলিত ফলক রাস্তার ধারে উল্টে পড়েছে, গ্রামের কাঁচা রাস্তার হাল বদলায়নি এতটুকুও। প্রকল্পের কাজ শুরু করার দাবিতে গ্রামবাসীরা একাধিকবার গ্রাম পঞ্চায়েত ও স্থানীয় ব্লক প্রশাসনের দরজায় কড়া নাড়লেও লাভ না হওয়ায় হতাশ।

বাঁকুড়ার বিজেপি বিধায়ক এলাকা পরিদর্শনে গিয়ে গ্রামবাসীদের মুখে ঘটনার কথা শোনেন। এর যাবতীয় দায় চাপালেন স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েতের বিরুদ্ধে। বিধায়কের দাবি প্রকল্পের কাজ না করে ওই প্রকল্পের বরাদ্দ টাকা তুলে নেওয়া হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে বিধানসভায় সরব হওয়ার হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন বিধায়ক। বিজেপি বিধায়কের দুর্নীতির অভিযোগকে নাটক বলে উল্লেখ করে স্থানীয় তৃণমূল পরিচালিত জগদল্লা দু’নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধানের দাবি, একশো দিনের কাজের প্রকল্পে ওই অর্থ বরাদ্দ করা হয়েছিল। কিন্তু একশো দিনের কাজের প্রকল্পে দীর্ঘদিন কোনও টাকা না মেলায় ওই প্রকল্পের কাজ শুরু করা যায়নি। গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধানের সুরে সুর মিলিয়েছেন বাঁকুড়া এক নম্বর ব্লকের বিডিও।