Group D Recruitment: একটি প্রশ্নের উত্তর দিয়েই OMR-এ প্রাপ্তি ৪৩! বহাল তবিয়তে গ্রুপ-ডি চাকরি তৃণমূল নেতার
OMR Scam: ফাঁকা ওএমআর শিট জমা দিয়ে চাকরি পেয়েছেন যাঁরা তাঁদের নাম প্রকাশ করছে এসএসসি। ওএমআরে কারচুপি করে গ্রুপ ডি-তে ১ হাজার ৬৯৮ জনের নাম পায় সিবিআই।
ফাঁকা ওএমআর শিট জমা দিয়ে চাকরি পেয়েছেন যাঁরা তাঁদের নাম প্রকাশ করছে এসএসসি। ওএমআরে কারচুপি করে গ্রুপ ডি-তে ১ হাজার ৬৯৮ জনের নাম পায় সিবিআই। এরমধ্যে ১ হাজার ৬৯৪ জন স্কুলে চাকরিও করছেন বলে জানা যায়। এবার তাঁদের খুঁজে বের করতে ডিআইদের নির্দেশ দিয়েছে এসএসসি। সেই খোঁজখবর শুরু হতেই বেজায় বিপাকে পাতালখুরি গ্রামের তৃণমূল বুথ সভাপতি।
পুয়াবাগানে আদেশের বইয়ের দোকান ‘ছাত্রসাথী পুস্তকালয়’। সেখানে গিয়েছিল টিভি নাইন বাংলা। এদিকে ক্যামেরা বুম দেখেই দোকানের ভিতরে লুকিয়ে পড়েন আদেশ। বহু ডাকাডাকিতেও বেরিয়ে আসেননি। এসএসসির তালিকায় ৪ নম্বরে নাম রয়েছে তাঁর। ওএমআর শিটে আরও চাঞ্চল্যকর ছবি। একটিমাত্র প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন তিনি। অথচ পেয়েছেন ৪৩।
দোকানেই ছিলেন আদেশের ভাই পিন্টু চট্টোপাধ্যায়। কিছুতেই মানতে চাননি দাদা দোকানে রয়েছেন। আর দাদার নিয়োগ নিয়ে তাঁর কিছুই জানা নেই বলেই দাবি করেন। তবে বাঁকুড়া ১ মণ্ডল সভাপতি বিজেপির বিকাশ ঘোষ বলেন, “তৃণমূলের নেতা বলে প্রভাব খাটিয়েছেন এবং বাঁকুড়ার যাঁরা নেতা আছেন তাঁদের সহযোগিতায় এই চাকরি বলেই মনে হচ্ছে। টাকা পয়সা দিয়েই চাকরি পেয়েছেন।” বাঁকুড়ার যুব তৃণমূল জেলা সভাপতি সন্দীপ বাউড়ি বলেন, “উনি দলের সক্রিয় নেতা। এখন আবার ব্লকের স্পোর্টস সেলেরও দায়িত্বে তিনি।” তবে এর বেশি একটি কথাও তিনি বলেননি। অন্যদিকে যে স্কুলে আদেশ চট্টোপাধ্যায় পড়ান, সেই স্কুলের প্রধান শিক্ষক আশিস মুখোপাধ্যায় বলেন, “এ ব্যাপারে আমরা কিছুই জানি না। জানার কথাও নয়।”