Young Boy Death: হাতের কাটা দাগ উস্কেছিল জল্পনা,গেমের নেশায় ভয়ঙ্কর পরিণতি মেধাবি ছাত্রের
Bankura Death: কিন্তু সেই আসক্তি যে টেনে ছেলেটিকে মৃত্যুর দোরগোড়া পর্যন্ত নিয়ে চলে যাবে তা হয়ত কেউ স্বপ্নেও কল্পনা করতে পারেননি।
বাঁকুড়া: ছোটো থেকেই মোবাইলের প্রতি একটা আলাদা নেশা ছিল। সুযোগ পেলেই হল, সঙ্গে-সঙ্গে মোবাইলে গেম খেলতে বসে যেত। আর এই করে একটা আলাদা আসক্তি তৈরি হয়েছিল মোবাইল গেমের প্রতি। কিন্তু সেই আসক্তিই যে টেনে ছেলেটিকে মৃত্যুর দোরগোড়া পর্যন্ত নিয়ে চলে যাবে তা হয়ত কেউ স্বপ্নেও কল্পনা করতে পারেননি। বাঁকুড়ার সোনামুখী থানার পাঁচাল গ্রামের এমন মর্মান্তিক ঘটনায় মুষড়ে পড়েছেন সকলে।
ছেলেটির নাম সায়ন কর্মকার। ছোট থেকেই এলাকায় সে অত্যন্ত মেধাবী ছাত্র হিসাবেই পরিচিত। উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করার পর চলতি বছর সর্বভারতীয় নীট পরীক্ষায় ভালো ফল করেছিল সায়ন। ডাক্তারি পরীক্ষায় র্যাঙ্ক হয়েছিল ৩৬৫১১। রাজ্যের মুর্শিদাবাদ, মালদা ও কোচবিহার এই তিনটি মেডিক্যাল কলেজে ডাক্তারি পড়ার সুযোগ মিলেছিল। কিন্তু মেডিক্যাল কলেজের মুখ দেখার আগেই সব শেষ।
মঙ্গলবার সকালে অনেক বেলা পর্যন্ত সায়নের ঘরের দরজা বন্ধ দেখেন পরিবারের সদস্যরা। কিছু একটা আঁচ করেই প্রতিবেশীদের বাড়িতে ডেকে আনেন তাঁরা। এরপর প্রতিবেশীরাই দরজা ভেঙে দেখেন ফ্যানের পাশের একটি হুক থেকে ওড়না জাতীয় কিছুর মাধ্যমে ঝুলছে সায়নের নিথর দেহ। সঙ্গে-সঙ্গে সোনামুখী থানায় খবর দেওয়া হয়। পুলিশ ঘটনাস্থানে এসে মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য বিষ্ণুপুর জেলা হাসপাতালে পাঠায়।
পরিবারের দাবি সায়ন মারণ কোনও মোবাইল গেমে আসক্ত হয়ে পড়ে থাকতে পারে। তদন্তকারীদের সে কথা জানালে তদন্তকারীরা সায়নের মোবাইল ফোনটি পরীক্ষার জন্য উদ্ধার করে নিয়ে গেছে। এর আগেও নাকি দু একবার হাতে কাটা দাগও দেখেছিলেন পরিবারের লোকজন। তখন সন্দেহ করলেও কখনই তাঁরা ভাবেননি হারিয়ে ফেলতে হবে তাদের ফুটফুটে ছেলেকে। সায়নের বাবা বলেন, “এর আগেও কাটা দাগ দেখেছিলাম ওর হাতে। তখন জিজ্ঞাসা করি কী হয়েছে। কিন্তু কোনও উত্তর দেয়নি। পড়াশোনায় খুব ভালো ছিল ছেলেটা। এবার র্যাঙ্কও করেছিল। মনে হয় কোনও গেম থেকেই…”
তাহলে কি সেই মোবাইল গেমের আসক্তিই শেষ পর্যন্ত প্রাণ কেড়ে নিল মেধাবী ওই কিশোরের প্রাণ? খতিয়ে দেখছেন পুলিশ আধিকারিকরা।