Anubrata Mondal: স্ক্যানারে অনুব্রতর অ্যাকাউন্ট, আবারও ব্যাঙ্ক কর্মীদের তলব

Anubrata Mondal: বীরভূমের জেলা তৃণমূল সভাপতি ও তাঁর ঘনিষ্ঠদের অ্যাকাউন্টের নথিও চাওয়া হবে তাঁদের কাছে।

Anubrata Mondal: স্ক্যানারে অনুব্রতর অ্যাকাউন্ট, আবারও ব্যাঙ্ক কর্মীদের তলব
জেলে অনুব্রত মণ্ডল।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Nov 24, 2022 | 10:56 AM

বোলপুর: স্ক্যানারে অনুব্রত ও তাঁর ঘনিষ্ঠদের অ্যাকাউন্ট। ১০ কোটির উৎস সন্ধানে আজ ফের  কয়েকজন ব্যাঙ্ককর্মীকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে খবর, বেশ কয়েক জন ব্যাঙ্ক আধিকারিককে ডেকে পাঠানো হয়েছে। বীরভূমের জেলা তৃণমূল সভাপতি ও তাঁর ঘনিষ্ঠদের অ্যাকাউন্টের নথিও চাওয়া হবে তাঁদের কাছে। সূত্রের খবর, তদন্তকারীদের নজর মূলত অনুব্রতর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের ওপরেই। কোন পথে কেষ্ট বিপুল সম্পত্তি করলেন, সেটা খুঁজে বের করাই তাঁদের মূল উদ্দেশ্য। সিবিআই চার্জশিটেই দেখা গিয়েছে, ৯ বছরে অনুব্রতর সম্পত্তি ২০ গুণ বেড়েছে।

বুধবার বোলপুরের রতন কুঠীর অস্থায়ী সিবিআই ক্যাম্পে তলব করা হয় ব্যাঙ্ক আধিকারিকদের। সিবিআই সূত্রে খবর, অনুব্রত ও তাঁর আত্মীয়দের নামে বিভিন্ন সময়ে বিপুল টাকা লেনদেন হয়েছে ব্যাঙ্কে। প্রায় ১০ কোটি টাকা জমা পড়েছে ব্যাঙ্কে। অন্তত সিবিআই সূত্রে তেমনটাই খবর।  সেই টাকার লেনদেন সংক্রান্ত তথ্য পেতেই এদিন ব্যাঙ্ক আধিকারিকদের তলব করা হয় বলে খবর।

গরু পাচার মামলায় মাস দেড়েক হল জেলের ভাত খেতে হচ্ছে অনুব্রত মণ্ডলকে। গরু পাচার মামলায় সম্প্রতি অনুব্রত মণ্ডলের বিরুদ্ধে চার্জশিট জমা দিয়েছে সিবিআই। সেই চার্জশিটে জুড়ে দেওয়া হয়েছে অনুব্রতর আয়কর তথ্যও। সেখানে দেখা গেছে ২০১৩ থেকে ২০২২-এর মধ্যে ছ-হাতে আয় করেছে মণ্ডল পরিবার। তথ্য বলছে, এই সময়ের মধ্যে শুধু কেষ্টর আয় বেড়েছে প্রায় ১৮০০ শতাংশ।  কেষ্ট কন্যা সুকন্যার আয় বৃদ্ধির পরিমাণ প্রায় ৩ হাজার শতাংশ। ২০১৩-১৪ অর্থবর্ষে সুকন্যার আয় ছিল ৩ লক্ষ ৯ হাজার ৩৯৯টাকা। ২০২০-২১ অর্থবর্ষে আয় আরও বেড়ে হয় ১ কোটি ৪৪ লক্ষ ৯৪ হাজার ৯০ টাকা। প্রাইমারি স্কুলে শিক্ষকতার চাকরি করে কীভাবে এত টাকা আয় বাড়ালেন সুকন্যা, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

অনুব্রতর স্ত্রী ছবি মণ্ডল ছিলেন গৃহবধূ। তা সত্বেও তাঁর আয় ছিল চমকে দেওয়ার মতো। ২০১৩-১৪ সালে ছবি মণ্ডলের রোজগার দেখানো হয়েছে ৪ লক্ষ ৪৫ হাজার ২৬০ টাকা।  ২০১৬-১৭ সালে তা এক লাফে বেড়ে হয়েছে ৯৫ লক্ষ ৯৬ হাজার টাকা। চার্জশিটে উল্কার গতিতে মণ্ডল পরিবারের আয় বৃদ্ধির প্রসঙ্গ উল্লেখ করেছে সিবিআই। চার্জশিটে অভিযোগ করা হয়েছে, গরু পাচারের কালো টাকা বিভিন্ন পথে সাদা করে ব্যঙ্কে জমা করেছেন অনুব্রত। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে খবর, আগামী দিনেও বেশ কয়েক জন ব্যাঙ্ক আধিকারিককে ডেকে পাঠানো হবে। বীরভূমের জেলা তৃণমূল সভাপতি ও তাঁর ঘনিষ্ঠদের অ্যাকাউন্টের নথিও তাঁদের কাছে চাওয়া হবে বলে খবর।