হোয়াটস্যাপ গ্রুপে প্রিয় বন্ধুর মেসেজ, মানতে না পেরে চূড়ান্ত পদক্ষেপ কিশোরের!
Bankura: মৃত গৌরাঙ্গের পরিবারের অভিযোগ, এ বছরই মাধ্য়মিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছিল ওই কিশোর। দিনের বেশিরভাগ সময়েই সে ব্যস্ত থাকত ফোনে। বন্ধুদের সঙ্গে হোয়াটস্যাপে চলত কথোপকথন।
বাঁকুড়া: ‘উই ওল আর ওয়ান’। হোয়াটস্যাপে এই নামেই গ্রুপ খুলেছিল বন্ধুরা। সেই গ্রুপে ছিল সতেরো বছরের কিশোর গৌরাঙ্গ কুণ্ডু। কিন্তু, সকলের সঙ্গে থাকলেও বোধহয় তার এক হয়ে ওঠা হয়নি। বৃহস্পতিবার, অবশেষে কিশোরের ঘর থেকেই তার ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করেন পরিবারের সদস্যরা। মৃতের পরিবারের অভিযোগ, বন্ধুদের প্ররোচনাতেই ‘আত্মঘাতী’ কিশোর। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি কোতুলপুর থানার খুনডাঙ্গা গ্রামের।
মৃত গৌরাঙ্গের পরিবারের অভিযোগ, এ বছরই মাধ্য়মিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছিল ওই কিশোর। দিনের বেশিরভাগ সময়েই সে ব্যস্ত থাকত ফোনে। বন্ধুদের সঙ্গে হোয়াটস্যাপে চলত কথোপকথন। পরিবারের অভিযোগ, গৌরাঙ্গের আরেক বন্ধু শুভম ঘোষ বিভিন্ন সময়ে ওই কিশোরকে নানারকম কথা শোনাত। কটূক্তি করত। এমনকী হোয়াটস্যাপ গ্রুপেও বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন ধরনের মেসেজ করত বলে অভিযোগ। সেইসব মেসেজ নিয়ে প্রায়ই মনমরা হয়ে থাকত গৌরাঙ্গ। এরপর, আচমকাই, গত ১৭ জুলাই নিজের ঘরে গলায় দড়ি দিয়ে ‘আত্মঘাতী’ হয় গৌরাঙ্গ। কিন্তু, ওই কিশোরের মানসিক অবসাদের কথা জানতেন না পরিবারের কেউ। পুলিশে জানালেও প্রশাসন কোনও দায় নেয়নি বলে অভিযোগ কুণ্ডু পরিবারের। তাঁদের আরও অভিযোগ, বন্ধুদের প্ররোচনাতেই ‘আত্মঘাতী’ হয়েছে গৌরাঙ্গ।
কোতুলপুর থানার পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের মোবাইল ফোনটি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। ওই হোয়াটস্যাপ গ্রুপের সমস্ত বার্তাও খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা। হোয়াটস্যাপ চ্যাট বক্সে গৌরাঙ্গের বন্ধু শুভম ঘোষের বেশ কিছু মেসেজ পাওয়া গিয়েছে। সেই মেসেজগুলিতে স্পষ্ট বন্ধুকে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দিয়েছে শুভম, এমনটাই জানিয়েছেন গোয়েন্দারা। কিন্তু, কেন এই কাজ করল ওই কিশোরের বন্ধুরা, তা স্পষ্ট নয়। অভিযুক্ত শুভম ঘোষ-সহ গৌরাঙ্গের বাকি বন্ধুদেরও জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। গোটা ঘটনা তদন্ত করে দেখছে পুলিশ। আরও পড়ুন: ‘ম্যান মেড’ বন্যা পরিস্থিতিতেই প্রায় ৬০হাজার কিউসেক জল ছাড়ল দুর্গাপুর ব্যারেজ