Sikkim Flash Flood: সিকিমে কাজে গিয়ে খোঁজ নেই বিষ্ণুপুরের দুই যুবকের, প্রশাসনের সহযোগিতা না পেয়ে জাতীয় সড়ক অবরোধ গ্রামবাসীদের
Sikkim Flash Flood: পরিস্থিতি বেগতিক দেখে যে হোটেলে তাঁরা কাজ করতেন তাঁর মালিকের সঙ্গে যোগাযোগ করেন তাঁরা। কিন্তু, সেখান থেকেও বিশেষ কোনও সাহায্য পাননি বলে অভিযোগ। শেষে উপায় না দেখে দ্বারস্থ হন পুলিশ-প্রশাসনের সঙ্গে। অভিযোগ, সেখান থেকে কিছু করা হচ্ছে না।
বিষ্ণুপুর: তিস্তার হড়পা বানে মুহূর্তে বিধ্বস্ত উত্তরবঙ্গ। বড় বিপর্যয়ের সাক্ষী থেকেছে সিকিম। এদিকে পুজোর মুখে সিকিমে ঘুরতে গিয়ে আটকে পড়েছেন দক্ষিণবঙ্গের বহু পর্যটক। জোরকদমে উদ্ধারকাজ চালাচ্ছে সেনা ও বিপর্যয় মোকাবিলা দল। এদিকে সিকিমে বিপর্যয়ের পর চারদিন কেটে গেলেও এখনও যোগাযোগ করা যায়নি বাঁকড়ার হেত্যাগড়া গ্রামের দুই যুবকের সঙ্গে। চিন্তায় দিন কাটছে পরিবারের। অভিযোগ, তাঁদের খুঁজতে কোনও সহযোগিতা করা হচ্ছে না প্রশাসনের তরফে। এই অভিযোগ তুলেই জাতীয় সড়ক অবরোধ গ্রামবাসীদের। ঘটনায় ব্যাপর চাঞ্চল্য বিষ্ণুপুর ব্লকে।
সূত্রের খবর, সিকিমের লাচুংয়ে হোটেলে কাজ করতেন বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুর ব্লকের হেত্যাগড়া গ্রামের ভোলানাথ শিকারী ও কর্ণ অধিকারী। রোজই ফোনে কথা বলতেন পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে। পরিবারের সদস্যরা জানাচ্ছেন, হড়পা বানের খবর জানতে পেরে চিন্তা বেড়েছিল তাঁদের। উদ্বেগের মধ্যেই তাঁদের ফোনে ধরার চেষ্টা করা হয়। কিন্তু, ওই ঘটনার পর থেকেই তাঁদের ফোন বন্ধ। ফলে আর কথা বলা সম্ভব হয়নি।
পরিস্থিতি বেগতিক দেখে যে হোটেলে তাঁরা কাজ করতেন তাঁর মালিকের সঙ্গে যোগাযোগ করেন তাঁরা। কিন্তু, সেখান থেকেও বিশেষ কোনও সাহায্য পাননি বলে অভিযোগ। শেষে উপায় না দেখে দ্বারস্থ হন পুলিশ-প্রশাসনের সঙ্গে। কিন্তু, তারপরেও দুই যুবকের খোঁজ না পাওয়া যাওয়ায় ক্ষোভে ফুঁসছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। এদিন দুপুরে রাস্তায় নেমে আসেন হেত্যাগড়া গ্রামের মানুষেরা। গ্রামের কাছে থাকা রানীগঞ্জ খড়গপুর ৬০ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভে ফেটে পড়েন তাঁরা। যার ফলে যানজট তৈরি হয় এলাকায়। বিক্ষুব্ধ গ্রামবাসীদের দাবি, দ্রুত খুঁজে বের করতে হবে দুই যুবককে। অন্যথায় তাঁরা অবরোধ চালিয়ে যাবেন।