Bankura TMC: প্রাক্তন হয়েও স্কুল পরিচালন সমিতির সভাপতিদের তালিকায় বিধায়কের স্ট্যাম্প ব্যবহার! বিতর্ক ঘিরে প্রকাশ্যে গোষ্ঠীকোন্দল
Bankura TMC: প্রাক্তন বিধায়ক হওয়া সত্ত্বেও সভাপতিদের নামের তালিকার প্রস্তাবপত্রে নিজের বিধায়কের স্ট্যাম্প ব্যবহার করার অভিযোগও উঠেছে শ্যামল সাঁতরার বিরুদ্ধে।
বাঁকুড়া: কোতুলপুর বিধানসভা এলাকার সমস্ত স্কুলে পাঠানো পরিচালন সমিতির সভাপতিদের নামের তালিকা ঘিরে ফের প্রকাশ্যে চলে এল তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। এলাকার প্রাক্তন বিধায়ক শ্যামল সাঁতরা নিজের কাছের লোকেদের স্কুলগুলির পরিচালন সমিতিতে বসিয়েছেন, এই অভিযোগ তুলে সরব হয়েছেন তৃনমূলেরই একাংশ । প্রাক্তন বিধায়ক হওয়া সত্ত্বেও সভাপতিদের নামের তালিকার প্রস্তাবপত্রে নিজের বিধায়কের স্ট্যাম্প ব্যবহার করার অভিযোগও উঠেছে শ্যামল সাঁতরার বিরুদ্ধে। বিষয়গুলি নিয়ে দলের রাজ্য নেতৃত্বের দ্বারস্থ হওয়ার কথাও জানিয়েছেন তৃনমূলের জয়পুর ও কোতুলপুর ব্লক নেতৃত্ব। দলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব নিয়ে মুখ না খুললেও প্রাক্তন হয়ে বিধায়কের স্ট্যাম্প ব্যবহারকে ক্লারিক্যাল ভূল বলে দাবি করেছেন শ্যামল সাঁতরা।
বাঁকুড়ার কোতুলপুর বিধানসভা এলাকার মধ্যে পড়ে জয়পুর ও কোতুলপুর ব্লক। এই দুটি ব্লকের স্কুলগুলিতে দীর্ঘদিন ধরে পরিচালন সমিতি না থাকায় পরিচালন গত বিভিন্ন সমস্যায় পড়ছিল স্কুলগুলি। সম্প্রতি কোতুলপুরের প্রাক্তন বিধায়ক তথা রাজ্যের পঞ্চায়েত দফতরের প্রাক্তন রাষ্ট্রমন্ত্রী শ্যামল সাঁতরা স্কুলগুলির পরিচালন সমিতির সভাপতি ও সদস্যদের নাম প্রস্তাব আকারে জমা দেন স্কুল শিক্ষা দফতরে। সেই তালিকা অনুযায়ী সম্প্রতি স্কুলগুলির পরিচালন সমিতির সভাপতি ও সদস্যদের নাম স্কুল শিক্ষা দফতরের তরফে সংশ্লিষ্ট স্কুলগুলিকে পাঠানো হয়। স্কুল শিক্ষা দফতরের সেই চিঠি স্কুলগুলিতে এসে পৌঁছাতেই তৃনমূলের একাংশের মধ্যে তৈরি হয় ব্যাপক ক্ষোভ। তৃণমূলের কোতুলপুর ও জয়পুর ব্লক নেতৃত্ব প্রকাশ্যেই মুখ খোলেন এলাকার প্রাক্তন বিধায়ক শ্যামল সাঁতরার বিরুদ্ধে।
তাঁদের দাবি তৃণমূলের ব্লক নেতৃত্বকে সম্পূর্ণ অন্ধকারে রেখে শ্যামল সাঁতরা এলাকার প্রতিটি স্কুলে তাঁর পছন্দের লোকদের পরিচালন সমিতির পদে বসিয়েছেন। অভিযোগ, কিছু ক্ষেত্রে নিয়ম বহির্ভূত ভাবে পঞ্চায়েত ও পঞ্চায়েত সমিতির পদাধিকারীদেরও স্কুল পরিচালন সমিতির গুরুত্বপূর্ণ পদে বসানো হয়েছে। শ্যামল সাঁতরা স্কুল পরিচালন সমিতির পদাধিকারীদের নামের যে তালিকা স্কুল শিক্ষা দফতরে পাঠিয়েছেন তা নিয়েও বিতর্ক তৈরি হয়েছে।
তৃণমূলের স্থানীয় ব্লক নেতৃত্বের দাবি, শ্যামল সাঁতরা প্রাক্তন বিধায়ক হলেও প্রস্তাবপত্রে শ্যামল সাঁতরা বিধায়কের স্ট্যাম্প ব্যবহার করেছেন। এই বেনিয়মগুলি নিয়ে তৃণমূলের রাজ্য নেতৃত্বের দ্বারস্থ হওয়ার কথাও জানিয়েছেন তৃণমূলের ওই দুই ব্লক নেতৃত্ব।
শ্যামল সাঁতরা দলের ব্লক নেতৃত্বের ক্ষোভ নিয়ে মুখ খুলতে না চাইলেও প্রাক্তন বিধায়ক হয়ে বিধায়কের স্ট্যাম্প ব্যবহার নিয়ে ক্লারিক্যাল ভূলের সাফাই দিয়েছেন।