Minister of Bengal: নল গেলেও জল যায়নি! আর রেহাত নয়, সরকারি আধিকারিদের সঙ্গে বৈঠকের পরেই ফুঁসে উঠলেন মন্ত্রী
Minister of Bengal: মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে একদিন আগেই বাঁকুড়ার জল প্রকল্পগুলির কাজের অগ্রগতি খতিয়ে দেখতে বাঁকুড়ায় যান রাজ্যের সেচ মন্ত্রী মানস ভুঁইয়া। বাঁকুড়া সার্কিট হাউসে জেলা পুলিশ, প্রশাসন, জেলা পরিষদ ও জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতরকে নিয়ে বৈঠক করেন তিনি।
বাঁকুড়া: জল প্রকল্পের কাজে দীর্ঘসূত্রিতাকে কোনওভাবে রেয়াত নয়। বাঁকুড়ার সার্কিট হাউসে জেলা পুলিশ, প্রশাসন, জেলা পরিষদ ও জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতরের সঙ্গে বৈঠক করে এমন কড়া বার্তাই দিলেন রাজ্যের মন্ত্রী মানস ভুঁইয়া।
রাজ্যের অন্যতম খরাপীড়িত জেলা বাঁকুড়া। রাজ্য সরকারে পালাবদলের পর নতুন সরকার বাড়িতে বাড়িতে নলবাহিত পানীয় জল পৌঁছে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। সেই উদ্দেশ্যে কয়েক’শো কোটি টাকা খরচ করে বাঁকুড়ায় একাধিক প্রকল্প চালুর চেষ্টা করা হয়। কিন্তু, অভিযোগ একদিকে জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতরের নজরদারির অভাব আর অন্যদিকে ঠিকা সংস্থাগুলির ঢিলেমির জেরে ২০২৪ সালের শেষেও জেলার ২২ টি ব্লকে এমন বহু গ্রাম রয়েছে যেখানে পানীয় জলের নল পৌঁছেছে কিন্তু জল পৌঁছায়নি। সম্প্রতি এই পরিস্থিতির জন্য জন স্বাস্থ্য কারিগরি দফতরকে চূড়ান্ত ভর্ৎসনা করেন মুখ্যমন্ত্রী। এরপরই রাজ্যের অন্যান্য জেলার পাশাপাশি তৎপর হয় বাঁকুড়া জেলা প্রশাসনও।
মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে একদিন আগেই বাঁকুড়ার জল প্রকল্পগুলির কাজের অগ্রগতি খতিয়ে দেখতে বাঁকুড়ায় যান রাজ্যের সেচ মন্ত্রী মানস ভুঁইয়া। বাঁকুড়া সার্কিট হাউসে জেলা পুলিশ, প্রশাসন, জেলা পরিষদ ও জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতরকে নিয়ে বৈঠক করেন তিনি। সেই বৈঠকে মন্ত্রী প্রতিটি প্রকল্প ধরে ধরে কাজের অগ্রগতির খোঁজ নেন। একাধিক প্রকল্পে ঢিলেমির অভিযোগ পেয়ে দ্রুত ওই প্রকল্পগুলির কাজ খতিয়ে দেখে ঠিকাদার সংস্থার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপের নির্দেশও দেন। মন্ত্রীর দাবি, মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশের পর জেলা পুলিশ ও প্রশাসন তৎপর হয়ে এমন ৩৪৯ টি স্থান খুঁজে বের করেছে যেখানে পানীয় জল সরবরাহের পাইপ লাইন ফুটো করে সেই জল অন্য কাজে ব্যবহার করা হচ্ছিল। ইতিমধ্যেই তা নিয়ে পদক্ষেপ করা হয়েছে।
এই খবরটিও পড়ুন
প্রকল্পের অগ্রগতি নিয়ে কিছুটা ক্ষোভের সুরে মন্ত্রী বলেন, কিছু ঠিকাদারের কাজে ঢিলেমির জন্য প্রকল্পের কাজ ধীর গতিতে এগোচ্ছে। অবিলম্বে মাঠে নেমে সেই ঠিকাদারকে চিহ্নিত করে পদক্ষেপ করার জন্য জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতরকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। প্রথমে ওই ঠিকা সংস্থাকে কারন দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হবে তাতেও কাজ না হলে তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।