TV9 Bangla Impact: প্রাথমিক স্কুলে দেখা মেলে না শিক্ষকদের, TV9 Bangla- খবরের জেরে নড়েচড়ে বসল প্রশাসন

TV9 Impact: বাঁকুড়ার মেজিয়া ব্লকের মানাচর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অব্যবস্থার ছবি আগেই উঠে এসেছে TV9-এর ক্যামেরায়।

TV9 Bangla Impact: প্রাথমিক স্কুলে দেখা মেলে না শিক্ষকদের, TV9 Bangla- খবরের জেরে নড়েচড়ে বসল প্রশাসন
স্কুলে পৌঁছলেন পঞ্চায়েতের কর্মাধ্যক্ষImage Credit source: TV9 Bangla
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Sep 02, 2023 | 12:15 PM

বাঁকুড়া: নদী পেরিয়ে যেতে হয় স্কুলে। কিন্তু ঠিক সময়ে নাকি দেখা মেলে না মাঝির। এই অজুহাতেই দিনের পর দিন স্কুলে অনুপস্থিত শিক্ষক-শিক্ষিকারা। বেশিরভাগ দিনই শিক্ষকের জন্য অপেক্ষা করে ফিরে যেতে হয় পড়ুয়াদের। ক্লাসরুমের অন্দরে মাথা তুলেছে আগাছা। অনেক পড়ুয়াদের হাতে পৌঁছয়নি বইও। বাঁকুড়ার মেজিয়ায় প্রাথমিক স্কুলের সেই ছবি তুলে ধরেছিল TV9 বাংলা। আর সেই ছবি সামনে আসতে অবশেষে নড়চড়ে বসল স্থানীয় প্রশাসন। স্কুলে ছুটলেন পঞ্চায়েতের সহ সভাপতি। স্কুলের বেহাল অবস্থা দেখে প্রধান শিক্ষককে রীতিমতো ধমকও দিলেন তিনি। পঞ্চায়েতের এই তৎপরতায় খুশি পড়ুয়াদের অভিভাবকেরা।

বাঁকুড়ার মেজিয়া ব্লকের মানাচর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অব্যবস্থার ছবি আগেই উঠে এসেছে TV9-এর ক্যামেরায়। সেই সব নিজে চোখে দেখে প্রধান শিক্ষককে এই সমস্ত অব্যস্থার জন্য ধমক দিলেন মেজিয়া পঞ্চায়েত সমিতির সহ সভাপতি তথা শিক্ষা কর্মাধ্যক্ষ মলয় মুখোপাধ্যায়। প্রধান শিক্ষককে প্রশ্ন করা হলে তিনি জানান, সময়ে ডিঙি পাওয়া যায় না বসেই আসতে দেরি হয়। এ কথা শুনে শিক্ষা কর্মাধ্যক্ষ প্রশ্ন করেন, ‘এর জন্য তো আপনি এক টাকা বেতনও কম নেন না। সকাল ১০ টায় স্কুলে পৌঁছতে গেলে, যখন বেরতে হবে, তখনই বেরবেন।’

মানাচর নামে ওই জায়গাটির অবস্থান একেবারে দামোদর নদের গর্ভে। দুদিক দিয়ে বয়ে যাচ্ছে নদী। সেই নদী পেরিয়েই নিত্য যাতায়াত এলাকার মানুষকে। এমনিতেই মানুষের জীবন ও জীবিকা যথেষ্ট প্রভাবিত। আর সেই চরে থাকা একমাত্র প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অবস্থাও বেহাল। পড়ুয়ার সংখ্যা নামতে নামতে ১১ জনে ঠেকেছে। শিক্ষা কর্মাধ্যক্ষ মলয় মুখোপাধ্যায় এদিন স্পষ্ট জানিয়ে দেন, ডিঙি না মেলার অজুহাতে দিনের পর দিন স্কুলে অনুপস্থিতি কোনও ভাবেই বরদাস্ত করা হবে না।

শিক্ষকের সদিচ্ছার অভাবকেই মূলত দায়ী করেছেন তিনি। সরকারের তরফে বই দেওয়া সত্ত্বেও কেন তা পড়ুয়াদের হাতে পৌঁছয়নি, সেই প্রশ্নও করেছেন তিনি। মলয়বাবু জানিয়েছেন, স্কুলে সময়মতো শিক্ষক শিক্ষিকাজের পৌঁছে দিতে একটি ডিঙির ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়েছে পঞ্চায়েত সমিতির তরফ থেকে। স্কুল আগামিদিনে বাকি সমস্যাগুলিও মেটানো হবে বলে জানানো হয়েছে। পঞ্চায়েত সমিতি ও স্কুল শিক্ষা দফতরের এই উদ্যোগে খুশি স্থানীয় বাসিন্দারা।