Load Shedding: লোডশেডিং! ‘অক্সিজেন পেতে’ হাসপাতালের বেড ছেড়ে গাছতলায় হার্টের রোগীরা
Bankura: গোগড়া গ্রামীণ হাসপাতালে সবসময়ই রোগীর চাপ থাকে। কোতুলপুর ব্লকের হাসপাতাল হলেও, পার্শ্ববর্তী ইন্দাস, জয়পুর ব্লকের বিস্তীর্ণ এলাকার মানুষ এই হাসপাতালের উপর নির্ভরশীল। এদিকে গত কয়েকদিনে লোডশেডিং বেড়েছে কোতুলপুরে। যার জেরে সমস্যায় পড়েছেন হাসপাতালের রোগীরা।
বাঁকুড়া: একে তো গরমের অস্বস্তি। তারমধ্যে থেকে থেকেই লোডশেডিং। জেনারেটর রয়েছে বটে। তবে তাতেও তেল থাকে না অধিকাংশ সময়। এই সমস্ত অভিযোগ বাঁকুড়ার গোগড়া গ্রামীণ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রোগী ও তাঁদের আত্মীয়দের। এমন পরিস্থিতি, হাসপাতালে ভর্তি হয়ে ওয়ার্ডের বেড ছেড়ে গাছতলায় এসে বসতে হচ্ছে রোগীদের। এই ঘটনায় ক্ষোভ বাড়ছে রোগীদের মধ্যে। যদিও হাসপাতাল আধিকারিকদের বক্তব্য, বিদ্যুতের সমস্যা, তাঁদের কিছু করার নেই।
গোগড়া গ্রামীণ হাসপাতালে সবসময়ই রোগীর চাপ থাকে। কোতুলপুর ব্লকের হাসপাতাল হলেও, পার্শ্ববর্তী ইন্দাস, জয়পুর ব্লকের বিস্তীর্ণ এলাকার মানুষ এই হাসপাতালের উপর নির্ভরশীল। এদিকে গত কয়েকদিনে লোডশেডিং বেড়েছে কোতুলপুরে। যার জেরে সমস্যায় পড়েছেন হাসপাতালের রোগীরা। হাসপাতালে একটা জেনারেটর রয়েছে বটে। তবে তাতে তেলের অভাব। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলছেন, টাকা না থাকায় তেল ভরা সম্ভব হচ্ছে না।
হার্টের সমস্যা নিয়ে গত সোমবার এখানে ভর্তি হন দিলীপ বৈরাগী। তাঁর কথায়, “সকাল ১১টা ৪০-এ ভর্তি হয়েছি সোমবার। সারাদিনে ছ’ সাত ঘণ্টাও ঠিকমতো বিদ্যুৎ থাকছে না। কখনও জেনারেটর চালায়। আবার বলে তেল নেই। আজ তো দেখছি সকাল থেকে কারেন্ট নেই। ওরা বলছে কী করব, কিছু করার নেই। আসলে ওদের কোনও নজরই নেই আমাদের দিকে। হাসপাতালে ভর্তি, অথচ বাইরে গাছতলায় বসে আছি। আমি হার্টের রোগী। অ্যাজমা আছে। ২-৩ ঘণ্টা অন্তর অক্সিজেন নিতে হচ্ছে। আমি চেঁচামেচি করায় আমাকে আবার একজন বলছে এসব করে লাভ নেই।”
দিলীপ বৈরাগীর বক্তব্য, হাসপাতালে ‘নো অ্যাডমিশন’ বোর্ড লাগিয়ে দিকে পারে। রোগী ভর্তি নিয়ে এমন দুর্ভোগ হলে বলা যাবে না? তবে হাসপাতাল আধিকারিক বিশ্বজিৎ ঘাঁসি বলেন, “বিদ্যুতের সমস্যা। সেটা নিয়ে আমরা কী বলব? জেনারেটর আছে ফান্ড তো নেই। কী করব? আর আমরা বলার কেউ নই। যা বলার বিএমওএইচকে বলুন।”