Bankura Cultivation: বৃষ্টি নেই, অশনি সঙ্কেত দেখছেন আমন ধানের চাষিরা
Bankura Cultivation: এমনিতে বাঁকুড়া জেলার অধিকাংশ জমি অসেচসেবিত। সাধারণত জানুয়ারি থেকে জুলাই পর্যন্ত জেলায় ৭৩৮ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়। চলতি বছর ১২ জুলাই পর্যন্ত জেলায় বৃষ্টি হয়েছে মাত্র ৪০০ মিলিমিটার।
বাঁকুড়া: ভরা বর্ষা। অথচ ঝমঝমে বৃষ্টি নেই। নীল আকাশে শরতের মতো ভেসে বেরাচ্ছে সাদা মেঘের ভেলা। নির্জলা জমিতে আমন ধান রোপণের কাজ শুরুই করতে পারেননি বাঁকুড়ার অধিকাংশ আমন চাষি। বৃষ্টির অভাবে আমনের মরসুম পিছিয়ে গেলে উৎপাদন ঘাটতির জেরে চালের দাম যে আরও বৃদ্ধি হবে তা বলাই বাহুল্য। জুনের গোড়া থেকে জুলাইয়ের মাঝামাঝি আমন ধানের বীজতলা তৈরি থেকে ধান রোপণের কাজ সারেন চাষিরা।
কিছু উঁচু জমিতে অগস্ট মাসেও ধান রোপণের কাজ হয় বাঁকুড়া জেলায়। চলতি বছর জুনের গোড়ায় কিছুটা বৃষ্টি মেলায় আশা নিয়ে বীজতলায় বীজধান বপন করেছিলেন বাঁকুড়ার কয়েক হাজার আমন চাষি। ধান রোপণের জন্যে বীজতলায় ২১ দিন বয়সের ধানের চারা আদর্শ। সেই বীজতলা তৈরি হয়ে গেলেও আমনের চারা রোপণের ক্ষেত্রে চূড়ান্ত সমস্যায় পড়েছেন জেলার আমন চাষিরা।
এমনিতে বাঁকুড়া জেলার অধিকাংশ জমি অসেচসেবিত। সাধারণত জানুয়ারি থেকে জুলাই পর্যন্ত জেলায় ৭৩৮ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়। চলতি বছর ১২ জুলাই পর্যন্ত জেলায় বৃষ্টি হয়েছে মাত্র ৪০০ মিলিমিটার। অর্থাৎ ১২ জুলাই পর্যন্ত জেলায় বৃষ্টির ঘাটতির পরিমাণ প্রায় সাড়ে তিনশো মিলিমিটার। এর ফলে ধান রোপণের কাজ শুরুই করতে পারেননি জেলার অধিকাংশ চাষি। বাঁকুড়া জেলায় সাধারণত ৩ লক্ষ ৮২ হাজার হেক্টর জমিতে আমন চাষ হয়। অন্যান্য বছর জুলাইয়ের মাঝামাঝি পর্যন্ত প্রায় চার হাজার হেক্টর জমিতে আমন রোপণের কাজ হয়ে যায়।
কৃষি দফতরের হিসাব অনুযায়ী, জেলায় ১২ জুলাই পর্যন্ত মাত্র ১ হাজার হেক্টর জমিতে আমন রোপণের কাজ করা সম্ভব হয়েছে। আর এতেই প্রমাদ গুনছেন জেলার কৃষকরা। মরসুম পিছিয়ে পড়ায় উৎপাদন ঘাটতি ও তার জেরে ফের চালের দাম বৃদ্ধির আশঙ্কায় দিন গুনছেন জেলার কৃষকরা।
তবে এখনই হাল ছাড়তে নারাজ কৃষি দফতর। কৃষি দফতরের দাবি, এখনও ভারী বৃষ্টি হলে ধান রোপণের কাজে গতি আসবে। এখন কবে সেই ভারী বৃষ্টি হয় সেদিকেই চাতক পাখির মতো তাকিয়ে জেলার আমন চাষিরা।