Bankura TMC Clash: ‘অনুগামী’ না হওয়ায় চরম অত্যাচার, দলের কর্মীকে মেরে হাসপাতালে পাঠালেন ব্লক সভাপতি

Bankura TMC Clash: বেশ কয়েকদিন ধরে ওই এলাকায় তৃণমূলের দুটি গোষ্ঠীর মধ্যে ঠাণ্ডা লড়াই চলছিল। অভিযোগ, ব্লক সভাপতি ইয়ামিন শেখ স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্যা ও তাঁর অনুগামীদের নিজেদের গোষ্ঠীতে আনতে মরিয়া হয়ে উঠেছিল।

Bankura TMC Clash: 'অনুগামী' না হওয়ায় চরম অত্যাচার, দলের কর্মীকে মেরে হাসপাতালে পাঠালেন ব্লক সভাপতি
আহত পঞ্চায়েত সদস্যার স্বামী (নিজস্ব ছবি)
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Feb 06, 2022 | 4:51 PM

বাঁকুড়া: একে তো প্রার্থী তালিকা বেরোনোর পর জেলায়-জেলায় ক্ষোভের আগুন ছড়িয়েছে। তার মধ্যে আবার শাসক দলের গোষ্ঠী সংঘর্ষ। ফলে চরম উত্তেজনা ছড়াল বাঁকুড়ায়। জানা গিয়েছে, পঞ্চায়েত সদস্যার স্বামীকে বেধড়ক মারধর করা হয়েছে। গোটা ঘটনায় জখম হয়েছেন দুইজন।

কী ঘটেছে? তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দলে মারধরের ঘটনা ঘটল বাঁকুড়ার জয়পুরে। দুই গোষ্ঠীর মধ্যে মারামারির ঘটনায় আহত হন দু’জন। গুরুতর জখম হয়েছেন স্থানীয় উত্তরবাড় গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্যার স্বামী। তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বিষ্ণুপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বাঁকুড়ার জয়পুর থানার শিলাকোন গ্রামে রবিবার সকালে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে মারপিট হয়।

অভিযোগ রবিবার সকালে জয়পুরের তৃণমূল ব্লক সভাপতি ইয়ামিন শেখের লোকজন চড়াও হয় জেলা তৃণমূল চেয়ারম্যান শ্যামল সাঁতরার গোষ্ঠীর উপর। মারধর করা হয় শ্যামল সাঁতরার অনুগামী স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্যা পুষ্প ঘোড়ুইয়ের স্বামী দেবু ঘোড়ুই ও তাঁর ছেলেকে। ঘটনায় গুরুতর জখম হয় পঞ্চায়েত সদস্যার স্বামী দেবু ঘোড়ুই। পরে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে তাঁকে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয় বিষ্ণুপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে। ঘটনার খবর পেয়ে এলাকায় পৌঁছে যায় জয়পুর থানার পুলিশ।

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বেশ কয়েকদিন ধরে ওই এলাকায় তৃণমূলের দুটি গোষ্ঠীর মধ্যে ঠাণ্ডা লড়াই চলছিল। অভিযোগ, ব্লক সভাপতি ইয়ামিন শেখ স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্যা ও তাঁর অনুগামীদের নিজেদের গোষ্ঠীতে আনতে মরিয়া হয়ে উঠেছিল। আর নিজেদের দলে টানতে না পেরেই রবিবার সকালে এমন ঘটনা ঘটানয় তারা। মারধর চলে পঞ্চায়েত সদস্যার স্বামীর উপর। বাধা দিতে গেলে আহত হয় ছেলেও। গোটা ঘটনায় যদিও  ইয়ামিন শেখের অনুগামীরা ক্যামেরার সামনে কিছু বলতে রাজী হননি। তবে ইয়ামিন শেখের বক্তব্য, “এর সঙ্গে তৃণমূলের গোষ্ঠী দ্বন্দের কোনও সম্পর্ক নেই। এটা পারিবারিক ঘটনা।”

প্রসঙ্গত, কয়েকদিন আগেই মুখ্যমন্ত্রী এক দলের পক্ষে সওয়াল করেন। নেতাজী ইন্ডোর থেকে তিনি বলেন তৃণমূল কংগ্রেস একটি দল। কিন্তু খোদ তৃণমূল সুপ্রিমোর এমন নির্দেশের পরও জেলায়-জেলায় গোষ্ঠী সংঘর্ষের খবর আকছাড় উঠে আসে। তবে সেই কথা কানেই তুলছেন কেউ-কেউ? প্রশ্ন কিন্তু থেকেই যাচ্ছে।

বাংলা টেলিভিশনে প্রথমবার, দেখুন TV9 বাঙালিয়ানা