Dilip Ghosh: ভোট লুঠের চেষ্টা করলে কাঁচা বাঁশ দিয়ে ভাল করে ট্রিটমেন্ট করে দিন: দিলীপ ঘোষ
Dilip Ghosh: “বুথে ফালতু লোক ঢুকে ভোট লুঠের চেষ্টা করে তাহলে ভাল করে ট্রিটমেন্ট করে দেবেন। যেন হাসপাতাল হয়ে বাড়ি যান।” বাঁকুড়ার নিকুঞ্জপুরের ধিক্কার সভায় বললেন দিলীপ ঘোষ।
বাঁকুড়া: সলতে পাকানোর কাজ মোটামুটি শেষ। চলছে শেষ মুহূর্তের প্রচার। যে কোনও মুহূর্তে ঘোষণা হয়ে যেতে পারে ভোটের দিনক্ষণ। এদিকে ভোট প্রচারে রাজ্যের এ প্রান্তে ও প্রান্তে ছুটে বেড়াচ্ছেন শাসক থেকে বিরোধী সবদলের নেতারাই। দিলীপ ঘোষ থেকে শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari), অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhisekh Banerjee) থেকে মমতা, নরম-গরম স্লোগানে ক্রমেই তাপ বাড়ছে বাংলার মাটিতে। উত্তর থেকে দক্ষিণ, ভোটের আবহে তপ্ত দুই বাংলার মাটিই। এবার বাঁকুড়ায় গিয়ে ধিক্কার সভায় ঝড় তুললেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। ভোট লুঠ নিয়ে দিলে কড়া বার্তা।
“বুথে ফালতু লোক ঢুকে ভোট লুঠের চেষ্টা করলে তাহলে ভাল করে ট্রিটমেন্ট করে দেবেন” শনিবার সন্ধ্যায় বাঁকুড়ার নিকুঞ্জপুরে বিজেপির ধিক্কার সভা থেকে এই ভাষাতেই দলের কর্মীদের নিদান দিলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ। এদিন তিনি কর্মীদের উদ্যেশ্যে বলেন, “হাসপাতালের আগে আপনারা তার ট্রিটমেন্ট করবেন। আর এর জন্য কাঁচা বাঁশের ডাং (লাঠি) লাগবে। যেন সেই ডাঙে গাঁট থাকে। লাগলে যেন ভেতরে লাগে”।
এদিনের মঞ্চ থেকে হুঁশিয়ারি দিয়ে দিলীপ ঘোষ আরও বলেন, “যা হয়ে গিয়েছে তা হয়ে গিয়েছে। পরিশ্রম করে সংগঠন করেছি। মানুষের বাড়ি বাড়ি গিয়েছি। আর ভোটের দিন কেউ ভোট লুঠ করবে তা সহ্য করব না।” প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনে ভোট লুঠ হয়ে উঠেছিল একটা বড় ইস্যু। বহু জায়গায়তেই ভোট লুঠের অভিযোগ উঠেছিল শাসকদলের কর্মীদের বিরুদ্ধে। আর সে কারণেই এবার ভোট লুঠ রুখতে আগেভাগে প্রস্তুত থাকতে চাইছেন বিরোধী নেতারা। এমনটাই মত ওয়াকিবহাল মহলের।