Jhalda Municipality: দিল্লিতে তৃণমূল-কংগ্রেস কাছাকাছি, তারই আঁচ পড়ল ছোট্ট ঝালদা পুরসভায়?
Jhalda Municipality: এরপর তৃণমূল ওই পুরসভার দখল নেয়। কিন্তু অল্প দিন যেতে না যেতেই অনাস্থা আনে কংগ্রেস। বোর্ড গঠনের মামলা গড়ায় আদালতে। হাইকোর্ট ঘুরে মামলা যায় শীর্ষ আদালতে।
ঝালদা: ঝালদা পুরসভার পুরপ্রধান-সহ পাঁচ কাউন্সিলর একযোগে দলবদল করে তৃণমূলে যোগ দিয়েছে। আর তাতেই ঝালদা পুরসভা এখন তৃণমূলের দখলে। বারংবার ঝালদা পুরসভার এই অন্দরের রাজনীতি কি এবার ছাপ ফেলবে আগামী চব্বিশের নির্বাচনেও? ঝালদা পুরসভা রাজ্যের ছোট পুরসভাগুলির মধ্যে অন্যতম। মাত্র ১২ আসনের এই পুরসভা বারেবারেই তাৎপর্যপূর্ণ হয়ে উঠেছে রাজ্যের রাজনীতিতে। ২০২২ সালে এই পুরসভার ১২ আসনের মধ্যে ৫ টি পায় তৃণমূল, ৫ টি কংগ্রেস ও ২ টি আসনে জয় পান নির্দল প্রার্থীরা। ত্রিশঙ্কু হয়ে পড়া এই পুরসভায় বোর্ড গঠনের ঠিক আগেই খুন হন কংগ্রেস কাউন্সিলার তপন কান্দু। তখনই এই খুনকে ঘিরে তোলপাড় হয় রাজ্য রাজনীতি।
এরপর তৃণমূল ওই পুরসভার দখল নেয়। কিন্তু অল্প দিন যেতে না যেতেই অনাস্থা আনে কংগ্রেস। বোর্ড গঠনের মামলা গড়ায় আদালতে। হাইকোর্ট ঘুরে মামলা যায় শীর্ষ আদালতে। শেষ পর্যন্ত হাইকোর্টের নির্দেশে ঝালদা পুরসভায় বোর্ড গঠন করে কংগ্রেস। কিন্তু সাত মাস যেতে না যেতেই গতকাল নির্দল প্রার্থী হিসাবে জয়লাভ করা পুরপ্রধান শীলা চট্টোপাধ্যায়-সহ পাঁচ কাউন্সিলর তৃণমূলে যোগ দেন। পুরসভার দখল চলে যায় তৃণমূলের হাতে।
পুরসভার পালাবদল এমন এক সময় হয় যখন জাতীয় স্তরের রাজনীতিতে হাতে হাত ধরে তৃণমূল ও কংগ্রেস ২০২৪ এর লোকসভা নির্বাচনে লড়াইয়ের প্রস্তুতি নিচ্ছে। বারংবার বৈঠক করে নিজেদের রণকৌশল স্থির করছে দুই দলের শীর্ষ নেতৃত্ব। এই পরিস্থিতিতে ঝালদা পুরসভার এই নয়া সমীকরণ কি নতুন করে প্রশ্নের মুখে ফেলে দিল জাতীয় স্তরের বিরোধী জোটকে?
দলবদলের পর শীলা চট্টোপাধ্যায় বলেন, “এলাকায় উন্নয়নের কাজ করতে পারছিলাম না। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুপ্রেরণায় এবার উন্নয়নের কাজে সামিল হব।” মিঠুন কান্দু বলেন, “এলাকায় উন্নয়নের গতি রুদ্ধ হয়েছিল। বারবার অনেকেই বাড়িতে এসে অভিযোগ জানিয়ে যাচ্ছিলেন। তাই তৃণমূলে যোগদান দিলাম। অন্ততপক্ষে এলাকায় কাজ করতে পারব।” গোটা বিষয়ে ভেঙে পড়েছেন তপন কান্দুর স্ত্রী পূর্ণিমা কান্দু। তাঁর বক্তব্য, “এরা সবাই বেইমান। আমি লজ্জিত এদের ব্যাপারে। এরা বিশ্বাসঘাতকতা করল আমাদের দলের সঙ্গে।”
জাতীয় রাজনীতিতে INDIA জোটশরিক কংগ্রেস-তৃণমূল। গেরুয়া শিবিরের কথায়, দিল্লিতে দোস্তি, বাংলায় কুস্তি। তার আরও এক নজির হয়ে থাকল ঝালদা। পুরুলিয়ার প্রত্যন্ত এলাকার এই গ্রাম কী কোনওভাবে জাতীয় রাজনীতির সমীকরণের নিয়ন্ত্রক হতে পারে, তা সময়ই বলবে।