Bankura: উজালা যোজনা প্রকল্পে তুমুল গন্ডগোল, TMC-BJP দুষল একে অন্যকে

Bankura: কেন্দ্রীয় মন্ত্রী গ্রামে পৌঁছতেই শুরু হয় গন্ডগোল। সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল ভিডিয়োতে দেখা যাচ্ছে কয়েকজনের সঙ্গে তুমুল বচসা চলছে কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রীর। বচসার মাঝেই লোকজনকে বলতে শোনা যাচ্ছে একশো দিনের প্রকল্প ও আবাস যোজনার টাকার দাবি।

Bankura: উজালা যোজনা প্রকল্পে তুমুল গন্ডগোল, TMC-BJP দুষল একে অন্যকে
তুমুল গন্ডগোল বাঁকুড়ায়Image Credit source: Tv9 Bangla
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Nov 19, 2023 | 11:15 AM

বাঁকুড়া: উজালা যোজনায় গ্যাস বিতরণ শিবিরে কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সুভাষ সরকারকে কেন্দ্র করে তীব্র উত্তেজনা। গন্ডগোল হল বাঁকুড়ার ছাতনা ব্লকের বাঁদরডিহা গ্রামে। প্রতিমন্ত্রীর দাবি, হাতে গোনা কয়েকজন তৃণমূল নেতা ঝামেলার চেষ্টা করছিলেন। তবে গ্রামবাসীরাই তাদের প্রতিরোধ করে তাড়িয়ে দেন। অপরদিকে, ঘাসফুল শিবিরের দাবি, একশো দিনের প্রকল্প সহ বিভিন্ন প্রকল্পের টাকা কেন্দ্র না দেওয়ায় গ্রামবাসীদের ক্ষোভের মুখে পড়তে হয়েছে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে।

বাঁকুড়ার গ্রামে-গ্রামে শিবির করে উজালা যোজনার গ্যাস বিতরণ কর্মসূচি চলছে। শনিবার বাঁকুড়ার ছাতনা ব্লকের শালডিহা গ্রাম পঞ্চায়েতের বাঁদরডিহা গ্রামে বসেছিল সেই শিবির। অভিযোগ, গতকাল বিকালে সেখানে যান কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সুভাষ সরকার। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী গ্রামে পৌঁছতেই শুরু হয় গন্ডগোল। সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল ভিডিয়োতে দেখা যাচ্ছে কয়েকজনের সঙ্গে তুমুল বচসা চলছে কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রীর। বচসার মাঝেই লোকজনকে বলতে শোনা যাচ্ছে একশো দিনের প্রকল্প ও আবাস যোজনার টাকার দাবি।

অপরদিকে, সুভাষ সরকারের দাবি তৃণমূলের কয়েকজন গন্ডগোল পাকানোর চেষ্টা করতেই গ্রামবাসীরা তাদের তাড়া করে নিয়ে যায়। যদিও, এই ঘটনায় তাঁদের যোগ উড়িয়ে দিয়েছে তৃণমূল। ঘাস দাবি, সাংসদ হিসাবে সুভাষ সরকার কোনও কাজ করেননি। তাছাড়া এই সাংসদদের কথাতেই কেন্দ্র বিভিন্ন প্রকল্পের টাকা আটকে রেখেছে। সেজন্য এলাকার মানুষ কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রীকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন।

শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সুভাস সরকার বলেন, “তৃণমূল অঞ্চল সভাপতি ও তাদের তিন সাগরেদকে ওইখানকার মহিলারা তাড়া করে তাড়িয়ে দিয়েছে। তার কারণ ওই খানে বিনামূল্যে গ্যাস বিতরণ চলছিল। সেখানে বাধা সৃষ্টি করায় এই ঘটনা ঘটেছে।” তৃণমূলের বাঁকুড়া সাংগঠনিক জেলা সভাপতি অরুপ চক্রবর্তী বলেন, “”একশো দিনের টাকা বন্ধ, ঘরের টাকা বন্ধ, সেই কারণে মানুষের ক্ষোভের মুখে পড়েছে তারা। আমরা চাইছি টাকা দিক। আর সুভাসবাবু রাজ্যের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করছেন উনি কেন বলছেন না?”