Recruitment Case: এবার গ্রেফতার প্রাক্তন শিক্ষাকর্তার স্ত্রী! মুখ লুকিয়ে উঠলেন প্রিজন ভ্যানে

SSC: বুধবার তাঁকে বাঁকুড়া জেলা আদালতে পেশ করা হলে বিচারক জেসমিনের ৪ মার্চ পর্যন্ত জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন। অভিযোগ রয়েছে, স্কুল সার্ভিস কমিশনের পশ্চিমাঞ্চল ও উত্তরাঞ্চলের চেয়ারম্যান থাকাকালীন প্রভাব খাটিয়ে নিজের স্ত্রীকে চাকরি পাইয়ে দিয়েছিলেন শেখ সিরাজউদ্দিন। মেয়াদ উত্তীর্ণ প্যানেল থেকে জেসমিন খাতুনের চাকরি হয়েছিল বলে অভিযোগ।

Recruitment Case: এবার গ্রেফতার প্রাক্তন শিক্ষাকর্তার স্ত্রী! মুখ লুকিয়ে উঠলেন প্রিজন ভ্যানে
সিআইডির হাতে গ্রেফতারImage Credit source: TV9 Bangla
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Feb 21, 2024 | 7:42 PM

বাঁকুড়া: বেআইনিভাবে চাকরি পাওয়ার অভিযোগ উঠেছিল। এবার সিআইডির হাতে গ্রেফতার হলেন স্কুল সার্ভিস কমিশনের উত্তর ও পশ্চিমাঞ্চলের প্রাক্তন চেয়ারম্যান শেখ সিরাজউদ্দিনের স্ত্রী জেসমিন খাতুন। বুধবার তাঁকে বাঁকুড়া জেলা আদালতে পেশ করা হলে বিচারক জেসমিনের ৪ মার্চ পর্যন্ত জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন। অভিযোগ রয়েছে, স্কুল সার্ভিস কমিশনের পশ্চিমাঞ্চল ও উত্তরাঞ্চলের চেয়ারম্যান থাকাকালীন প্রভাব খাটিয়ে নিজের স্ত্রীকে চাকরি পাইয়ে দিয়েছিলেন শেখ সিরাজউদ্দিন। মেয়াদ উত্তীর্ণ প্যানেল থেকে জেসমিন খাতুনের চাকরি হয়েছিল বলে অভিযোগ।

জানা যাচ্ছে, ২০১৫ সালের এসএসসির বাতিল করা প্যানেলের ভিত্তিতে ২০১৯ সালের নভেম্বরে কাজে যোগ দেন তিনি। বাঁকুড়ার ইন্দপুর ব্লকের ভতড়া শ্রীদুর্গা বিদ্যায়তন হাইস্কুলে সংস্কৃতের শিক্ষিকা হিসেবে নিযুক্ত হন জেসমিন। প্রসঙ্গত, শেখ সিরাজউদ্দিনের বিরুদ্ধে ইতিপূর্বেই পদক্ষেপ করেছে এসএসসি। অভিযোগের বিষয় উঠে আসতেই শেখ সিরাজউদ্দিনকে স্কুল সার্ভিস কমিশনের উত্তর ও পশ্চিমাঞ্চলের প্রাক্তন চেয়ারম্যানের পদ থেকে সড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল। এসবের মধ্যেই এবার সিআইডির হাতে গ্রেফতার হলেন এসএসসির প্রাক্তন পদস্থ কর্তার স্ত্রী।

প্রসঙ্গত, গ্রেফতারির পরপরই জানা যাচ্ছে জেসমিন খাতুনের শিক্ষিকা হিসেবে বেতন বন্ধ করার জন্য ভতড়া শ্রীদুর্গা বিদ্যায়তনকে নির্দেশ দিয়েছেন জেলা স্কুল পরিদর্শক। বাঁকুড়া জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক পীযুষকান্তি বেরা জানাচ্ছেন, ‘ওনার গ্রেফতারির বিষয়টি আমি জানি না। তবে ওনার বেতন বন্ধ করার জন্য সংশ্লিষ্ট স্কুলকে লিখিত নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’

জেসমিনের আইনজীবী সৌরিশ মুখোপাধ্যায়ের বক্তব্য, ‘চাকরিতে নিয়োগপত্রে কোনও জাল নেই। কিন্তু যেটা বলা হচ্ছে, ২০১৫ সালে একটি প্যানেলের মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে গিয়েছে, কিন্তু তিনি চাকরি পেয়েছেন ২০১৯ সালে। মূল যে অভিযোগ করা হচ্ছে, তাঁর নিয়োগপত্র সঠিক নয়। কেউ একটা প্রচ্ছন্ন সুপারিশ করেছেন, যার ভিত্তিতে এই নিয়োগ হয়েছে, যেটা হওয়া উচিত ছিল না। এটাই মূল অভিযোগ।’