potato Farming: টানা বৃষ্টি থেকে কবে মিলবে পরিত্রাণ? চাষের ক্ষতিতে প্রমাদ গুণছেন কৃষকরা
West bengal: এক আলুচাষি বলেন, "এরপর আমাদের আত্মহত্যা করতে হবে।"
বাঁকুড়া: আকাশের অবস্থা ভালো নেই। বঙ্গে ফের দুর্যোগের ঘনঘটা। ইতিমধ্যে বৃষ্টি শুরু হয়েছে জেলায়-জেলায়। অকাল বৃষ্টিতে ফের শঙ্কিত আলুচাষিরা।
একের পর এক নিম্নচাপে আগেই লোকসানের মুখে পড়েছিলেন বাঁকুড়া জেলার আলু ও সবজী চাষীরা। ফের নিম্নচাপের জেরে মঙ্গলবার বিকাল থেকে শুরু হয়েছে বৃষ্টি। লাগাতার সেই বৃষ্টিতে ফসলের জমিতে জমতে শুরু করেছে জল। আর তার জেরে মাথায় হাত পড়েছে আলু ও শীতকালীন সবজী চাষদের।
রাজ্যের আলু উৎপাদক জেলা গুলির মধ্যে অন্যতম বাঁকুড়া। জেলায় শীতকালীন সবজি চাষও কম হয় না। জেলার মানুষের চাহিদা মিটিয়ে উদ্বৃত্ত সবজি রপ্তানি করা হয় ভিন জেলা এমনকি ভিন রাজ্যেও। কিন্তু এবার শীতকালীন আলু ও সবজি চাষে এবার সর্বনাশের ছায়া। একের পর এক নিম্নচাপের ক্রমশই লোকসানের বহর বাড়ছে জেলার চাষিদের। ফের আজ ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাষ দিয়েছে আবহাওয়া দফতর। এরপর কীভাবে পোষাবেন এই লোকসান জানেন না জেলার চাষিরা।
ক্ষতিগ্রস্ত এক আলুচাষির কথায়, “এর আগে ফসলের যা ক্ষতি হওয়ার হয়ে গিয়েছে। মুখে বলার ভাষা নেই। ছবি দেখে সাধারণ মানুষ বুঝতে পারবেন যে কোন অসুবিধার মধ্যে আমরা রয়েছি। আমার জমিতে আলু, টমেটো, বিনস চাষ হয়েছিল। সব নষ্ট হয়ে গিয়েছে। ঋণ ধার করে চাষ করেছি। এখন আত্মহত্যা ছাড়া কোনও উপায় নেই। আকাশে এখনও মেঘ। তারপর কুয়াশা। কী যে হবে কী না হবে কিছুই বুঝতে পারছি না।” আর এক সবজি চাষি বলেন, “পরপর নিম্নচাপের জেরে ধান, আলু সবজি চাষের প্রচুর ক্ষতি হয়েছে। এত বৃষ্টি সব ফসল নষ্ট হয়ে গিয়েছে। মাঠে যে কপি হয়েছিল তা নষ্ট হয়ে গিয়েছে। আগের নিম্নচাপে আলু নষ্ট হয়েছে। এখন আবার শুনছি তিনদিন ধরে বৃষ্টি চলবে। ফলত কিছুই থাকবে বলে মনে হয় না। জানি না সারাবছর কীভাবে চলবে। সরকারি কোনও সাহায্য দেখতে পাচ্ছি না।”
এর আগের নিম্নচাপের বৃষ্টিতে আলু চাষের ক্ষতি হয়। যার জেরে ঋণ মেটাতে না পেরে একের পর এক আলুচাষির আত্মহত্যার খবর এসেছে। এরপর ফের বৃষ্টিতে কী পরিস্থিতি হবে তাই নিয়ে রীতিমত চিন্তার ভাঁজ আবারও ওঁদের।