Bankura: মিড ডে মিল খেয়ে বাড়ি চলে যাচ্ছে পড়ুয়ারা, স্কুলেই যেতেই কারণ শুনে ঘুমে উড়ে গেল আধিকারিকদের

Bankura: নির্দিষ্ট কারণ ছাড়াই প্রতিদিন টিফিনে ছুটির ঘণ্টা বাজছে স্কুল। অভিযোগ পেয়ে স্কুলে গিয়ে এমন হাল দেখে স্কুলকে সতর্ক করলেন সভাধিপতি। অভিযোগ অস্বীকার শিক্ষিকাদের। সার্কেলের স্কুল পরিদর্শক দিলেন ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস।

Bankura: মিড ডে মিল খেয়ে বাড়ি চলে যাচ্ছে পড়ুয়ারা, স্কুলেই যেতেই কারণ শুনে ঘুমে উড়ে গেল আধিকারিকদের
শোরগোল স্কুলে Image Credit source: TV-9 Bangla
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jul 26, 2024 | 1:57 PM

বাঁকুড়া: স্কুলে মিড ডে মিল হয়। টিফিনে সেই মিড ডে মিল খাইয়ে পড়ুয়াদের বাড়ি পাঠিয়ে দেওয়া হয়। এমন অভিযোগ পেয়ে সরেজমিনে স্কুলে হাজির হলেন সভাধিপতি। বিষয়টি ব্লক প্রশাসন ও শিক্ষা দফতরের নজরে আনার পাশাপশি স্কুল কর্তৃপক্ষকে সতর্ক করলেন সভাধিপতি। প্রতিদিন এমন ঘটনা ঘটে না, এদিন টানা লোডশেডিংয়ের জন্যই টিফিনে ছুটি দেওয়া হয়েছে, সাফাই স্কুল শিক্ষিকার। ঘটনা বাঁকুড়ার তালডাংরা ব্লকের আসনা গ্রামের। 

বাঁকুড়ার তালডাংরা ব্লকের আসনা জুনিয়ার হাইস্কুলে পঞ্চম থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত চারটি ক্লাসে পড়ুয়ার সংখ্যা সব মিলিয়ে ১০৭ জন। শিক্ষক-শিক্ষিকা আছেন ৪ জন। স্থানীয়দের দাবি, শিক্ষক-শিক্ষিকারা স্কুলে আসেন মর্জিমাফিক। অভিযোগ, সবাই রোজ আসেন এমনটাও নয়। স্কুল ছুটি দেওয়ার ক্ষেত্রেও সরকারি কোনও নিয়ম-নীতির ধার ধারেন না। অভিযোগ, প্রায় দিনই কোনও না কোনও অজুহাত দেখিয়ে টিফিনের সময় মিড ডে মিলে পরেই ছুটি দিয়ে দেওয়া হয় স্কুল। স্থানীয়দের কাছে এমন অভিযোগ পেয়ে এদিন সরেজমিনে অভিযোগ খতিয়ে দেখতে স্কুলে হাজির হন বাঁকুড়া জেলা পরিষদের সভাধিপতি অনুসুয়া রায়।

তিনি হাজির হতেই দেখেন, স্কুলে দু’জন শিক্ষক-শিক্ষিকা থাকলেও টিফিনের পর পড়ুয়াদের ছুটি দিয়ে দেওয়া হয়েছে। বিষয়টি স্কুল শিক্ষা দফতর এবং তালডাংরা ব্লক প্রশাসনের নজরে আনার পাশাপাশি স্কুল শিক্ষক-শিক্ষকদের সতর্ক করেন সভাধিপতি। সংশ্লিষ্ট সার্কেলের স্কুল পরিদর্শক দীপঙ্কর দাস জানান অভিযোগ পাওয়ার পর বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। যদিও স্কুলের শিক্ষিকা দীপান্বিতা দুবের দাবি, সমস্ত অভিযোগ ভিত্তিহীন। এদিন স্কুল খোলার পর থেকেই লোডশেডিং চলছে। প্রচণ্ড গরমে পড়ুয়ারা অসুস্থ হয়ে পড়তে পারে। এই আশঙ্কাতেই টিফিনে মিড ডে মিল খাওয়ানোর পর স্কুল ছুটি দিয়ে দেওয়া হয়েছে।