Anubrata Mondal: রুটি-বেগুন ভাজাতে ডিনার সারলেন অনুব্রত, আজ দিল্লি হাইকোর্টের দ্বারস্থ অনুব্রত
Anubrata Mondal: আপাতত দিল্লি যাওয়া রুখতে দিল্লি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন অনুব্রত মণ্ডল।
বোলপুর: দিল্লি যাওয়ার কথা ছিল, কোনওমতে শিবঠাকুরের ‘কৃপায়’ আপাতত অনুব্রত মণ্ডলের ঠিকানা দুবরাজপুর পুলিশ হেফাজত। মঙ্গলবারের রাতটা সেখানেই কেটেছে। রাতে তিনটে রুটি, বেগুন পোড়া ও ডাল দেওয়া হয়েছিল। অনুব্রত একটা রুটি খেয়েছেন। বেগুন পোড়া ও ডাল তৃপ্তি ভরে খেয়েছেন। রাতে ঘুমও ভালো হয়েছে। অন্তত পুলিস সূত্রে তেমনটাই জানা গিয়েছে।
আপাতত দিল্লি যাওয়া রুখতে দিল্লি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন অনুব্রত মণ্ডল। দিল্লি যাত্রা আটকাতেই পুরনো মামলাকে ঢাল করছেন অনুব্রত। ইডি-সিবিআই আধিকারিকদের একাংশও একমত। কিন্তু, কেন? শিবঠাকুরের অভিযোগ দায়েরকে কেন পূর্ব পরিকল্পিত বলছেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারীরা? পাল্টা কি কৌশল তাঁদের?
আইনজীবীদের একাংশের মতে, কেষ্টর চালের জন্য আদৌ প্রস্তুত ছিল না ইডি-সিবিআই। দিল্লি যাত্রা রুখতেই এমন চাল অভিযোগে সরব বিরোধীরা। আর বিরোধী শিবিরের সঙ্গে অনেকটাই একমত ইডি-সিবিআই আধিকারিকদের একাংশও। তাঁদেরও দাবি, রাউস আদালত যেদিন কেষ্টকে দিল্লি নিয়ে যাওয়ার ছাড়পত্র দিল, সেদিনই কেষ্টর বিরুদ্ধে শিবঠাকুরের মামলা অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। পুরোটাই পূর্বপরিকল্পিত বলে মনে করছেন আইনজীবীদের একাংশ।
তবে, আইনজীবীদের একাংশের দাবি, কৌশল কেষ্ট শিবিরের জন্য বুমেরাং হতে পারে। এদিন তাঁর জামিনের আবেদন করলেন না আইনজীবীরা। জানা যাচ্ছে, পরবর্তী কৌশল ঠিক করতে এদিনই লিগ্যাল সেলের আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক সেরে ফেলেছে ইডি। দ্রুই আদালতের দ্বারস্থ হতে পারেন তাঁরা।