Panchayat Pradhan: প্রধানের দায়িত্ব স্ত্রীর কাঁধে, অফিসিয়াল নথিতে সই করছেন প্রধানের স্বামী! গর্জে উঠলেন শুভেন্দু
Panchayat Pradhan: প্রথমে সৌমিত্র পতি নামের এক তৃণমূল নেতা এবং পরে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী এই গ্রাম পঞ্চায়েতের একটি ভিডিয়ো শেয়ার করে করেছেন বিস্ফোরক দাবি। অভিযোগ, তৃণমূল পরিচালিত হাটগ্রাম গ্রাম পঞ্চায়েতের মহিলা প্রধান কবিতা লায়েকের হয়ে সরকারি নথিতে সই করছেন তাঁর স্বামী আনন্দ লায়েক।
বাঁকুড়া: গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধানের হয়ে কাগজে সই করছেন তাঁর স্বামী। যিনি আবার তৃণমূলের স্থানীয় অঞ্চল সভাপতিও। যে সে কাগজ নয়, খোদ গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধানের প্যাডেই একের পর এক নথিতে সই করে চলেছেন তাঁর স্বামী। বাঁকুড়ার ইন্দপুর ব্লকের হাটগ্রাম গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধানের স্বামীর বিরুদ্ধে ভিডিয়ো-সহ এমন অভিযোগ তুলে সামাজ মাধ্যমে প্রথমে সরব হন তৃণমূলেরই এক নেতা। এরপর সেই একই ভিডিয়ো পোস্ট করে সরব হয়েছেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীও। যদিও অভিযোগ সম্পূর্ণ উড়িয়ে পঞ্চায়েত প্রধান ও তাঁর স্বামীর দাবি, রাজনৈতিকভাবে তাঁদের কালিমালিপ্ত করতেই পুরানো ছবি ব্যবহার করে এই অভিযোগ তোলা হয়েছে।
বাঁকুড়ার ইন্দপুর ব্লকের তৃনমূল পরিচালিত হাটগ্রাম গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান কবিতা লায়েক। তাঁর স্বামী আনন্দ লায়েক বর্তমানে তৃণমূলের হাটগ্রাম অঞ্চলের সভাপতি। প্রথমে সৌমিত্র পতি নামের এক তৃণমূল নেতা এবং পরে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী এই গ্রাম পঞ্চায়েতের একটি ভিডিয়ো শেয়ার করে করেছেন বিস্ফোরক দাবি। অভিযোগ, তৃণমূল পরিচালিত হাটগ্রাম গ্রাম পঞ্চায়েতের মহিলা প্রধান কবিতা লায়েকের হয়ে সরকারি নথিতে সই করছেন তাঁর স্বামী আনন্দ লায়েক। তারপর থেকেই তা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে শুরু হয়ে গিয়েছে বিস্তর চর্চা।
রাজ্যের শাসকদল তথা মুখ্যমন্ত্রীর তরফে বলা নারী সশক্তিকরণকে কটাক্ষ করেছেন বিরোধী দলনেতা। বিজেপির অভিযোগ সর্বত্রই তৃণমূল নেতারা কোনও নিয়ম-নীতির তোয়াক্কাই করেন না। এই ধরনের কাজ শুধু বেআইনি নয় শাস্তিযোগ্য অপরাধও বলে দাবি তাঁদের। অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান ও তাঁর স্বামী। কবিতার লায়েকের দাবি, ২০১৮ সাল পর্যন্ত হাটগ্রাম গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান পদে ছিলেন বর্তমান পঞ্চায়েত তাঁর স্বামী আনন্দ লায়েক। সেই সময় পদাধিকার বলে বিভিন্ন সময়ে পঞ্চায়েত প্রধানের প্যাডে উপ প্রধানের সিল-সহ সই করতেন আনন্দ লায়েক। সেই সময়কার ছবি তুলে রেখে এখন রাজনৈতিক স্বার্থে সামাজিক মাধ্যমে পোস্ট করা হচ্ছে। এই কাজে রাজ্যের বিরোধী দলনেতার সঙ্গে তৃণমূল নেতা সৌমিত্র পতির যোগসাজসের অভিযোগও সামনে এনেছেন তাঁরা।
এই খবরটিও পড়ুন
অন্যদিকে নিজেকে তৃণমূলের বাঁকুড়া জেলার সাধারণ সম্পাদক হিসাবে দাবি করা সৌমিত্র পতির দাবি, বিশেষ সূত্রে ওই ভিডিয়ো পেয়েছিলেন তিনি। বিষয়টি অন্যায় মনে হওয়ার কারণেই তিনি তা সামাজিক মাধ্যমে পোস্ট করেছেন। তবে সৌমিত্র পতিকে তৃনমূলের সাধারণ সম্পাদক বলে মানতেই নারাজ তৃনমূলের ইন্দপুর ব্লক সভাপতি। তাঁর দাবি ২০১৯ সাল পর্যন্ত সৌমিত্র পতি তৃনমূলের ইন্দপুর ব্লক সভাপতি থাকলেও এখন তিনি ‘দাদার’ অনুগামী হিসাবেই পরিচিত। তিনি ভুয়ো ভিডিয়ো দিয়ে এখন দলকে কালিমালিপ্ত করার চেষ্টা করছেন।