Bankura Mid Day Meal: মিড ডে মিলের টাকা মেলেনি, স্কুলের ভিতরেই তালা ঝুলিয়ে আটকে রাখা হল শিক্ষকদের

Bankura news: ক্ষোভে স্কুলের ভিতর শিক্ষকদের তালাবন্দি করে পালিয়ে গেলেন মিড ডে মিলের কর্মীরা। প্রায় আড়াই ঘণ্টা ধরে স্কুলে তালাবন্দি থাকার পর এক মিড ডে মিল কর্মী তালা খুলে শিক্ষকদের মুক্ত করেন। ঘটনাটি ঘটেছে বাঁকুড়ার ছাতনা চন্ডীদাস বিদ্যাপীঠের।

Bankura Mid Day Meal: মিড ডে মিলের টাকা মেলেনি, স্কুলের ভিতরেই তালা ঝুলিয়ে আটকে রাখা হল শিক্ষকদের
তালাবন্দি শিক্ষকরা
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jun 25, 2022 | 4:42 PM

বাঁকুড়া : স্কুলের গাফিলাতিতে মাসের পর মাস ধরে বকেয়া পড়ে রয়েছে পারিশ্রমিক। জ্বালানি ও মশলার জন্য বরাদ্দ অর্থও পড়ে রয়েছে মাসের পর মাস। ফলে জ্বালানি ও মশলার দোকানে বেড়েছে ঋণের বহর। বারবার স্কুলের শিক্ষকদের আবেদন নিবেদন করেও লাভের লাভ কিছু হয়নি। ক্ষোভে স্কুলের ভিতর শিক্ষকদের তালাবন্দি করে পালিয়ে গেলেন মিড ডে মিলের কর্মীরা। প্রায় আড়াই ঘণ্টা ধরে স্কুলে তালাবন্দি থাকার পর এক মিড ডে মিল কর্মী তালা খুলে শিক্ষকদের মুক্ত করেন। ঘটনাটি ঘটেছে বাঁকুড়ার ছাতনা চন্ডীদাস বিদ্যাপীঠের। স্কুলের টালবাহানার কথা স্বীকার করে নিলেও গোটা ঘটনার দায় পূর্বতন প্রধান শিক্ষকের ঘাড়ে চাপিয়েছেন বর্তমান প্রধান শিক্ষক।

বাঁকুড়া জেলার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ একটি স্কুল হল ছাতনা চন্ডীদাস বিদ্যাপীঠ। এই স্কুলে মিড ডে মিলের রান্নার দায়িত্বে রয়েছে শিবশক্তি পুরুষ গ্রুপ ও বাবা লোকনাথ মহিলা গ্রুপ নামের দু’টি স্বনির্ভর দল। পালা বদল করে ওই দু’টি স্বনির্ভর দলের মোট ১৮ জন মিড ডে মিল রান্না করেন। এজন্য স্কুলের মাধ্যমে সরকার নির্ধারিত পারিশ্রমিক পান তাঁরা। মিড ডে মিল রান্নার জন্য তেল, মশলা ও জ্বালানf কিনে আনতে হয় তাঁদেরই। পরবর্তীতে পড়ুয়াদের নির্দিষ্ট মাথাপিছু হারে বরাদ্দ টাকা স্কুল কর্তৃপক্ষ পেলে তা তুলে দেয় স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সদস্য সদস্যাদের হাতে। নিজেদের মাসিক পারিশ্রমিক তো দুরস্ত রান্নার তেল,মশলা ও জ্বালানির জন্য বরাদ্দ টাকা দেওয়ার ক্ষেত্রে টালবাহানা করছে স্কুল এমনই অভিযোগ স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলির।

ফলে স্থানীয় মুদি ও জ্বালানীর দোকানে ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলির দেনার পরিমান। বিষয়টি নিয়ে স্বনির্ভর গোষ্ঠীর কর্মীরা স্থানীয় ব্লক প্রশাসনের দ্বারস্থ হলে তাঁদের তরফে জানানো হয়, পড়ুয়াদের মিড ডে মিলের জন্য মাথাপিছু বরাদ্দ ও স্বনির্ভর গোষ্ঠীর পারিশ্রমিক স্কুলের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। এরপর স্বনির্ভর দলের কর্মীরা ওই টাকা তুলে তাদের হাতে দেওয়ার জন্য বারবার স্কুল কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন নিবেদন করে। কিন্তু অভিযোগ, স্কুল কর্তৃপক্ষ ওই টাকা তুলে দেওয়ার ক্ষেত্রে লাগাতার টালবাহানা করে।

ফলে স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলি ক্ষোভে ফুঁসছিল। আজ স্কুলের শিক্ষকদের একাংশ স্কুলে গেলে তাঁদের ভেতরে রেখে স্কুলের বিভিন্ন গেটে তালা দিয়ে পালিয়ে যান স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সদস্য সদস্যারা। প্রায় আড়াই ঘণ্টা পর স্কুল কর্তৃপক্ষের তরফে দ্রুত পদক্ষেপের আশ্বাস দেওয়া হলে এক মিড ডে মিল কর্মী ওই তালা খুলে দেন। মিড ডে মিলের কর্মীদের হাতে এভাবে দীর্ঘক্ষণ বন্দি থাকায় স্বাভাবিকভাবেই নিরাপত্তাহীনতায় ভূগছেন স্কুলের শিক্ষকরা। তাঁদের দাবি, স্কুলে সমন্বয়ের অভাবের কারণেই এমন ঘটনা ঘটছে। বর্তমান প্রধান শিক্ষক গোটা বিষয়টির দায় পূর্বতন প্রধান শিক্ষকের কাঁধে তুলে দায় এড়িয়েছেন। তবে তাঁর দাবি, দ্রুত এই বিষয়ে পদক্ষেপ করা হবে।