Bankura: গরু পরিবহনের ঘটনায় অভিযুক্তদের মুক্তির দাবিতে পুলিশকেই শারীরিক হেনস্থা, গ্রেফতার ৩ মহিলা সহ ৭
West Bengal: বাঁকুড়ার বড়জোড়ার ঘটনা। সেখানে বেআইনিভাবে গাড়িতে করে গরু পরিবহনের ঘটনায় গ্রেফতার হন তিন জন।
বাঁকুড়া: গরু পরিবহণের ঘটনায় বিক্ষোভ দেখানোর নামে পুলিশকে শারীরিক হেনস্থার অভিযোগ। গোটা ঘটনায় গ্রেফতার তিন মহিলা সহ সাত। তাঁদেরকে তোলা হল আদালতে।
বাঁকুড়ার বড়জোড়ার ঘটনা। সেখানে বেআইনিভাবে গাড়িতে করে গরু পরিবহনের ঘটনায় গ্রেফতার হন তিন জন। তাঁদেরই মুক্তির দাবিতে আন্দোলনের নামে থানার সামনে পুলিশকে ধাক্কাধাক্কি ও মারধরের ঘটনায় জড়িয়ে পড়েন সাত জন। যার ফলে তাঁদেরকে গ্রেফতার করে বড়জোড়া থানার পুলিশ।
বেআইনি ভাবে গরু পরিবহনের ঘটনায় ধৃতদের নির্দোষ দাবি করে গতকাল রাতে স্থানীয় বড়জোড়া থানা এলাকার বেশ কিছু মানুষ বড়জোড়া থানার সামনে বিক্ষোভ দেখাতে যায়। অভিযোগ, সেই সময় পুলিশের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের ধাক্কাধাক্কির ঘটনা ঘটে। মহিলা পুলিশকর্মীদের শ্লীলতাহানি ও থানার বাইরে হালকা ভাঙচুরও চালানো হয় বলে অভিযোগ। সেই ঘটনাতেই শুক্রবার রাতেই তিন মহিলা সহ মোট সাত জন বিক্ষোভকারীকে গ্রেফতার করে বড়জোড়া থানার পুলিশ। এরপর শনিবার তাঁদের বাঁকুড়া জেলা আদলতে পেশ করা হয়।
পুলিশ সূত্রে খবর, গত বৃহস্পতিবার মালিয়াড়া বড়জোড়া রাস্তায় তল্লাশি চালিয়ে সাতটি গরু বোঝাই একটি পিক আপ ভ্যানকে আটক করে বড়জোড়া থানার পুলিশ। গরু পরিবহনের বৈধ নথি দেখাতে না পারায় ওই পিক আপ ভ্যানের চালক সহ তিন জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। আদালতের নির্দেশে ধৃত তিনজনকে আপাতত নিজেদের হেফাজতে নিয়ে জেরা করছে পুলিশ। এর মধ্যেই গতকাল রাত্রিবেলা আচমকাই ধৃত তিনজনকে নির্দোষ দাবি করে তাঁদের মুক্তির দাবিতে বেশ কয়েকজন বড়জোড়া থানার সামনে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন।
অভিযোগ, বিক্ষোভকারীরা জোর করে থানায় ঢোকার চেষ্টা করলে পুলিশের সঙ্গে কার্যত ধস্তাধস্তি বেধে যায় তাঁদের। অভিযোগ, এই সময় বিক্ষোভকারীদের ধাক্কায় সাত পুলিশ কর্মী জখম হন। ভাঙচুর করা হয় থানার সামনের অংশে। মহিলা পুলিশ কর্মীদের শ্লীলতাহানি করার অভিযোগও ওঠে বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে। পরে বিশাল পুলিশ বাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছে বিক্ষোভকারীদের হঠিয়ে দিলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।
অভিযোগ, এরপর পুলিশ ওই ঘটনায় তিন মহিলা সহ সাত বিক্ষোভকারীকে গ্রেফতার করে। ধৃতদের আজ বাঁকুড়া জেলা আদালতে পেশ করে পুলিশ। ধৃতদের বিরুদ্ধে সরকারী সম্পত্তি নষ্ট, পুলিশকে মারধর ও শারিরীক হেনস্থা ও মহিলা পুলিশ কর্মীদের শ্লীলতাহানী সহ একাধিক ধারায় মামলা রুজু করেছে। ধৃতরা তাদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করেছে। সরকারি পক্ষের আইনজীবী বলেন, ‘অভিযুক্তদের জামিনের দাবি আমরা আদালতে আবেদন করেছিলাম তবে এখনও সেই রকম কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। বিক্ষোভ দেখানোর নামে তিনজন মহিলা সহ মোট সাতজন সরকারি সম্পত্তি নষ্ট করেন সেই কারণেই তাঁদের পুলিশ আদালতে তোলে।’