Birbhum Water Tank: বৃষ্টিহীন জমিতে ‘দেড় হাজারি’র জল দিচ্ছেন চাষিরা, ফসল বাঁচানোর শেষ সম্বল
Birbhum Water Tank: কোনওরকমে বীজতলা বাঁচানোর চেষ্টা করছেন রসুলপুরের চাষিরা। ক্ষেতে জল দেওয়ার ক্ষেত্রে তাঁরা একটি অন্য পন্থা বেছেছেন। গাঁটের কড়ি খরচ করে ট্যাঙ্কে জল এনে ক্ষেতে দেওয়ার ব্যবস্থা করেছেন তাঁরা।
বীরভূম: বৃষ্টি নেই, অশনি সঙ্কেত দেখছেন চাষিরা। হা পিত্যেশ করে বসে থেকেও লাভ হচ্ছে না। বর্ষা এলেও বৃষ্টি হচ্ছে না পরিমাণ মতো। ফলে প্রচুর টাকার ফসল নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা করছেন চাষিরা। শেষমেশ ফসল বাঁচাতে অভিনব পথ বাছলেন বীরভূমের চাষিরা। ট্যাঙ্ক ভর্তি জল ট্রাক্টরে এনে ফসলে দেওয়ার ব্যবস্থা করলেন তাঁরা। এই মরসুমে ব্যতিক্রমী চিত্র ধরা পড়ল বীরভূমের দুবরাজপুরের হেতমপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের রসুলপুর গ্রামে। এই গ্রামের চাষিরা অভিনব পদ্ধতিতে চাষের ব্যবস্থা করলেন।
চলতি মরসুমে বর্ষায় সেভাবে বৃষ্টিই হচ্ছে না। ছিটেফোঁটা বৃষ্টিতে মাটি ভিজলেও চাষের কাজে তা আরও বিপদের। জলের অভাবে আমন ধান চাষে বড় ক্ষতি হচ্ছে। চাষিরা জানাচ্ছেন, কাঠফাটা রোদে বীজতলা নষ্ট হচ্ছে প্রচুর। বিশাল ক্ষতির আশঙ্কায় প্রহর গুনছেন চাষিরা।
কোনওরকমে বীজতলা বাঁচানোর চেষ্টা করছেন রসুলপুরের চাষিরা। ক্ষেতে জল দেওয়ার ক্ষেত্রে তাঁরা একটি অন্য পন্থা বেছেছেন। গাঁটের কড়ি খরচ করে ট্যাঙ্কে জল এনে ক্ষেতে দেওয়ার ব্যবস্থা করেছেন তাঁরা। চাষিরা জানাচ্ছেন, এক ট্রাক্টর জল কিনতে খরচ হচ্ছে ১৫০০ টাকা। দেড় হাজারির জল এক কাঠা জমিতে দিতে লাগে। ক্ষেতে গেলে চোখে পড়ছে, এই সময়ে আগে এখন যেভাবে ফসল ফলত, এখন ধূ ধূ করছে প্রান্তর।
দুবরাজপুর ব্লকের হেতমপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের রসুলপুর গ্রামের চাষি শেখ বাবলু, শেখ পলাশ, শেখ আজিজউদ্দিন ও চাপানগরিরা গ্রামের বাসিন্দা তথা চাষি শেখ শাহরিয়া বিভিন্ন জায়গা থেকে লোন নিয়ে টাকা ধার করে চাষ করছেন। তাঁদের বক্তব্য, ফসল না ফললে, তাঁদের বিশাল ক্ষতি হয়ে যাবে। ধারের টাকা তাঁরা কোথা থেকে শোধ করবেন, সেটাই বুঝতে পারছেন না।
ফলে বাধ্য হয়েই জল কিনে জমিতে দিতে হচ্ছে তাঁদের। বৃষ্টি না হওয়ার কারণে মাথায় হাত চাষিদের। একদিকে ঋণের বোঝা, অন্যদিকে গার্হস্থ্য অনুশাসন আবার ছেলেমেয়েদের পড়াশোনার খরচ! আগামী কথা এই পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে ঠাওর করতে পারছেন না তাঁরা। বীজতলা বাঁচিয়ে রাখতে এক ট্রাক্টর জল কিনে ক্ষেতে দিচ্ছেন তাঁরা। স্থানীয় প্রশাসন চাষিদের পাশে থাকার বার্তা দিয়েছেন। দুবরাজপুরের বিডিও রাজা আদক বলেছেন, “এখনও ঠিকমতো বৃষ্টি হচ্ছে না দক্ষিণবঙ্গে। এটা চাষের ক্ষেত্রে অনেকটাই আশঙ্কার। বিভিন্ন সমিতিগুলির সঙ্গে আমরা কথা বলেছি। একটা কিছু সদর্থক পদক্ষেপ করা হবে।”