Bankura Awas Yojona: আবাসের তালিকা থেকে কেন বাদ গেল নাম? জানতে চাওয়ায় ‘আক্রান্ত’, শুরু রাজনৈতিক তরজা
Bankura Awas Yojona: অভিযূক্ত তৃণমূল অঞ্চল সভাপতির দাবি অভিযোগ ভিত্তিহীন। এমন কোনও ঘটনা ঘটেনি। বিজেপি রাজনীতি করার চেষ্টা করছে বলে পাল্টা যুক্তি দেন তিনি।
বাঁকুড়া: আবাস যোজনার বাড়ির তালিকা থেকে নাম বাদ এক পরিবারের। কেন নাম বাদ দেওয়া হয়েছে, তৃণমূল অঞ্চল সভাপতির কাছে তা জানতে গেলে আক্রান্ত হওয়ার অভিযোগ ওঠে। ঘটনা বাঁকুড়া সদর থানার জগদল্লা এলাকার। আক্রান্ত ব্যক্তির নাম মিঠুন করঙ্গা। আহত ব্যাক্তিকে বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে । বিজেপি বিধায়কের দাবি, বিজেপি করার জন্য আবাস যোজনার তালিকা থেকে নাম বাদ দেওয়া হয়েছে এবং তাঁকে মারধর করা হয়েছে। আক্রান্তের পরিবারের দাবি. তাঁরা বিজেপি করেন না কিন্তু বাড়ির নাম কেন বাদ দেওয়া হয়েছে তা জানতে গেলে মারধর করা হয়েছে তৃণমূলের তরফে। অভিযূক্ত তৃণমূল অঞ্চল সভাপতির দাবি অভিযোগ ভিত্তিহীন। এমন কোনও ঘটনা ঘটেনি। বিজেপি রাজনীতি করার চেষ্টা করছে বলে পাল্টা যুক্তি দেন তিনি।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, আবাস যোজনার বাড়ির তালিকা থেকে নাম বাদ কেন এই প্রশ্ন নিয়ে বাঁকুড়ার জগদল্লা ১ নং অঞ্চল তৃণমূলের সভাপতির কাছে জানতে গিয়েছিলেন মিঠুন ওই এলাকারই বাসিন্দা। অভিযোগ, রবিবার রাতে তৃণমূল অঞ্চল সভাপতি সোমনাথ চৌধুরী তাঁর লোকজন নিয়ে মিঠুনের ওপর আক্রমণ চালান। বেধড়ক মারধর করা হয়। পরে পরিবারের লোকজন মিঠুনকে চিকিৎসার জন্য বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন।
পরিবারের দাবি, যোগ্য হয়েও আবাস যোজনার তালিকা থেকে নাম বাদ দেওয়ার প্রতিবাদ করাতেই তাঁর উপর হামলা চালানো হয়েছে। মিঠুন কোনও রাজনৈতিক দলের সদস্য নন বলেও পরিবারের তরফে দাবি করা হয়। আক্রান্তের বাবার বক্তব্য, “আমার ছেলে কোনও দল করে না। কেবল আমরা কেন আবাস যোজনার তালিকা থেকে বাদ গেলাম, সেটাই জানতে চেয়েছিল। তার জন্যই মার খেতে হল।”
যদিও আক্রান্তকে দলীয় কর্মী বলে দাবি করছে বিজেপি। সোমবার সকালে চিকিসাধীন মিঠুনকে হাসপাতালে দেখতে যায় বাঁকুড়া বিধানসভার বিজেপি বিধায়ক নিলাদ্রি শেখর দানা। এদিন বিজেপি বিধায়ক বলেন, “আক্রান্ত ব্যক্তি বিজেপির কর্মী। একমাত্র বিজেপি করার জন্য বাড়ির নাম বাদ দেওয়া হয়েছে তৃণমূলের তরফে। আর প্রতিবাদ করতে যাওয়ার জন্য তৃণমূল মারধর করেছে।”
অভিযোগ অস্বীকার করেছে জগদল্লা ১নং অঞ্চল তৃণমূল সভাপতি সোমনাথ চৌধুরী। তিনি বলেন, “এমন কোন ঘটনা ঘটেনি। অভিযোগ ভিত্তিহীন। বিজেপির পায়ের তলার মাটি হারিয়ে এখন এসব নিয়ে রাজনীতি করছে। বাড়ির সঙ্গে তৃণমূলের কোনও সম্পর্ক নেই। এটা প্রশাসনিক বিষয়।