Dead Body Recover: রোজ রাত্রিবেলা একা মহিলার ঘরে উঁকি মারত প্রতিবেশী, বারণ করতেই জঘন্য ঘটনার সাক্ষী থাকল গোটা এলাকা

Birbhum: অভিযুক্তের নাম নাড়ুগোলান দাস (৫৪)। পুলিশ সূত্রে খবর, বিগত দু'মাস আগে নাড়ুগোপাল রাত্রিবেলা সঞ্চিতাদেবীর বাড়িতে উঁকি মারে।

Dead Body Recover: রোজ রাত্রিবেলা একা মহিলার ঘরে উঁকি মারত প্রতিবেশী, বারণ করতেই জঘন্য ঘটনার সাক্ষী থাকল গোটা এলাকা
বীরভূমে মহিলাকে খুন (নিজস্ব ছবি)
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jul 19, 2022 | 1:41 PM

নানুর: পাশের বাড়িতেই থাকেন প্রৌঢ়। মাঝে মধ্যেই উত্ত্যক্ত করতেন প্রতিবেশী মহিলাকে। অনেক সময়ই বাড়ির ভিতরই উঁকিঝুঁকি মারার অভিযোগ উঠেছিল। লাগাতার বিরক্ত করায় বারণও করেছিলেন মহিলা। তবুও স্বভাব বদলায়নি। পরবর্তীতে আবারও একই অভিযোগ। তবে এই বার বারণ করতে যেতেই হল বিপত্তি। বাড়িতে উঁকি মেরে নোংরা নজরে দেখতে বারণ করায় খুন হতে হল মহিলাকে। গোটা ঘটনায় একজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

বীরভূমের নানুরের গোমড়া গ্রামের ঘটনা। সেখানে চারদিন আগে সঞ্চিতা শেঠ নামে বছর চল্লিশের এক মহিলার দেহ উদ্ধার হয়। প্রতিবেশীরাই সকাল-সকাল সঞ্চিতা দেবীকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করেন। তারপর খবর দেওয়া নানুর থানার পুলিশকে। পুলিশ এসে মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালে পাঠায়। তদন্ত এগোতে থাকে। আশেপাশের সকলকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ। প্রাথমিক ভাবে মনে করা হচ্ছিল চুরির ঘটনা এড়াতেই হয়ত এই খুন। এরপরই ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকতে পারেন সেই সন্দেহে প্রতিবেশী এক ব্যক্তিকে আটক করে। তারপর শুরু হয় জিজ্ঞাসাবাদ। এরপরই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে নানুর থানার পুলিশ।

ঠিক কী ঘটেছিল ওইদিন?

অভিযুক্তের নাম নাড়ুগোলান দাস (৫৪)। পুলিশ সূত্রে খবর, বিগত দু’মাস আগে নাড়ুগোপাল রাত্রিবেলা সঞ্চিতাদেবীর বাড়িতে উঁকি মারে। সেই বিষয়টি নজরে আসে মহিলার। তিনি বারণ করেন। এরপর সঞ্চিতা তাঁর স্বামী বৃন্দাবন শেঠকে গোটা বিষয়টি খুলে বলেন। মহিলা ও তাঁর স্বামী মিলে নাড়ুগোপালকে বারণ করে।

তবে এরপরও বদল হয়নি পরিস্থিতি। অভিযোগ, আবারও নাড়ুগোপাল স্বামী-স্ত্রী যখন শুয়ে ছিলেন সেই সময় টর্চের আলো ফেলেন ঘরে। তখন সঞ্চিতাদেবী চিনতে পারেন ওই ব্যক্তিকে। এরপর বাইরে বেরিয়ে নাড়ুগোপালকে গালিগালাজ করেন সঞ্চিতা। অভিযোগ সেই আক্রোশ থেকেই রাত্রিবেলা খুন করে অভিযুক্ত ব্যক্তি। নানুর থানা সূত্রে খবর, জেরায় অভিযুক্ত নিজের দোষ স্বীকার করে নিয়েছে। পুলিশ নাড়ুগোপালকে বোলপুর কোর্টে পাঠিয়েছে।

বস্তুত, সঞ্চিতা শেঠের স্বামী বৃন্দাবন শেঠ কাজের সূত্রে কলকাতা থাকেন। মাঝেমধ্যে বাড়িতে আসতেন।শেঠ দম্পতির এক ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে। এলাকাবাসীর দাবি, গত ১৪ জুলাই সকাল গড়িয়ে বিকেল হলেও সঞ্চিতাকে দেখতে পাননি প্রতিবেশীরা। তখনই সন্দেহ হয় তাঁদের। এরপরই জানলা দিয়ে তাকাতে দেখতে পান ঘরের দরজা খোলা, ছাদ ভাঙা। ঘরের সমস্থ লাইটে গামছা দিয়ে ঢাকা। আর দেরি না করেই চটজলদি ঘরের ভিতর ঢোকেন এলাকাবাসী। গিয়ে দেখেন শরীরের মধ্যে গলায় কাটা ও চেরা দাগ আছে, শরীরের বিভিন্ন স্থানে ক্ষত চিহ্ন রয়েছে। তারপরই নানুর থানার পুলিশ তদন্ত শুরু করে।