ফেসবুকে ‘বেসুরো’ অনুব্রত-ঘনিষ্ঠ, জল্পনা উস্কে পরে পোস্ট ডিলিট

সুদীপ্ত বলছেন, "আমি পোস্ট করিনি। অন্য একজন পোস্ট করেছিল আমার অ্যাকাউন্ট থেকে। আমি দেখতে পেয়েই ডিলিট করে দিয়েছি।"

ফেসবুকে 'বেসুরো' অনুব্রত-ঘনিষ্ঠ, জল্পনা উস্কে পরে পোস্ট ডিলিট
সুদীপ্ত ঘোষ জেলায় তৃণমূলের পরিচিত মুখ।
Follow Us:
| Updated on: Dec 17, 2020 | 12:32 PM

বীরভূম: শুভেন্দু অধিকারী বিধায়ক পদ ছেড়েছেন বুধবার বিকেলে। এরপর থেকেই জেলায় জেলায় উঠে আসছে তৃণমূলের একাধিক ‘বিদ্রোহী’ মুখ। এবার বীরভূম জেলা তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক সুদীপ্ত ঘোষের ফেসবুক পোস্ট ঘিরে সরগরম জেলা। এলাকায় অনুব্রত মণ্ডলের ঘনিষ্ঠ বলেই পরিচিত সুদীপ্ত। সম্প্রতি তাঁর ফেসবুক প্রোফাইলে ‘ভাইপো রাজনীতি’ নিয়ে ক্ষোভের সুর ধরা পড়ে। যদিও এখন সেই পোস্টটি সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে বিষয়টি আলোচনায় উঠে আসতেই সুদীপ্ত দাবি করেন, তাঁর ফেসবুক প্রোফাইল হ্যাক হয়ে গিয়েছিল। কে এই পোস্ট করেছিলেন তা তিনি জানেন না। তিনি তৃণমূলেই আছেন, তৃণমূলেই থাকবেন। তবে এই পোস্ট ঘিরে ইতিমধ্যেই জল্পনা দানা বেঁধেছে। বিষয়টি নিয়ে অনুব্রত মণ্ডলও চুপচাপ।

আরও পড়ুন: সোয়েটার, মাফলারে মুড়বে বাংলা, আগামিকাল থেকেই নামবে পারদ

বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের সঙ্গে বহুবার এক মঞ্চে দেখা গিয়েছে সুদীপ্ত ঘোষকে। প্রথম থেকেই ‘কেষ্টদার’ অনুগামী হিসাবে পরিচিতি তাঁর। সেই সুদীপ্তর ফেসবুক প্রোফাইলে এমন পোস্ট ঘিরে স্বভাবতই নানা প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। পোস্টটিতে বলা হয়, “অহংকার পতনের কারণ… মানুষকে মানুষের সম্মান দিতে হবে…রাজনীতি পরে…ভাইপোকে পিছনের সারিতে রাখতে হবে…।”

যদিও কিছুক্ষণের মধ্যেই সেই পোস্টটি ডিলিটও করে দেওয়া হয়। সুদীপ্ত বলছেন, “আমি পোস্ট করিনি। অন্য একজন পোস্ট করেছিল আমার অ্যাকাউন্ট থেকে। আমার প্রোফাইলটা হ্যাক হয়ে গিয়েছিল। আমি দেখতে পেয়েই ডিলিট করে দিয়েছি। তৃণমূলেই আছি, তৃণমূলেই থাকব।” এই ঘটনায় রীতিমত ক্ষোভও প্রকাশ করেছেন তিনি। অন্যদিকে অনুব্রত মণ্ডল এ প্রসঙ্গে একেবারেই চুপচাপ। কোনও কথাই বলতে রাজি নন।

এই পোস্ট ঘিরেই জল্পনা তুঙ্গে।

তৃণমূল সূত্রে খবর, বেশ কিছুদিন ধরেই রাজনৈতিক কর্মসূচিতে দেখা যাচ্ছে না সুদীপ্ত ঘোষকে। অথচ জেলায় সুদীপ্ত একাধিক গুরুত্বপূর্ণ সাংগঠনিক দায়িত্ব সামলেছেন। জেলার যুব সভাপতি ছিলেন। বর্তমানে জেলার স্পোর্টস অ্যাসোসিয়েশনের সহ সভাপতি। আবার বীরভূম তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদকও। বোলপুরে অনুব্রত মণ্ডলের দলীয় কার্যালয়েই বসতেন তিনি।

আরও পড়ুন: জোরাল হচ্ছে কৃষক-শক্তি, আন্দোলনকারীদের পাশে ‘আত্মঘাতী’ অন্নদাতাদের পরিবার

সবকিছু নিয়েই দুই-দুই চার করছে ওয়াকিবহাল মহল। প্রোফাইল হ্যাকের বিষয়টি নিয়েও প্রশ্ন কারও কারও। একইসঙ্গে নিজের ‘ঘনিষ্ঠ’র প্রসঙ্গে অনুব্রতর মুখ ফিরিয়ে নেওয়ার ঘটনাটিতেও কোথাও একটা খটকা থেকেই যাচ্ছে। এ প্রসঙ্গে বিজেপির জেলা সভাপতি শ্যামাপদ মণ্ডলের কটাক্ষ, “তৃণমূলের ঘরে আগুন লেগে গিয়েছে। এখন সেই আগুনে কে পুড়বে কে বাঁচবে আমরা বলতে পারব না। তৃণমূল তাদের আগুন নেভাক। তারা কীভাবে চলবে তারা ঠিক করুক।”