Bankura Electrocution: যত্রতত্র বিদ্যুতের খোলা তার, উধাও সুইচ প্যানেলের বাক্সও! বর্ষায় যেন মরণফাঁদ বাঁকুড়া
Bankura: এই ওভারহেড খোলা তারের উপর কোথাও গাছের ডাল ঝুঁকে পড়েছে। কোথাও আবার অত্যন্ত জনবহুল এলাকায় বাড়ির ছাদ, জানালা ও ব্যালকনির পাশ দিয়ে চলে গিয়েছে সেই খোলা তার।
বাঁকুড়া : বর্ষা নামলেই সঙ্গে আসে খোলা তারের আতঙ্ক। শুধু কলকাতাতেই নয়, জেলাগুলিতেও একই ছবি। শনিবারই বাঁকুড়ায় বিদ্যুৎবাহী ছেঁড়া তারে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে দু’জনের মৃত্যু হয়েছে। কলকাতা-সহ রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় খোলা তারে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যুমিছিল অব্যাহত। কিন্তু বিদ্যুৎ দফতরের ঘুম ভাঙছে কি? প্রশ্নটা কিন্তু থেকেই যাচ্ছে। শহরের যত্রতত্র বিপজ্জনকভাবে রয়েছে বিদ্যুতের খোলা তার। বর্ষায় কার্যত মরণফাঁদে পরিণত হয়েছে বাঁকুড়া শহর। বাঁকুড়া শহরের মাত্র ১০ শতাংশ এলাকায় ঢাকা দেওয়া তার দিয়ে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হয়। শহরের বাকি ৯০ শতাংশ এলাকায় বিদ্যুৎবাহী ওভারহেড তার একেবারেই খোলা বলে অভিযোগ উঠছে।
এই ওভারহেড খোলা তারের উপর কোথাও গাছের ডাল ঝুঁকে পড়েছে। কোথাও আবার অত্যন্ত জনবহুল এলাকায় বাড়ির ছাদ, জানালা ও ব্যালকনির পাশ দিয়ে চলে গিয়েছে সেই খোলা তার। সেই তারের ফাঁক গলে বিপজ্জনকভাবে নির্মাণ শ্রমিকরা বাড়ি মেরামতির কাজ করছেন এমন ছবিও ধরা পড়েছে শহরে। তবে শুধু ওভারহেড তারের ক্ষেত্রেই বিপদের সম্ভাবনা রয়েছে এমনটা নয়, বিদ্যুৎ দফতরের উদাসীনতার অভিযোগও উঠে এসেছে। রাস্তার ধারে যে বিদ্যুতের খুঁটি, বাতিস্তম্ভ ও সিগন্যাল পোস্টগুলি রয়েছে, সেগুলির সুইচ প্যানেল রয়েছে মাটি থেকে দুই ফুট কিংবা আড়াই ফুট উচ্চতায়। বিপদ এড়াতে এই সুইচ প্যানেলগুলি বাক্সে ঢাকা রাখার কথা। কিন্তু রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে অধিকাংশ সুইচ প্যানেলের বাক্সের অস্তিত্বই নেই।
কোথাও সুইচ প্যানেল বক্স থাকলেও, তা আবার ভাঙাচোরা। আর সেই সুইচ প্যানেল থেকেই বেরিয়ে এসেছে মোটা মোটা তার। যেগুলির অধিকাংশেরই মুখ খোলা। বহু জায়গায় ট্রান্সফর্মারের উচ্চতা অনেক নীচে। কোনও কোনও এলাকায় দু’টি তারের জয়েনিং এতই দুর্বল যে মাঝে মধ্যেই ঘটতে থাকে স্পার্কিং। বিষয়গুলি বিদ্যুৎ দফতরে বারবার জানিয়েও কোনও সুরাহা হয়নি বলেই অভিযোগ স্থানীয়দের। অগত্যা প্রতি মুহূর্তে একরাশ বিপদের আশঙ্কা নিয়ে মরণফাঁদ পেরিয়ে রাস্তাঘাটে যাতায়াত করতে বাধ্য হন স্কুল পড়ুয়া থেকে স্থানীয় মানুষজন।
এইরকম ঘটনা যাতে বাঁকুড়া শহরে আর না ঘটে, তার জন্য প্রত্যেক কাউন্সিলরকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন বাঁকড়ার পুরপ্রধান অলকা সেন মজুমদার। পাশাপাশি বিদ্যুৎ বিভাগকেও সচেতন হওয়ার বার্তা দিয়েছেন তিনি।